FB LIke Bottom

Sunday, October 18, 2015

বাংলাদেশের যত পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগবে তার সবটুকু দিতে প্রস্তুত রয়েছে ভারত।

বাংলাদেশের যত পরিমাণ বিদ্যুৎ লাগবে তার সবটুকু দিতে প্রস্তুত রয়েছে ভারত। বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ যখনই বাংলাদেশ চাইবে তখনই ভারত থেকে চাহিদামতো বিদুৎ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
রবিবার সকালে সচিবালয়ে ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সব তথ্য জানান তিনি। এ সময় শরণও গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের চাহিদামতো বিদ্যুৎ ভারত দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এই তথ্যসহ আরও কিছু দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে কী পরিমাণ বিদ্যুৎ বাংলাদেশের লাগবে বা ভারতে দিতে প্রস্তুত তা গণমাধ্যমকে জানাননি প্রতিমন্ত্রী বিপু। বর্তমানে ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমাদানি করছে বাংলাদেশ। সামনের ডিসেম্বর আরও ১০০ মেগাওয়াট আমদানি শুরু হবে। আগামী বছর নতুন আরও এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানা গেছে। এর বাইরে রিজিওনাল পাওয়ার শেয়ারিং নিয়েও কথা হয়েছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া এবং নেপালের মধ্যে (বিবিআইএন) পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে বিদ্যুৎ আনা-নেওয়ার বিষয়েও তারা (ভারত) ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।
এই বিষয়ে চার দেশের সচিব পর্যায়ে একটি বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকের সম্ভাব্য তারিখ চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর। সহযোগিতামূলক সম্পর্কের মধ্যে বিদ্যুৎ আদান-প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় উল্লেখ করে ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ভেড়ামারা-ভেরামপুর দিয়ে এরই মধ্যে (৫০০ মেগাওয়াট) বিদ্যুৎ আদান-প্রদান করছি। এই পথের বিদ্যুতের পরিমাণ এক হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার জন্য দুই দেশই সম্মত হয়েছে।
‘পালাটানা থেকে আরও ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশকে দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
নির্মিতব্য রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্মারক হিসেবে উল্লেখ করে পঙ্কজ শরণ বলেন, দুই দেশের মালিকানাভিত্তিক এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রমাণ হয় যে, দ্বিপাক্ষিক ভাল সম্পর্ক কীভাবে নিজেদের উন্নয়নে কাজ লাগে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বাংলাদেশের সকল আইন মেনে নির্মিত হচ্ছে। এর সঙ্গে অবশ্যই পরিবেশগত বিষয়গুলো রয়েছে। তাই আমরা মনে করি, এই প্রকল্প বাংলাদেশের সকল পরিবেশগত বিধিনিষেধ মেনে নির্মাণ হতে যাচ্ছে।

No comments:

Post a Comment