তাবেলা খুনে ফেঁসেছে বিএনপি!
******************************
পেশাদার খুনি এখন গোয়েন্দা হেফাজতে। তাদের দেয়া তথ্য পর্যালোচনা করে এ হত্যাকান্ডের মদদদাতা হিসেবে এক বিএনপি নেতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে
বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দারা
তাবেলা সিজার ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যা মিশনে সরাসরি অংশ নেয়া তিন খুনি এখন গোয়েন্দা হেফাজতে। তাদের দেয়া তথ্য পর্যালোচনা করে এ হত্যাকান্ডের মদদদাতা হিসেবে এক বিএনপি নেতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে
বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দারা।
পাশাপাশি খুনের মোটিভও এখন পরিষ্কার বলে তারা জানান। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এসব বিষয় উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দেয়া হবে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ডিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দাবি করেন, তাবেলা হত্যাকান্ড পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তে
হত্যা মিশনের মূল পরিকল্পনাকারী
হিসেবে রাজধানীর গুলশান-বাড্ডা এলাকার বিএনপির মধ্য সারির একজন প্রভাবশালী নেতার নাম বেরিয়ে এসেছে।
তিনি বিদেশে আত্মগোপনে থাকলেও সেখানে বসেই গোটা মিশনের কলকাঠি নেড়েছেন। নিরাপত্তার আস্থা সংকটে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট টিম বাংলাদেশ সফর স্থগিত করার সুযোগে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতেই বিদেশি খুনের এ ছক কষা হয়েছে বলেও গোয়েন্দাদের দাবি।
এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির প্রথম সারির আরো বেশ কজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার জড়িত থাকার সন্দেহও ঘনীভূত হচ্ছে বলে জানান ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তবে তদন্তের স্বার্থে হত্যা মিশনের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত ওই বিএনপি নেতার নাম তিনি বলতে চাননি।
তবে তদন্তে সংশ্লিষ্ট
একটি সূত্র জানায়:
******************
ঢাকা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ কাইয়ুম ওরফে কাইয়ুম কমিশনার (ঢাকা সিটি করপোরেশন ২১ নাম্বার ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার) তাবেলা হত্যাকান্ডের মূল হোতা বলে গোয়েন্দাদের দাবি। তাদের বক্তব্য তার নীলনকশা অনুযায়ীই তিন ভাড়াটে খুনি এ খুনের ঘটনা ঘটায়। বিদেশে বসেই তিনি বিভিন্ন চ্যানেলে খুনিদের অর্ধ কোটি টাকা পরিশোধ করেন।
আর দেশে যারা খুনিদের নানাভাবে সহায়তা করেছেন তাদের মধ্যে বিএনপির প্রথম সারি এবং মাঠপর্যায়ের ৫ জন নেতা রয়েছেন। এদের একজনকে সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা গেলেও বাকি চারজনের গতিবিধি নজরদারিতে রেখে তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে। এছাড়াও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ক্ষুদ্র আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধারে গোয়েন্দারা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন:
তাবেলার খুনি এবং হত্যার নির্দেশদাতাদের বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত হওয়ার জন্য সব ধরনের তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। অস্ত্রটি উদ্ধার করা গেলে তার ব্যালেস্টিক পরীক্ষা সম্পন্ন হবে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া গুলির খোসার সঙ্গে তা মিলিয়ে দেখা হবে। সব তথ্যপ্রমাণ হাতে পাওয়ার পর পুরো বিষয়টি মিডিয়ার সামনে আনা হবে।
তদন্ত কমিটির প্রধান গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপকমিশনার (ডিসি-পূর্ব) মাহাবুব আলম বলেন, তাবেলা হত্যাকান্ডের তদন্ত অনেক দূর এগিয়েছে। তিন খুনিকে গোয়েন্দা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তাদের সূত্র ধরেই মূল পরিকল্পনাকারীর মুখোশ উন্মোচন করা হবে।
এদিকে তিন খুনিকে গোয়েন্দা হেফাজতে নেয়ার বিষয়টি ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্বীকার করলেও তাদের নাম-পরিচয় জানাতে চাননি। এমনকি তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে কিনা তা-ও কেউ পরিষ্কার করেননি।
তবে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, তিন খুনিকে আটক করে নিরাপত্তা হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাদের দেয়া প্রতিটি তথ্য পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করে তদন্ত এগুচ্ছে। এর ‘সাম-আপ’ অনুযায়ী হত্যাকান্ডের মোটিভ এবং মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতাকে শনাক্ত করা হচ্ছে।
তবে কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে আদালতে হাজির করার আইন থাকায় তাদের আড়ালে রাখা হয়েছে। রাজধানীর উত্তরাংশের একটি গোয়েন্দা ‘সেফ হোমে’ তিন খুনিকে কখনো পৃথকভাবে আবার কখনো সামনাসামনি দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সূত্রটি দাবি করেছে। যদিও তিন খুনি আটকের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সূত্রটি কোনো অকাট্য প্রমাণ দিতে পারেনি।
এদিকে তাবেলা সিজার হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিএনপির মধ্য সারির একজন প্রভাবশালী নেতাকে ফাঁসানোর বিষয়টি পূর্বপরিকল্পিত বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি শীর্ষ নেতারা।
তাদের ভাষ্য, রাজধানীর গুলশানে ইতালির নাগরিক এবং রংপুরে জাপানি নাগরিক খুনের পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ হত্যাকান্ডের জন্য লন্ডনে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যোগসাজশের ইঙ্গিত করে আসছেন। একই সঙ্গে তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ও দাবি করেছেন দুই বিদেশি নাগরিক খুনে বিএনপি-জামায়াতের অবশ্যই মদদ রয়েছে। লন্ডন বিএনপির ভেতর থেকেই একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
FB LIke Bottom
Sunday, October 18, 2015
পেশাদার খুনি এখন গোয়েন্দা হেফাজতে। তাদের দেয়া তথ্য পর্যালোচনা করে এ হত্যাকান্ডের মদদদাতা হিসেবে এক বিএনপি নেতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment