বাংলাদশকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে শেখ হাসিনার সরকারের বিকল্প নেই।। সাবেত উল্লাহ্।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে আমাদের অনেক চাওয়ার আছে, পাওয়ার আছে। তিনি আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস। জননেত্রী শেখ হাসিনা মা-বাবা, ভাই, আত্মীয় স্বজন হারিয়ে তিনি এখন কিছুই চান না আমাদের কাছে। তিনি দেশের মানুষকে ভালোবেসে, তাদের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন বিরামহীন। তিনি শুধু আমাদের দিয়েই যাচ্ছেন। তাইতো তিনি প্রায়ই আবেগ-আপ্লুত কন্ঠে বলেন, আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছুই নেই। সত্যিই তিনি নিজের জন্য নয়, দেশের জন্য আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, স্বনির্ভর বাংলাদেশের জন্য দিন রাত নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
জননেত্রী শেখ হাসিনা এ পর্যন্ত বাঙ্গালী জাতিকে অনেক কিছুই দিয়েছেন। জনগণের দাবির প্রেক্ষিতে তাঁর জীবনের হুমকী থাকা সত্বেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ হাতে নিয়েছেন। দেশী-বিদেশী বিভিন্ন চাপের মুখেও তিনি এতোটুকু বিচলিত হননি। বিচার হয়েছে, ফাঁসির রায় হয়েছে, কার্যকর হয়েছে। বাকীদের চলছে বিচার।
'৯৬তে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার গঠন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারে একমাত্র বাধা কালো আইন "ইন্ডেমনিটি অধ্যাদেশ" বাতিল করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের একে একে সকলের বিচার সম্পন্ন করেন। যদিও বিদেশে পলাতক ছয় হত্যাকারীকে দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে। জাতি আশা করে খুনীদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে।
দেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সমস্যার সমাধান হয়েছে ৭০ শতাংশের বেশি। যেখানে বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাবিতে রাজধানীর পাড়া-মহল্লায় ঝাড়ু মিছিল হতো। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের আওয়ামীলীগ সরকারের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যেই ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া।
কৃষিতে আধুনিক বীজ ও পদ্ধতি প্রয়োগ করে উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্যে বাংলাদেশ আজ স্বয়ং সম্পূর্ণ। বাংলাদেশ এখন বিদেশে চাল রফতানী করছে। যেখানে বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে উত্তরবঙ্গে মঙ্গা ছিল। বিএনপি-জামায়াত জোট আমলে খাদ্যের অভাবে মঙ্গাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক লোক মারা গিয়েছিল। অথচ বাংলাদেশের জনগণ মঙ্গা শব্দটি এখন ভুলে গেছে।
আমাদের আমদানী কমেছে, রফতানী বেড়েছে বহুলাংশে। আমাদের বৈদেশিক রেমিট্যান্স এর পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত, হেফাযতের বিভিন্ন দেশ বিরোধী চক্রান্ত সত্বেও বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ রেকর্ড ছাড়িয়ে ২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নিত হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হয়েছে। আগামী ২১ সালের পূর্বেই বাংলাদেশ মধ্যম আয় এবং ৪১ সালের পূর্বেই উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিতি পাবে। সে লক্ষ্যেই শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে।
সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি হয়েছে। ৬৮ বছর ঝুলে থাকা ভারত-বাংলাদেশের ছিটমহল সমাস্যার রক্তপাতহীন সমাধান শেখ হাসিনা সরকারের আরেকটি বিশাল অবদান। এখন ছিটমহলবাসীর মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে আগামী ১৫ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে। ছিটমহল বাসী তাঁকে মা বলে ডাকতে, তাঁকে এক নজর দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ পরিবেশ বিষয়ক "চ্যাম্পিয়ন অব দা আর্থ" পুরষ্কারে ভূষিত হয়ে বাংলাদেশকে উন্নত জাতি হিসেবে অলংকৃত করেছেন। বিশ্ব নেতারা আজ অবাক হয়ে ভাবছে, বাহাবা দিচ্ছে বাংলাদেশ এতো অল্প সময়ে কিভাবে এতোকিছু অর্জন করলো! শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করছেন অনেকে। শেখ হাসিনা আজ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
দেশের উন্নয়ের চাকা অব্যাহত রাখতে আওয়ামীলীগ সরকারের বিকল্প নেই। আর সেজন্যই তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দলকে ঢেলে সাজাতে হবে। যারা ইতোমধ্যে বিতর্কিত হয়েছেন, যারা দলের জন্য ক্ষতিকর তাদের ব্যাপারে দলীয় হাই কামান্ড সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দেশের বিরুদ্ধে, দেশের অগ্র যাত্রার বিরুদ্ধে, আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে যারা চক্রান্তে লিপ্ত আছে, তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে হবে। সর্বপরি দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে কেন্দ্রের নির্দেশে সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত করতে হবে। কারণ ঐক্যবদ্ধ আওয়ামীলীগকে হারানোর শক্তি কারোর নেই।
FB LIke Bottom
Monday, October 12, 2015
বাংলাদশকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করতে শেখ হাসিনার সরকারের বিকল্প নেই।।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment