FB LIke Bottom

Monday, October 12, 2015

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সরি

সরানো হবে জিয়ার সমাধি

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে বাংলাদেশ সচিবালয়। সেখানে পরিকল্পনা মাফিক প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দুর এ কার্যালয় গড়ে তোলা হবে। মূলত জাতীয় সংসদের স্থপতি লুই কানের পরিকল্পনা অনুযায়ী, শেরে বাংলা নগরের চন্দ্রিমা উদ্যোনের উত্তরাংশে নির্মাণ করা হবে এ সচিবালয়। এতে করে জাতীয় সংসদ, বাসভবন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও সচিবালয় পাশাপাশি অবস্থান করবে। এতে চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির স্থপতি জিয়াউর রহমানের সমাধি সরানোর ব্যাপারেও মত দিয়েছেন অনেকেই।

‘ঢাকার শেরে বাংলা নগরে বাংলাদেশ সচিবালয় নির্মাণ’ প্রকল্পটিতে ২ হাজার ২০৯ কোটি ৭৩ টাকা ব্যয় করবে সরকার। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। আগামীকাল মঙ্গলবার একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে বলে পরিকল্পনা কমিশন সুত্র জানায়।

পরিকল্পনা কমিশন সুত্রে জানা যায়, সচিবালয়ের বর্তমান কমপ্লেক্সটি তৎকালীন প্রাদেশিক সরকারের আমলে নির্মিত। স্বাধীনতার ৪৪ বছরে সরকারের কার্যক্রম বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় সচিবালয়ের কার্যালয়ের পরিসর বৃদ্ধি পায়নি। এদিকে কমপ্রেক্সেটি সম্প্রসারণের ইচ্ছা থাকলেও সুযোগ নেই। এ অবস্থা থেকে উত্তরোণের লক্ষ্যে লুই আই কানের মাস্টার প্লান অনুযায়ী বড় পরিসরে সচিবালয় নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা যায়, নতুন নির্মিতব্য সচিবালয়ের মাঝখানে থাকবে সবুজ গাছপালা। আর পুরো সচিবালয় এলাকা ঘিরে থাকবে সুউচ্চ প্রাচীর। তাছাড়া আধুনিক এ সচিবালয়ের সাথে টানেলের মাধ্যমে গণভবন, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে। সচিবালয় থেকে প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভবন বা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বা গণভবনসহ যে কোনো স্থানে যেতে পারবেন। এছাড়া, সচিবালয় নির্মাণের মাধ্যমে কর্মরত কর্মচারীদের কার্যালয়ের পরিসর সঙ্কট দূর হবে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও এর আওতায় বিভিন্ন সংস্থার কাজের মধ্যে সমন্বয় করা সম্ভব হবে। কর্মকর্তাদের কাজের পরিবেশ উন্নত হবে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, এর আগে ২০১২ সালে ৪২ একর জায়গা জুড়ে ১০টি ব্লকে ৯ তলা ভবনসহ অফিস ব্যাংক অডিটেরিয়াম, মসজিদ, কার পার্কিং ইত্যাদি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। সরকার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোম্পানি ডেভিট উইসডম অ্যান্ড এসোসিয়েটর এর সঙ্গে চুক্তি হয়। পরবর্তীতে এ কাজের কোনো অগ্রগতি হয়নি। এছাড়া বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্র নির্মাণ হওয়ায় জমির পরিমাণ হ্রাস পায়। সম্প্রতি হ্রাসকৃত জমি বাদ দিয়ে ৩২ একর জমির উপর প্রকল্প নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়।

এদিকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, প্রকল্পটি অনেক আগেই অনুমোদন দেয়ার কথা ছিল। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে প্রকল্পটি ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মন্ত্রণালয়ে ফেরৎ পাঠানো হয়। নতুন করে রেড সিডিউল গঠন করে ডিপিপি পূর্ণগঠন করা হয়। পরে গত ৮ জুলাই পিইসি সভায় প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন শর্ত সাপেক্ষে প্রকল্পটি অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়।

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত ও অবকাঠামো বিভাগের সদস্য আরস্তু খান বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। সম্ভব্যতা, যৌক্তিকতা যাচাই করে সচিবালয় নির্মাণের প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সচিবালয়ের যে জায়গা সঙ্কট তা দূর হবে। প্রকল্পটি শিগগিরই একনেক বৈঠকে অনুমোদন দেয়া হবে।’ প্রসঙ্গত, কয়েকমাস আগে এক একনেক বৈঠকে সচিবালয় নির্মাণ নিয়ে আলোচনা সূত্রপাত হলে আলোচনা উঠে আসে চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে জিয়াউর রহমানের সমাধি সরানোর কথা। অনেকেই জায়গার সঙ্কট হওয়ায় জিয়ার সমাধি সরানোর ব্যাপারে মত দেন।

No comments:

Post a Comment