ঢাকা জেলা পরিষদের শতকোটি টাকার দুর্ণীতির মহা নায়ক ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে
মুহাম্মদ বাবুল হোসেন,ধামরাই
ঢাকা জেলার পরিষদের শতকোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে হাসিনা দৌলাকে তলব করেছেন দুর্ণীতি দমন কমিশন (দুুদক)। ওই শতকোটি টাকার দুর্ণীতির মহা নায়ক হাসিনা দৌলার কথিত পিএস মাহাবুর রহমান (মণি) এখনও ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছেন।
জানা গেছে,ধামরাই উপজেলার রোয়াইল গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে মাহাবুর রহমান মনি এক সময় দিন চলতো অনেক কষ্টে। ঢাকা জেলা পরিষদের প্রশাসক হয় সাভারের উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হাসিনা দৌলা। হাসিনা দৌলাকে ম্যানেজ করে দুর্নীতির জন্য তার কথিত পিএস হয় মাহাবুর রহমান (মণি)। পিএস হওয়ার পর থেকেই মণি ধামরাই উপজেলার স্কুল-কলেজ,মসজিদ-মাদ্রসা,মন্দির,কবরস্থান,খেলার মাঠ,রাস্তা-ঘাট,ক্লাবসহ বিভিন্ন প্রকারের প্রায় কয়েক শতাধিক প্রকল্পর সভাপতি নামে এবং তার নিজ নামে স্বাক্ষর করে ২০১৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যান্ত এক বছরে এক হাজার ৫০টি চেকের মাধ্যমে মোট ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৩৮ হাজার ২৫০ টাকা গ্রহন করেন। এছাড়াও অন্যন্য বছরও অনুরূপভাবে চেকের মাধ্যমে তিনি অর্থ তুলেছেন। এক সময় যার নুন আনতে পান্তা ফুরাতু সেই মাহাবুর রহমান (মণি) অল্পদিনে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়। বিলাশ বহুল গাড়ী-বাড়ি ও সুন্দর সুন্দর নারী পরিবর্তন করে বেড়ান। ধামরাই উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় কয়েক শতাধিক প্রকল্প দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাধ করেছেন জেলা প্রশাসক হাসিনা দৌলার কথিত পিএস মাহাবুর রহমান মণি। এছাড়াও অনেক প্রকল্প নাম আছে কিন্তু প্রতিষ্ঠন নেয়। ওই ভূয়াও নাম দিয়েও তিনি অর্থ তুলেছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে রোয়ালই ইউনিয়নের প্রায় ৭শতাধিক প্রকল্পর এক লাখ থেকে পাচঁ লাখ টাকার পর্যন্ত প্রায় কোটি টাকার চেক নিজেই সভাপতি স্বাক্ষর করে তুলেছেন। এছাড়াও বাড়িগাঁও দূর্গা মন্দির ২ লাখ,কালিদাস পটি কালি মন্দির ২ লাখ,চন্ডাইল কালি মন্দির,সূযাপুর কালি মন্দির ২লাখ,ভাড়ারিয়া খেলার মাঠ,ক্লাব,কবরস্থান,মসজিদ ৮ লাখ,নয়াচর খেলার মাঠ,মসজিদ,কবরস্থান,মাদ্রসা,ক্লাব ঘর উন্নয়ন ব্যাবদ ১০ লাখ,বাস্থা স্কুল,মসজিদ,খেলার মাঠ,কবরস্থান,ক্লাব ৮ লাখ,সোমভাগ মসজিদ,ক্লাব,কবরস্থানসহ বিভিন্ন প্রকল্পসহ ২৯টি প্রকল্প দেখিয়ে প্রায় এক কোটি টাকা তুলেছেন ওই দুর্ণীতির মহানায়ক মাহাবুর রহমান (মণি)। এই রকম উপজেলার প্রতিটি গ্রামের মসজিদ,ক্লাব,খেলার মাঠ,কবরস্থান,মন্দির,স্কুলসহ বিভিন্ন প্রকল্প পিআইসির সভাপতির নামে এবং তার নিজ নামে স্বাক্ষর করে কোটি কোটি টাকার তুলেছেন তিনি। এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নয়াচর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ খাইরুল ইসলাম জানান,তার গ্রামের ক্লাব,মসজিদ,খেলার মাঠ,কবরস্থান ও মাদ্রসা দেখিয়ে প্রতিটি প্রকল্প হইতে ২ লাখ টাকা করে জেলা পরিষদ থেকে কে-বা কারা উঠে নিয়েছে। এ ঘটনায় সোমভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাহারুল ইসলাম জানান,তার ইউনিয়নের ২৯ প্রকল্প দেখিয়ে প্রায় এক কোটি টাকা তুলেছেন মণি। তিনি আরো জানান,একটি প্রকল্পরও টাকা আমরা পায়নি। ফলে আমরা জেলা পরিষদে চিঠি দিয়েছি পায়নি জানিয়ে। এ বিষয়ে সানোড়া ইউনিয়নের খালেদ মাসুদ লাল্টু জানান,আমার কাছে কয়েকটি মন্দির কমিটির লোক এসেছিলও তারা কোন টাকা পায়নি। এবিষয়ে জেলা পরিষদের প্রশাসক হাসিনা দৌলার পিএস মাহাবুর রহমান মণি বলেন, এগুলো তদন্ত হওয়ার পরই আপনারা বুঝতে পারবেন যে সব মিথ্যা কথা কোন দুর্ণীতি হয় নাই।এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প ব্যাস্থবায়ন কর্মকর্তা দিলিপ কুমার সাহা বলেন,জেলা পরিষদের প্রকল্প ব্যাস্থবায়ন দেখার দায়ত্ব জেলা পরিষদের প্রোকৗশলীর।
FB LIke Bottom
Thursday, October 15, 2015
ঢাকা জেলা পরিষদের শতকোটি টাকার দুর্ণীতির মহা নায়ক ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment