FB LIke Bottom

Monday, October 12, 2015

বিএনপি ও জামাত-শিবিরের পরিচয়ে যারা চাকরি করতে আসেন একেএস কারখানায় তাদের চাকুরি দেওয়ার সুপারিশ করেন ওই বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন।

ধামরাইয়ে বিএনপির ওর্য়াড সভাপতির কাছে আওয়ামীলীগ সব নেতা জিরো
ধামরাই প্রতিনিধি
ঢাকার ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও ৬ নং ওয়ার্ডের বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন কাছে জিরো হয়েছে ধামরাই উপজেলা যুবলীগের প্রভাশালী নেতারা। ওই বিএনপির নেতার দাপটে আওয়ামীলীগ নেতারা চুপসে গেছে।
জানা গেছে,উপজেলা বালিথা এলাকায় একেএস নামের একটি গার্মেন্টস কারখানা গড়ে উঠেছে। ওই কারখানায় প্রতিদিন শত শত শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই কারখানায় ৪০ ভাগ স্থানীয় শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। ওই নিয়মকে তুয়ক্কা না করে একেএস মালিক পক্ষ বিএনপির সমর্থন হওয়াতে গাঙ্গুটিয়া সাবেক ইউপি সদস্য ও ৬ নং ওর্য়াড বিএনপি সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে ক্যার্ডার হিসেবে রেখেছে ওই কারখানার কতর্িৃপক্ষ। স্থানীয় ও বিভিন্ন জেলা থেকে বিএনপি ও জামাত-শিবিরের পরিচয়ে যারা চাকরি করতে আসেন একেএস কারখানায় তাদের চাকুরি দেওয়ার সুপারিশ করেন ওই বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন। এছাড়াও আওয়ামীলীগ কোন নেতা এলাকার গরীব পরিবারের ছেলের চাকরি ব্যাপারে একেএস কারখানায় গেলে তাদের চাকরি হয় না বলে জানা গেছে। উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেকের পিএস মোঃ খাইরুল ইসলাম এলাকার কিছু ছেলে মেয়ের চাকরি ব্যাপরে সুপারিশ করার পরও তাদের চাকুরি হয় নাই। এছাড়াও সূতিপাড়া ইউপি যুবলীগ সভাপতি মোঃ ইউসুফ হোসেন ও উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক নুরুইসলাম এলাকার কিছু ছেলে মেয়েদের চাকরি জন্য মালিক পক্ষের লোকজনের কাছে গিয়ে লাভ হয়নি। উল্টো ওই বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন তাদের কারখানা থেকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে ওইসব আওয়ামীলীগ নেতারা ক্ষুদ্ধ হয়েছে স্থানীয় সিনিয়র আওয়ামীলীগ নেতার উপর। আওয়ামীলীগ ক্ষমতা থাকার পরও বিএনপি নেতার কাছে জিরো হয়ে রয়েছে। এ বিষয়ে সূতিপাড়া যুবলীগ সভাপতি মোঃ ইউসুফ হোসেন জানান,আমরা আওয়ামীলী না করে বিএনপি করলে আমাদের ছেলে-মেয়েদের চাকরি হতও ওই একেএস কারখানায়। তিনি আরো জানান,বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেনের কাছে আমরা জিরো। এ ঘটনায় গাঙ্গুটিয়া ইউপি ৬ং ওর্য়াড বিএনপি সভাপতি আনোয়ার হোসেনের মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে একেএস কারখানার পরিচালক কাশেম মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর কথা বলেন নাই।

No comments:

Post a Comment