জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে এক ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।

জাবি ছাদ থেকে লাফ দিয়ে ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা

জাহাঙ্গীরগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে এক ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হলের এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের ৪২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং বেগম খালেদা জিয়া হলের আবাসিক ছাত্রী। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হলের হল সুপারিনটেনডেন্ট এলিজা সুলতানা বলেন, ‘রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে আমি একটি বিকট শব্দ শুনতে পাই। পরে আমি গিয়ে দেখি হলের পূর্ব পাশে ঘাসের ওপর একটি মেয়েকে পড়ে আছে। তখন তার শরীর থেকে ব্লিডিং হচ্ছিল। তৎক্ষণাত আমি আমার গাড়িতে করে মেয়েটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাই। সেখানে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে এনাম মেডিকেলে স্থানান্তর করে। বর্তমানে মেয়েটি ওটিতে রয়েছে। মেয়েটির বাম হাতের কব্জি এবং পেছনের মেরুদ-ের হাড় ভেঙ্গে গেছে বলে ডাক্তারা আমাদের জানিয়েছেন। মেয়েটির আত্মহত্যার বিষয়ে হল সুপারিনটেনডেন্ট এলিজা সুলতানা জানান, ‘ সে হলের ৪১৪ নং কক্ষে থাকতো। আমরা তার রুমে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে এক কালো ওড়না ঝুলতে থাকতে দেখেছি। নিচে একটি চেয়ারও রাখা ছিলো। কিন্তু মেয়েটি গলায় ফাঁস না দিয়ে পরে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।’

এদিকে হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ‘মেয়েটির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮ তম ব্যাচের দর্শন বিভাগের স্বপন নামের এক জনের প্রেমের সর্ম্পক ছিলো। পরবর্তীতে তাদের বিয়েও হয়েছিলো। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর স্বপন তাকে ডির্ভোস দিয়ে অন্য আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করে। এ কারণে মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। কিছু দিন আগে নৃবিজ্ঞান বিভাগের আরেকটি ছেলের সঙ্গে তার সর্ম্পক হয়। আমরা প্রায় সময় তাকে ফোনে কথাকাটা কাটি করতে দেখেছি।’ এ বিষয়ে জানতে স্বপনের সঙ্গে মুঠো ফোনে একাধিক বার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। আর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শামিমা সুলতানকে ফোনে পাওয়া যায়নি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খুব আন্তরিকতার সঙ্গে মেয়েটির খোঁজ খবর নিচ্ছে।’