FB LIke Bottom

Thursday, October 1, 2015

মুম্বাই বোমা বিস্ফোরণের পর ভারতের মাটিতে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিটির নাম দাউদ ইব্রাহিম।

দাউদ ইব্রাহিমের ১০ ঠিকানা
ফিচার ডেস্ক
মুম্বাই বোমা বিস্ফোরণের পর ভারতের মাটিতে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিটির নাম দাউদ ইব্রাহিম। মুম্বাই ও দিল্লি পুলিশ একযোগে দাউদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ঘোষণা করলে পলাতক জীবন যাপন শুরু হয় তার। এরপর থেকে বেশ কয়েকবার তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ভারত সরকার চেষ্টা করলেও, সবকটি চেষ্টাই ব্যর্থ হয়। গত কংগ্রেস সরকারের আমলে জানা যায় দাউদ ইব্রাহিম দুবাই আছেন। কিন্তু তারপরেও কিছু করা যায়নি। সম্প্রতি জানা যায়, দাউদ ইব্রাহিম দুবাইতে নয় পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তানেই আছেন বহলা তবিয়তে।
পাকিস্তানের মাটিতে অন্তত ৯-১০টি ঠিকানা দাউদ ইব্রাহিমের। যদিও পাকিস্তান ও তার ‘বিশ্ববন্দিত’ খুফিয়া এজেন্সি ‘ভদ্রলোকে’র টিকি-টাও খুঁজে পায় না। ঠিক যেভাবে আরেক ‘বিশ্ববন্দিত ও চর্চিত ব্যক্তিত্ব’ ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে পেত না পাকিস্তান। সেই একই পদ্ধতিতে দাউদকেও খুঁজে পায় না। কারণটা স্পষ্ট। ভারতের শত্রু - পাকিস্তানের মিত্র। বন্ধুকে কী করে বাঁচাতে হয়, তা পাকিস্তানের কাছে শিখতে হয়। ওরা আর যাইহোক ‘গাদ্দার’ নয়। সেটা বিন লাদেন, হাফিজ, সইদ বা দাউদ ইব্রাহিমের উদাহরণ দেখলেই বোঝা যায়। গাদ্দার ওদের দেশে জন্মায় না। গাদ্দার জন্মায় এদেশে। এদেশের খেয়ে-পরে, বোমা মেরে নিরীহ মানুষ খুন করে যারা পালিয়ে যায় শত্রুদেশে। নিজেদের বীরপুরুষ বলে মনে করে। তাদের নিয়ে সিনেমা তৈরি হয়। কোটি কোটির টাকার প্রোডাকশন হয়। নাম ছড়িয়ে পড়ে দেশে-বিদেশে। এদেশের মাটিতে চলতে থাকে তোলাবাজি, আফিম-চরস-গাঁজার রমরমা ব্যবসা। টাকা খাটে বলিউডে। আরও কত কী।
যাইহোক, এহেন এক ‘বীরপুরুষে’র ঠিকানা পাকিস্তান খুঁজে না পাওয়ায়, শেষপর্যন্ত ভারতের তরফেই খুব সম্প্রতি তার ঠিকানার একটি তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের হাতে।
১. মইন প্যালেস, আবদুল্লাহ শাহ গাজ, দরগা, ক্লিফটন, করাচি
২. ৬/এ, খয়াবান তনজিম, ফেজ - ৫, ডিফেন্স হাউজং এরিয়া, করাচি
৩. ISI সেফ হাউজড, ভউভান হিল, ইসলামাবাদ-মুরি রোড
৪. মারগালা রোড, পি-৬/২, স্ট্রিট নম্বর - ২২, হাউজ নম্বর ২৯, ইসলামাবাদ
৫. ১৭ সিপি বাজার সোসাইটি, ব্লক ৭-৮, আমির খান রোড, করাচি
৬. স্ট্রিট নং - ৩০, ফেজ-৫, DHA এক্সটেনশন করাচি
৭. আবদুল্লাহ শাহ গাজ, মাজার, করাচি
৮. ফ্লোর - ৮, মেহরান স্কয়্যার, পরদেশি হাউজ-৩, তালওয়ার অঞ্চল, ক্লিফটন, করাচি
৯. নুরিয়াবাদের পাহাড়ি এলাকায় একটি বিলাসবহুল বাংলো
