রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শনিবার সকাল পৌনে ১১টায় দিকে আওয়ামী ওলামা লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। হামলায় ওলামা লীগের একাংশের সভাপতি ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী গ্রুপের হামলায় সংগঠনের অপর অংশের সভাপতি আখতার হুসাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ এসে হামলাকারী ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী গ্রুপের নেতাকর্মীদের নিবৃত্ত করে। সংঘর্ষের পর বিপুল সংখ্যক কর্মী নিয়ে মানববন্ধন করে ইলিয়াস গ্রুপ। মাওলানা আকতার হোসাইন বোখারীর নেতৃত্বাধীন ওলামা লীগের অপর একটি গ্রুপ বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাবসহ ১৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন করে। এ অবস্থায় হেলালী সেখানে পৌঁছে গাড়ি থেকে নামা মাত্রই তার গ্রুপ বোখারি গ্রুপের উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা
চালায়। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওলামা লীগের ইলিয়াস ও আখতার হোসাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ পুরস্কার পাওয়ায় অভিনন্দন জানিয়ে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। ওলামা লীগের একাংশের সভাপতি ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী যখন মানববন্ধনে আসেন তখনই টুপি পরিহিত অর্ধশতাধিক লোক লাঠি, চাপাতি নিয়ে পাশে থাকা আখতার গ্রুপের কর্মীদের ওপর হামলা চালান। হামলায় আহত ওলামা লীগের আখতার হুসাইন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসান শেখ শরিয়তপুরী জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে হেলালী গ্রুপের সন্ত্রাসীদের হামলায় আমাদের ১০ জন আহত হয়েছেন। তিনি আরো জানান, হামলায় আরো অনেকে আহত হয়েছেন। এখনো তাদের সবার নাম জানা যায়নি। আমরা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করব। তিনি গণমাধ্যমকে আহত ১০ জনের নাম জানান। তারা হলেন- মাওলানা শওকত আলী শেখ সেলিমপুরী, হাজি হাবিবুল্লাহ রূপগঞ্জী, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিকী, মাওলানা মোস্তফা চৌধুরী বাগেরহাটি, মাওলানা লোকমান হোসেন, ক্বারী মাওলানা আসাদ, মাওলানা মো. সোলায়মান, মাওলানা নাজমুল হক, মাওলানা রবিকুল ইসলাম ও মাওলানা শাজাহান। অন্যদিকে হামলার বিষয়ে ওলামা লীগের একাংশের সভাপতি ইলিয়াস হোসাইন বিন হেলালী বলেন, ‘আমি ওলামা লীগের সভাপতি। যাদেরকে জনগণ তাড়িয়ে দিয়েছে ওরা জামায়াতের এজেন্ট। হেফাজতের চর। এ জন্যই ওলামা লীগের প্রকৃত কর্মীরা ওদের পিটিয়েছে।’ হেলালী গ্রুপের অভিযোগের বিষয়ে ওলামা লীগের অপর অংশের সভাপতি আখতার হোসাইন গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান শেখ শরিয়তপুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে নিজে এবার হজে পাঠিয়েছেন। আমি ১/১১ এর সময় প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির দাবিতে প্রথম মিছিল করেছি। পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাকে ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রী চেনেন, জানেন। আমরাই ওলামা লীগের প্রকৃত অংশ। ওরা আওয়ামী লীগের কেউ না।’
FB LIke Bottom
Saturday, October 17, 2015
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শনিবার সকাল পৌনে ১১টায় দিকে আওয়ামী ওলামা লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। হামলায়
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment