FB LIke Bottom

Wednesday, October 14, 2015

পদ্মা থেকে মাথাভাঙ্গার উৎপত্তি।

পদ্মা থেকে মাথাভাঙ্গার উৎপত্তি। ভারতের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গির কাছে উৎপন্ন হয়ে কুষ্টিয়া জেলার ইনসাফ নগরের কাছে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ভেড়ামারা, দৌলতপুর, আলমডাঙা ও মেহেরপুরের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নদীটি চুয়াডাঙ্গার কাছে পুনরায় ভারতে প্রবেশ করে। এরপর চূর্ণী নদীর সংগে মিশে ভাগীরথীতে পড়েছে। বাংলাদেশে মাথাভাঙ্গার দৈর্ঘ ১৫৬ কিলোমিটার, প্রস্হ ১৫০ মিটার, স্থান-বিশেষে গভীরতা ১০ মিটার এবং অববাহিকার আয়তন ৫০০ বর্গকিলোমিটার। এতে জোয়ার - ভাটার প্রভাব নেই। নদীটি বন্যাপ্রবনও নয়। মাথাভাঙ্গার শাখা নদীসমুহ হলঃ নবগঙ্গা, কপোতাক্ষ, চিত্রা, কুমার, ভৈরব প্রভৃতি। মাথাভাঙ্গার উৎপত্তিস্হল অত্যন্ত ভাংগনপ্রবন। ভাংগনের ফলে মাথাভাঙ্গার উৎসমুখের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে। মাথার কাছে ভাংগনের কারণে নদীর নাম হয়েছে মাথাভাঙ্গা। এ নদীর তীরবর্তী স্থানসমুহের মধ্য উল্লেখযোগ্য হলঃ আলমডাঙা, দামুড়হুদা, দর্শনা, বকমারি, খলিসাকুদি প্রভৃতি।
সূত্রঃ বাংলাদেশের নদী-অভিধান।

No comments:

Post a Comment