FB LIke Bottom

Sunday, October 11, 2015

এ কথা সকলেই স্বীকার করবেন যে, গত এক যুগ ধরে কোন সরকারই পরিবহন সেক্টরকে লাগামে আনতে পারেননি।

এ কথা সকলেই স্বীকার করবেন যে, গত এক যুগ ধরে কোন সরকারই পরিবহন সেক্টরকে লাগামে আনতে পারেননি। সিএনজি অটোরিকশাই এর বড় প্রমাণ। যদি মিটার থাকেও তবুও যাত্রীরা চালকের চাহিদা অনুযায়ী ভাড়ায় যেতে বাধ্য হন। আর মিটার ছাড়া প্রাইভেট লেখা সিএনজির ভাড়ায় খাটার ঘটনা দৃশ্য তো নিত্যদিনের চিত্র। সাম্প্রতিক সময়ে যোগ হয়েছে, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির ঘটনা।
গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে গত ১ অক্টোবর থেকে সরকার ঢাকা ও চট্টগ্রামের গ্যাসচালিত গণপরিবহনের ভাড়া কিলোমিটার প্রতি ১০ পয়সা বৃদ্ধি করেছে। অথচ দেখা গেলো যে পরিবহনগুলো তেলে চলে তারাও ভাড়া বাড়িয়েছে এবং বলাই বাহুল্য সকলেরই ভাড়া বাড়ানোর হার সরকার নির্ধারিত হারের চেয়ে অনেক বেশি।
আগামী মাস থেকে সিএনজি অটোরিকশার মিটারের ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। যে বাহন মিটারেই চলে না, সেটির আবার ভাড়া বৃদ্ধির করার একটাই মানে হলো এর চালকদেরকে আরো বেশি ভাড়া চাইতে উৎসাহিত করা।
আর্মি ওয়েলফেয়ারের অধীনে মিরপুর ১০ থেকে নতুনবাজার রুটে ট্রাস্ট সার্ভিস নামে একটি বাস চলাচল করে। প্রতিটি স্টপেজে এ বাসের ভাড়া ২ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে। অথচ যত দূর জানি এ সার্ভিসের সকল বাসই তেলে চলে। আমি অন্য কোন বাস সার্ভিসের কথা বলার আগে এটির কথা বলতে চাই এ কারণ যে, এটি পরিচালনার সঙ্গে আর্মির নাম জড়িত। শৃঙ্খলিত একটি বাহিনী তাদের ব্যবসার ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা দেখাবে সেটা অন্তত কেউই আশা করে না। তারাই যদি এ কাজ করে তবে অন্যরা তো আরো বেশি করেই করবে!
গণপরিবহনে নৈরাজ্য নিয়ে আজও পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে। কিন্তু এসব বলে আসলে কোন লাভ নেই। সাধারণ মানুষ তো আসলে জিম্মি। তারা চাইলেও এর প্রতিকার পায় না। তাই প্রতিকার হবে, সেই দুরাশাও করি না!

No comments:

Post a Comment