FB LIke Bottom

Tuesday, October 27, 2015

ঋণ সহায়তা পেলে ফুল চাষীদের আগ্রহ বাড়বে : ( উদ্যোক্তাদের আহবান ) সরকারী সহয়তার অভাবে ঝিকরগাছার ফুল চাষীদের বাধার প্রধান অন্তরয় হয়ে দাড়িয়েছে।

ঋণ সহায়তা পেলে ফুল চাষীদের আগ্রহ বাড়বে : ( উদ্যোক্তাদের আহবান )
সরকারী সহয়তার অভাবে ঝিকরগাছার ফুল চাষীদের বাধার প্রধান অন্তরয় হয়ে দাড়িয়েছে। সর্ব প্রথম গদখালীর এ মাঠে কে বা কারা ফুল চাষ শুরু করেছিল সেটি সঠিকভাবে বলতে না পারলেও প্রতিদিনই কৃষকের মাঝে ফুল চাষের আগ্রহ বাড়ছে। যার নিজের জমি নেই সে অন্যের জমি লিজ নিয়ে এ ফুল চাষ শুরু করছে।
চাষীদের ভাষ্যমতে, ৯০ দশকের পরপর যশোর ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী নামক স্থানে ফুল চাষের বিপ্লব ঘটে। পাশাপাশি বাস আর দেখা দেখি চাষ এ প্রবাদে অনুপ্রেরিত হয়ে নিজ গরজে এখানকার চাষীদের ৯০ শতাংশ লোক ফুল চাষে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে এখন বানিজ্যিক ভাবে ফুল চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন কয়েক হাজার লোক।
বাংলাদেশের মোট উৎপাদিত ফুলের ৭০ শতাংশই যোগান দেয় এখানকার ফুল চাষীরা। প্রতিবছর এ লাকায় ৬ হাজার ৩শ হেক্টর জমিতে ফুল চাষ হয়। আর এসব ফুল চাষের কাজ ও ব্যবসার মাধ্যমে এলাকার হাজার হাজার লোকের জীবন-জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে। তবে সরকারী পৃষ্টপোশকতা পেল ফুল চাষের এখাতটি হতে পারত বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি।
এবছর ১৪ ফেব্রুয়ারীর আগের দু’দিন অথাৎ ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারীতে এ ফুলের বাজারে ৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়েছে। এ থেকে অনুমান করা যায় এখানে কি পরিমানে ফুল উৎপাদিত হতে পারে। এখানকার উৎপাদিত ফুল গুলোর মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েক ধরনের গোলাপ যেমন,ইরানী গোলাপ,সাদা গোলাপ, রক্ত গোলাপ,রজনী গন্ধা প্রজাতির মধ্যে রয়েছে গ্লর্ডিয়াস, সাদা রজনী,লাল রজনী,হলুদ রজনী, লাল জারা,সাদা জারা,হলুদ জারা, লাল জবা,হলুদ জবাসহ নাম না জানা হরেক রকম প্রজাতির ফুল। বর্তমানে এখানকার ফুল দেশের চাহিদা পুরণ করে বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে বলে জানান কৃষকরা।
কৃষকরা জানায়, এক বিঘা বা ২০ শতাংশ জমিতে জারবেরা ফুলের চাষ করতে ১৫/১৬ লাখ টাকা খরচ হয়। প্রথমে খামারের জমিতে বেড তৈরি করা হয়। তার পর পুরো খামারটিকে ঘরের ন্যায় প্লাসটিক টিন অথবা মোটা পলিথন দিয়ে বেডের ঘর গুলোকে ঢেকে দেওয়া হয়।
এ ফুল গাছের মোথা একবার লাগালে দীর্ঘ ৫ বছর যাবত ঐ গাছ থেকে ফুল পাওয়া যায়। গাছ লাগানোর ৯০ দিন পর গাছ থেকে ফুল সংগ্রহ করা শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল ও বিকালে ফুল তোলা হয় তার পর বাজারজাত করা হয়। এক বছরে এক বিঘা জমিতে উৎপাদিত জারবেরা ফুল ৫/৬ লাখ টাকা বিক্রি করা সম্ভাব বলে জানায় কৃষক।
