প্রেমিকা অতি সুন্দরী। সে যখন হেঁটে যায় সবাই হাঁ করে তাকিয়ে থাকে তার দিকে। বাকি সবকিছু কেমন যেন ফিঁকে মনে হয়। প্রেমিকার রূপের ছটায় বাকি সব ম্লান। সবাই আপনাকে মনে করে ভাগ্যবান। বলে, “কী কপাল করে এমন মেয়ে পেয়েছিস?” যতই যাই হোক, সুন্দরী প্রেমিকা থাকা কিন্তু একপ্রকার জ্বালাই। প্রচণ্ড শঙ্কা তৈরি হয় প্রেমিকাকে ঘিরে। অনেক রকম সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। সেগুলি কী কী জেনে নিন –
১. সুন্দরী মানেই ভালো মানুষ নয়!
হতে পারে সে অতিমাত্রায় সুন্দরী, কিন্তু মানুষ হিসেবে সুন্দর নয়। সেই খারাপমানুষি আপনার চোখে ধরা দেয় না। কারণ একটাই। প্রেমিকার রূপ। রূপ আছে বলেই প্রেমিকার সাত খুন মাফ।
২. মেয়ের প্রচণ্ড ইগো!
– সে যে অসম্ভব সুন্দরী, এ কথা তার অজানা নয়। ছোটো থেকে বাহবা পেতে পেতে অহঙ্কারী হয়ে উঠেছে সে। সেই সঙ্গে ডানা মেলেছে মেয়ের ইগো। রূপের গুমরে মাটিতে পা পড়ে না যেন। পাত্তাই দেয় না আশপাশকে। তবে সব সুন্দরীর ইগো থাকে না। কেউ কেউ আবার নিজের রূপের তেমন তোয়াক্কাও করে না।
৩. তাকে বিশ্বাস করা কঠিন
– কথায় আছে যে মেয়ের জিওগ্রাফি ভালো, তার হিস্ট্রি খারাপ। সুতরাং, রূপসি প্রেমিকাকে চট করে সতীসাধ্বী ভেবে ফেলতে পারে না পুরুষ। মনে করে, ছেলেবেলা থেকে নিশ্চয় বহু পুরুষের প্রস্তাব পেয়েছে, সায়ও দিয়েছে হয়তো। এখনও যে দিচ্ছে না তার কী মানে!
৪.মনে হতে পারে প্রেমিকা আপনার অর্থ ও প্রতিপত্তির জন্যই সম্পর্কে জড়িয়েছে
– সে রূপসি, আপনি ধনবান। তাই আপনারা আইডিয়াল কাপল্। এটা প্রায়ই লক্ষ্য করা যায়, সুন্দরী হলে পয়সাওয়ালা ঘরের ছেলে জোটে। মনে হয়, সুন্দরী বলেই তার দাম বেশি। এমনটা বারংবার প্রমাণিত হয়েছে, নিজের রূপকে সামনে রেখে রূপসিরা ধনবান ব্যক্তির প্রস্তাবে রাজি হয়ে গেছে। সেই কারণেই রূপসি সম্পর্কে এমন ধারণা তৈরি হয়েছে, যে তারা বুঝি ছেলের পয়সা দেখেই সম্পর্কে যেতে রাজি হয়।
৫. আপনার দিকে কেউ তাকাবে না
– সে এতই রূপসি, যে একসঙ্গে হাঁটলে পুরো লাইমলাইটাই সে একা কেড়ে নেয়। আপনার উপস্থিতি কেউ খেয়ালই করে না।
৬. সুন্দরী প্রেমিকা মানে আপনার মনে ঈর্ষা
– প্রেমিকা খুব সুন্দরী হলে পুরুষ মাত্রাতিরিক্ত পজ়েসিভ হয় ওঠে। অন্য কোনও ছেলে তার ধারেকাছে ঘেঁষলে মনে হয়, “মেরে মুখ ফাটিয়ে দিই।”
৭. বন্ধুদের সঙ্গে ঝগড়া হতে পারে প্রেমিকাকে ঘিরে
– প্রেমিকা সুন্দরী হলে বন্ধুরাও তার দিকে আড়চোখে তাকাবে। তখনই বাঁধবে গোল।
No comments:
Post a Comment