এছাড়াও ভারতের হাতে এসেছে দাউদের স্ত্রী মেহজবিনের নামে এপ্রিল ২০১৫-র একটি টেলিফোন বিল যাতে ঠিকানা লেখা ডি-১৩, ব্লক-৪, করাচি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি, ক্লিফটন। (যদিও ৫ মে, ২০১৫ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী হরিভাই চৌধারি লোকসভায় বলেন, দাউদ কোথায় আছে, তা জানা নেই। পরে ১১ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং সংসদে বিবৃতি দেন দাউদ পাকিস্তানেই আছে। গতমাসে দু-দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যায়ের প্রস্তাবিত বৈঠকে দাউদের ঠিকানার এই লিস্ট পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ভারত একটি ডসিয়ার তৈরি করেছিল। পরে সেই বৈঠক স্থগিত হয়ে যায়। উপরে দেওয়া তালিকা তারই অংশ বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ।)
ইসলামাবাদ বরাবরই বলে এসেছে দাউদ পাকিস্তানে থাকে না। তবে এক ফেরার ভারতীয় নাগরিককে নিজেদের দেশে একাধিক বাসস্থান ও একাধিক পাসপোর্ট দিতে তাদের অসুবিধা হয় না। তবে ওই পাসপোর্টের কোনও সরকারি রেকর্ড নাকি নেই পাকিস্তানে। ইসলামাবাদের ইন্টারপোল ডিভিশন বলছে, এমন কোনও দাউদ ইব্রাহিম সেদেশে থাকেই না। এবং কোনও পাসপোর্টও নেই সেই নামে। তবে ভারতে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যে পাসপোর্টগুলি দেওয়া হয়েছে, তার তালিকা এরকম -
দাউদের নামে পাসপোর্টের নম্বর - G-866537 (রাওয়ালপিন্ডি থেকে ইস্যু করা)
দাউদের নামে দ্বিতীয় পাসপোর্টের নম্বর - C-267185 (করাচি থেকে ইস্যু করা)
দাউদের নামে তৃতীয় পাসপোর্টের নম্বর- KC-285901 (করাচি থেকে ইস্যু করা)
এছাড়াও
দাউদের স্ত্রী মেহজবিনের নামে পাসপোর্টের নম্বর - J-589103
ছেলে মইনের নামে পাসপোর্টের নম্বর - J-588518,
মেয়ে মারুখের নামে পাসপোর্টের নম্বর - J-563473
আরেক মেয়ে মেহরিনের নামে পাসপোর্টের নম্বর - J-563439
দাউদের ভাই অনিসের নামে পাসপোর্টের নম্বর - H-144394
আরেক ভাই মুস্তাকিনের নামে পাসপোর্টের নম্বর - KA-713357
বিশ্বের ১ নম্বর সন্ত্রাসবাদী ছিল ওসামা বিন লাদেন। আর বর্তমানে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনদের তালিকায় দাউদের স্থান দ্বিতীয়। (প্রথম স্থানে রয়েছে মেক্সিকোর মাদক-ব্যবসায়ী জোয়াকুইন গুজম্যান।) এইসব হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিত্বদের দেশের মাটিতে জায়গা করে দেওয়া কি কম বড় কথা? পাকিস্তান এক অসাধারণ নজির স্থাপন করেছে পৃথিবীর ইতিহাসে।
ঠিক যেভাবে ইতিহাস তৈরি করেছিল দাউদ নিজে। ১৯৯৩ সালে মুম্বাইয়ে সিরিয়াল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে, নিয়ে নিয়েছিল ২৫৭টি নিরীহ প্রাণ। বিছানায় শুইয়ে দিয়েছিল ৭১৩ জনকে। তারপরেও ভারতীয় ইন্টেলিজেন্স তার টিকি-টাও ধরতে পারেনি। (তবে তার ব্যবসা চল

No comments:

Post a Comment