জারবেরা লাগানোর প্রথম বছরের মোট খরচের প্রায় অর্ধে ফুল বিক্রি করে উঠানো সম্ভাব বলেও জানায় কৃষক। ফলে বাকি ৩ বছরে গাছে যে ফুল উৎপাদিত হয় সেটি কৃষকের লাভ থেকে যায়।
গোলাপ,রজনী গন্ধা ও জবা ফুলের চাষ করতে বেডের প্রয়োজন হয় না। তাই এ ফুল চাষে খরচও মোটামুঠিভাবে কম হয়। এক বিঘা বা ২০ শতাংশ জমিতে গোলাপ চাষ করতে ১ লাখ টাকা,১ বিঘা রজনী গন্ধা চাষ করতে ৩০ হাজার টাকা,১ বিঘা জবা চাষ করতে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়।
গাছ রোপনের ৯০ দিনের মাথায় গাছে ফুল আসা শুরু করে। এক বিঘা জমিতে উৎপাদিত গোলাপ ৪ লাখ টাকা, ১ বিঘা রজনীগন্ধা দেড় লাখ টাকা ও ১ বিঘা জবা ফুল ১ লাখ টাকা বিক্রি করা সম্ভাব বলে জানায় কৃষক। রজনীগন্ধা ১ বার লাগালে পর পর দু’বছর ফুল দেয়,গোলাপ ১ বার লাগালে পরপর দু’বছর ফুল দেয় ও জবা ১ বার ফুল দিয়ে ৬ মাসের মধ্যে গাছ মারা যায়।
ফুল চাষী লিয়াকত হোসেন ও নাসরিন নাহারসহ অনেক কৃষক যমুনা নিউজকে জানায়, আমাদের মাঠে কোন জমি জায়গা নাই। আমরা অন্যের জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদ করি। কিন্তু অনেক সময় আমরা টাকার অভাবে সঠিকভাবে ফুলের পরিচর্য করাতে পারি না। যদি আমাদেরকে সরকার ঋণের ব্যবস্থা করতো তাহলে আমরা ভালভাবে ফুল চাষ করতে পারতাম।
তারা জানান, এ এলাকায় কয়েকটি বেসরকারী ঋণদাতা সংস্থা কাজ করে সেগুলোও পর্যপ্ত নয়। বেসরকারী ঋণদাতা সংস্থাগুলো ঋণ দেওয়ার সাথে সাথে কিস্তির টাকা নেওয়া শুরু করে। ফলে কৃষকের বেসরকারী সংস্থা থেকে টাকা উত্তলন করে তেমন লাভ হয় না বরং ফুল উৎপাদন হওয়ার আগেই ঋণ পরিশোধ করার ঝামেলা-ঝক্কি পোহাতে হয়।
ফুল গাছ লাগালে প্রায় ৪/৫মাস পরে ফুল তোলা হয়। সেই ফুল বিক্রির টাকা কিস্তিতে দিলে কোন সমস্য হত না। তাই তারা সংবাদ কর্মির মাধ্যমে সরকারের কাছে জোর দাবি জানায়, সরকার যেন এখানকার ফুল চাষীদেরকে সহজ শর্তে ঋন দিয়ে এ ফুল চাষের বিপ্লকে সমুন্নত রাখে।
গদখালীর ফুল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম যমুনা নিউজকে জানায়, ফুল খুব নরম একটি উৎপাদিত পণ্য। ফুল ফোঁটার কয়েক দিনের মধ্যে সাধারণত নষ্ট হয়ে যায়। বিগত মাসগুলোতে দেশে হরতাল, অবরোধের কারণে ফুল ব্যবসায়ীরা পথে বসেছে। এ মত অবস্থায় সরকার ফুল চাষীদের পাশে এসে না দাড়ালে ফুল চাষীদের দুর্বিসহ জীবন পার করতে হবে।
তিনি জানান, সামনে আসা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ১৪ ফেব্রুয়ারী ভালবাসা দিবস ও ২১ শে ফেব্রুয়ারী আন্তাজাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এ বাজার থেকে ১০০ কোটি টাকার ফুল বেঁচা-কেনা হবে সেই আশা রেখে এখানকার ফুলচাষীরা ফুল উৎপাদন করছে। এ ক্ষেত্

No comments:

Post a Comment