FB LIke Bottom

Thursday, October 8, 2015

ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ পুতিন। জন্ম: ৭ অক্টোবর, ১৯৫২

ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ পুতিন।
জন্ম: ৭ অক্টোবর, ১৯৫২। পিতার নাম ভ্লাদিমির স্পিরিডোনোভিচ পুতিন,মাতা মারিয়া ইভানোভা শেলোমোভা।বাবা সোভিয়েত নেভির কর্মকর্তা ছিলেন যেখানে তিনি সাবমেরিন সেকশনে দায়িত্ব পালন করতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তার সাহসী অংশগ্রহন ছিল।পুতিনের মাতা ছিলেন একটি ফ্যাক্টরির কর্মচারি।পুতিনরা মোট তিন ভাই থাকলেও বাকি দুটি ভাই শিশু বয়সেই মারা যায়।
পুতিন কৈশর থেকেই দুরন্ত এবং বহু বিষয়ে পারদর্শী ছিলেন।স্কুলে থাকতেই স্কুলের দুটি নাটকে গোয়েন্দা অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেন।
ব্লাকবেল্টধারী পুতিন দু দুবার জুডো এবং মার্শাল-আর্ট প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন।
তিনি লেনিনগার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৫ সালে আইন বিষয়ে গ্রাজুয়েশন শেষ করেন।বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতেই তিনি কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগদান করেন।
পুতিন রুশ অর্থোডক্স গির্জার সদস্য। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত পুতিন ২৮ জুলাই, ২০১৩ তারিখে কালিনিনগ্রাদে জন্মগ্রহণকারী ও সাবেক বিমানবালা লিদমিলা শ্রেবনেভাকে বিয়ে করেন। তাঁদের সংসারে মারিয়া পুতিনা ও ইয়েকাতেরিনা পুতিনা নাম্নী দুই কন্যা রয়েছে। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত উভয়ে জার্মানিতে বসবাস করেন। তিনি তৎকালিক সোভিয়েত ইউনিওনের প্রধান সিকিউরিটি এজেন্সি KGB এর কর্মকর্তা হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন।
রুশ প্রজাতন্ত্র বা রাশিয়ার অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পুতিন। তিনি ২য় মেয়াদে ৭ মে, ২০১২ তারিখ থেকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতাসীন। এর পূর্বে ২০০০ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০০ ও ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও, ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি একীভূত রাশিয়া দলের সভাপতি এবং রাশিয়া ও বেলারুশের মন্ত্রীসভার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
পুতিন তাঁর সময়কালে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এনেছেন।এছাড়াও, তিনি রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন চেচনিয়ায় ২য় চেচেন যুদ্ধের মাধ্যমে অঙ্গরাজ্যগুলোর অখণ্ডতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন। পুতিনের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন সময়ে রাশিয়ায় অর্থনৈতিক ভিত ৯ বছরের মধ্যে জিডিপি ৭২% বৃদ্ধি পায়। দারিদ্র্যতা কমপক্ষে ৫০% কমে যায়।গড় মাসিক বেতন $৮০ থেকে $৬৪০ ডলার বৃদ্ধি পায়।
প্রেসিডেন্ট থাকাবস্থায় পুতিন লভ্যাংশের উপর কর হ্রাসসহ ১৩% হারে আয়কর ধার্য্যের বিষয়ে আইন পাশ করেন।জ্বালানী নীতি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার ফলে রাশিয়া জ্বালানী খাতে বৃহৎ শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়।
বৃহৎ জ্বালানী প্রকল্প হিসেবে রাশিয়ার আণবিক শক্তিতে নবজাগরণের সৃষ্টি হয়। এছাড়াও অনেকগুলো বৃহৎ রপ্তানী সহায়ক পাইপলাইনের মাধ্যমে পরিবহন ব্যবস্থার অবকাঠামো নির্মাণেরও সূচনা হয়। তন্মধ্যে রয়েছে ইস্টার্ণ সাইবেরিয়া-প্যাসিফিক ওশেন অয়েল পাইপলাইন বা এসপো এবং নর্ড স্ট্রিম প্রকল্প অন্যতম।তাছাড়াও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্প্রতি ব্রাজিল,রাশিয়া,ইন্ডিয়া,চিন এবং সাউথ আফ্রিকাকে সাথে নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের আদলে 'বিক্স' সৃষ্টিতে প্রধান ভুমিকা রাখেন।
পুতিনের রাষ্ট্রপতিত্ব নিয়ে পশ্চিমা পর্যবেকদের অনেকে তাকে অগণতান্ত্রিক হিসেবে আখ্যায়িত করে।কিন্তু দেশে আইনের শাসন প্রবর্তন ও স্থিতিশীলতা আনয়ণের প্রেক্ষাপটে রুশ সমাজব্যবস্থায় তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন এবং ন্যাটোর অন্যান্য দেশের চোখ রাঙানিকে উপেক্ষা করে বিশ্বের ভয়ংকর বর্বর জঙ্গি সংগঠন আইএস নির্মুলে তার সাহসী এবং বিচক্ষন সিদ্ধান্তে রুশ বাহিনী সিরিয়ায় ব্যাপক আক্রমন পরিচালনা করে যাচ্ছে।যার ফলে আইএস বর্তমানে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।আর এতে ব্যক্তি পুতিনের জনপ্রিয়তা সারা বিশ্বে এখন তুঙ্গে।
বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সাথে ভ্লাদিমির পুতিনের রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।যার ফলে বাংলাদেশে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অনেক বড় বড় উন্নয়নমুলক প্রোজেক্ট বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সাহায্য করে যাচ্ছে পুতিন সরকার।
আজ মিঃ পুতিনের ৬৩তম জন্মদিন।শুভ ভুমিষ্ট দিবস প্রিয়।
মঙ্গলের মঙ্গল হোক...

No comments:

Post a Comment