পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে
সাভারে সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে
স্টাফ রিপোর্টার
চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক এমন ঘোষনায় সাভার পৌরসভার সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রচারনায় মাঠে নেমেছে। পৌরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিজিটাল ব্যানার টানানো হয়েছে শহরের অলিগলি পাড়া মহল্লায়। পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাভার পৌরবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে প্রচারনায় লিপ্ত হচ্ছেন একাধিক প্রার্থী। এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিজিটাল ব্যানার এটেছেন অনেক প্রার্থী। সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন এবং জনগনের সাথে কুশল বিনিময় অব্যাহত রেখেছেন। সম্ভাব্য নতুন প্রার্থীদের পাশাপাশি বর্তমান জনপ্রতিনিধিরাও তাদের আমলে উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড জনগনের মাঝে তুলে ধরছেন। বড় দুটি রাজনৈতিক দলে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়েও চলছে পক্ষে বিপক্ষে নানা আলোচনা। স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিরপেক্ষ হলেও দলীয় সমর্থন পেতে মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীরাও লবিং লিয়োঁজো অব্যাহত রেখেছেন।
সাভার পৌরসভা ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। সংরক্ষিত মহিলা আসনে ৩টি ওয়ার্ড নিয়ে একজন নির্বাচিত হবেন। স্মরণকালের ভয়াবহ দূর্ঘটনা রানা প্লাজা ধ্বস ও একাধিক নাশকতা ও দূর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত সাভার পৌর মেয়র রেফাত উল্লাহকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় অপসারন করেছে। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত মেয়র সাভার পৌরসভা চালাচ্ছেন। আগামী পৌর নির্বাচনে অপসারিত মেয়র রেফাত উল্লাহ নির্বাচন করবেন না বলে তার ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। অপর দিকে যদি রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ও দল মনোনয়ন দেয় তাহলে তিনি করতেও পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। এদিকে বিএনপির প্রার্থী যেই হোক না কেন দলীয় গ্রুপিং বেশ চাঙ্গা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, অতীতে যারা সরকারী দলের সাথে আতাঁত করে রাজনীতি করেছেন তারা দলীয় মনোনয়ন পেলেও প্রতিহত করা হবে।
এছাড়াও আওয়ামীলীগের ব্যানারে সাবেক মেয়র আশরাফ উদ্দিন খান ্ইমু , সাভার পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল গণি, সাবেক কমিশনার মোঃ হোসেন আলী প্রমুখের নাম শোনা যাচ্ছে। মনোনয়ন প্রত্যাশী ঢাকা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন খান ইমু সাভার পৌরসভার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি পরপর দুইবার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি স্বাধীনতার পর সাভার ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য ছিলেন।
মোঃ আব্দুল গণি সাভার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ সাভার পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
মোঃ হোসেন আলী সাভার পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র প্রার্থী হিসেবে সাভার উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজম খান বাবুর নাম শোনা যাচ্ছে।
অপরদিকে সাভারের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোঃ সালাহউদ্দিন খান নঈমের নামও বিভিন্ন মহলে উচ্চারিত হচ্ছে। তিনি জাতীয় পদক প্রাপ্ত সমাজকর্মী, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি (দুপ্রক) সাভার উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত। রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ সার্বিক বিষয় মাথায় নিয়ে তিনিও এগুচ্ছেন বলে তার ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে এবার কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। সবাই এলাকায় এলাকায় যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন।আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ ছাড়াও পাড়া মহল্লায় যোগাযোগ করছেন।
এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি যারা নির্বাচনে ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে থাকে তাদেরও পক্ষে রাখার জন্য প্রার্থীরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
২০১০ সালের হিসাব মোতাবেক সাভার পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে মোট কেন্দ্র ৬২টি, মোট ভোট কক্ষের সংখ্যা ৪২৫টি, ভোটার সংখ্যা মোট ১ লাখ ৬০ হাজার দুইশত বিরাশি জন। তন্মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮১ হাজার ৯শত ২২জন, মহিলা ভোটার ৭৮ হাজার ৩শত ৬০জন।
পৌরবাসীর অভিমত একজন সৎ, দল নিরপেক্ষ ও প্রশাসনিক ভাবে দক্ষ ব্যক্তিই সাভারের মত গুরুত্বপূর্ন পৌরসভার মেয়র হোক। সকল সংকীর্ণতার উর্ধ্বে উঠে পৌরসভার নাগরিকদের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করুক এটাই সকলের প্রত্যাশা।
FB LIke Bottom
Tuesday, October 6, 2015
পৌর নির্বাচনকে সামনে রেখে সাভারে সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment