সাভারে প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে পোশাক কারখানার মালামাল লুট
নিউজ ডেষ্ট:ওবাইদুল খান
সাভারে চাঁদা না পেয়ে প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে একটি পোশাক কারখানার মালামাল লুটে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার সকালে সাভারের তেতুলঝোড়া ইউনিয়েনের শোভাপুর এলাকায় ইনডেক্স এ্যাপারেলন্স কারখানায় এ ঘটনা ঘটে। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, কয়েক দিন ধরে ইনডেক্স এ্যাপারেলন্স কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুর আলমের কাছে কয়েক লক্ষ টাকা চাঁদা চেয়ে আসছিলো শোভাপুর এলাকার সন্ত্রাসী জসিম, রায়হান ও মাসুদ। পরে সে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আজ সকালে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে কারখানায় প্রবেশ করে শিফমেন্টের ১০৮ কাটুন রেডিমেন্ট টপ বটন সেট গাড়িতে করে লুটপাট করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মুল্য ১৯ লক্ষ টাকা।
এদিকে শিফমেন্টের মালামাল ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ায় ওই কারখানার প্রায় পাঁচ শতাধিক শ্রমিকদেরবেতন দেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে কারখানা মালিকের। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন
FB LIke Bottom
Friday, October 30, 2015
সাভারে প্রকাশ্যে অস্ত্র ঠেকিয়ে পোশাক কারখানার মালামাল লুট
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলাকে না জানিয়েই স্থানীয় সাংসদের তালবাগের বাসভবনে প্রস্তুতিমূলক সভার আহ্বান
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলাকে না জানিয়েই স্থানীয় সাংসদের তালবাগের বাসভবনে প্রস্তুতিমূলক সভার আহ্বান ॥ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলী হায়দারকে পেটালো দলীয় নেতা-কর্মীরা
সাভার: সাভারে দলীয় সভা চলার সময় সভা আহ্বানের বৈধতাকে কেন্দ্র করে লাঞ্ছিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার। এসময় দলীয় নেতা-কর্মীরা তাকে বেধড়ক পিটুনি দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। শুক্রবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে স্থানীয় সাংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমানের তালবাগস্থ বাসভবনে ২ নভেম্বর দলের কেন্দ্রীয় মহাসমাবেশে লোক সমাগম নিয়ে আয়োজিত দলের প্রস্তুতি কমিটির সভার বৈধতা নিয়ে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে অনুষ্ঠিত সভা পন্ড হয়ে যায়। সভায় উপস্থিত একাধিক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ইতিপূর্বে নিজ সিদ্ধান্তে নেওয়া কিছু বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারনে সাংসদ এনামুর রহমান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলাসহ দলের অধিকাংশ নেতার সাথে মতানৈক্য তৈরী হয় আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সাংসদ মুরাদ জংয়ের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পরিচিত আলী হায়দার। এ নিয়ে দলের বিভিন্নস্তরের নেতা-কর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। চলতি বছরের আগষ্টের দলীয় কর্মসূচীতে নিজের অনুসারীদের অংশ না নেওয়ার জন্য বলে দেওয়ার খবর প্রচার হলে ক্ষোভের মাত্রা চরমে পৌছে। সম্প্রতি ২রা নভেম্বর দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলাকে না জানিয়েই স্থানীয় সাংসদের তালবাগের বাসভবনে প্রস্তুতিমূলক সভার আহ্বান করেন দলের সাধারন সম্পাদক আলী হায়দার। এসময় তিনি বেশ কয়েকজন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাকে তিরস্কার করেন এ সভায় উপস্থিত থাকার কারনে। সভা চলাকালে এক পর্যায়ে সাংসদের বক্তব্যের পর আলী হায়দার মাইক্রোফোন হাতে নিলে তার কাছে থেকে দলের উপজেলা কমিটি’র যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মাইক্রোফোন চেয়ে নিয়ে সভাপতিকে না জানিয়ে সভা আহ্বানের পাশাপাশি দীর্ঘদিন দলীয় কর্মকান্ডে নিষ্ক্রিয় এবং সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকায় এ সভা আহবানে আলী হায়দারের এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এর পর পরই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তার উপর চড়াও হয়। কিল, ঘুষি এবং চেয়ার ছোাড়ে লাঞ্ছিত করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আলী হায়দারকে। এতে তার মাথা, হাত এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত যখম হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এসময় সাংসদের ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে তিনি পুলিশের সহায়তায় বাইরে বেরিয়ে আসেন। এদিকে দলীয় সভায় সংঘর্ষের খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আলী হায়দার দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে দলের সাভার উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। গেলো ডিসেম্বরের কাউন্সিলে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত হয়নি এখনো। এছাড়াও চলতি বছরের ১৫আগষ্টের কর্মসূচীতে নিজের অনুসারীদের অংশ না নেওয়ার নির্দেশেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে-এমনটাই অভিযোগ করেন দলের কয়েকজন নেতা। আলী হায়দার বলেন, সাংসদ ডা.এনামুর রহমানের পরামর্শে তারই তালবাগের বাসভবনে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভা ডেকে দলের ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের উপস্থিত থাকার আমন্ত্রন জানান তিনি। এসময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার উপর অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। তাকে দলীয় পদ থেকে অপসারনের অংশ হিসেবেই এ হামলার বহিঃপ্রকাশ বলে তিনি মনে করেন। তার উপর হামলার পর দলীয় সভা পন্ড হয়ে যায় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। দলের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজীব বলেন, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতির অনুমতি নিয়ে সভা আহ্বানের কথা থাকলেও তা মানা হয় নি, তাই এ সভা আহ্বাানের বৈধতা নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলেছিলাম। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলা সাংবাদিকদের বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আমার অনুমতি নিয়ে সভা আহ্বান করার কথা থাকলেও আমাকে কোন কিছু না জানিয়েই এ সভার আয়োজন করা হয়, তারপরও স্থানীয় সাংসদের অনুরোধে আমি এ সভায় অংশ নিয়েছিলাম। তবে সাধারন নেতা-কর্মীরা তা সহজভাবে নেয়নি। হামলার বিষয়ে সাভারের সাংসদ ডা. এনামুর রহমান জানান, নিয়মতান্ত্রিকভাবে সভা আহ্বান না করায় সভা নিয়ে কিছুটা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে বাক-বিতন্ডার একপর্যায়ে উত্তেজিত নেতা-কর্মীরা নিজেদের মধ্যে চেয়ার ছুড়োছুড়ি করে বলেও জানান তিনি। তবে হামলার পর দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। কোনঠাসা হয়ে পড়েছে হায়দার অনুসারীরা।
Thursday, October 29, 2015
#একজন মা তার নিজের জীবন দিয়ে, ছেলেকে সুখ কিনে দিয়ে গেলেন।। একবার হলেও পোস্টটি পড়ার অণুরুধ থাকলো।।
#একজন মা তার নিজের জীবন দিয়ে,
ছেলেকে সুখ কিনে দিয়ে গেলেন।।
একবার হলেও পোস্টটি পড়ার অণুরুধ থাকলো।।
মায়ের অনেক সপ্বনো ছেলেকে বড় Army Officer বানাবে,, আর সই সপ্বনো পূরন করতে
সার্টিফিকেট নিয়ে চলে গেলো army তে
যোগ দিতে,,,,। সব ধরনের যোগ্যতা থাকতেও
তাকে Army তে নেয়া হলনা,, সেখানে কর্মরত
একজন officer তাকে বলল,
বাবা এখানে যোগ্যতা দিয়ে কিছু হবে না,,
দরকার ক্যাশ টাকার,,, তুমি দশ লাক্ষ টাকা
নিয়ে আসো আমি চাকরীর ব্যবস্থা করে দিবো।।
এদিকে মা Hospital এর I C U তে ভর্তি,
ডক্টর বলেছে, মা'কে জরুরী অপারেশন করতে
হবে তাতে খরচ হবে প্রায় দশ লাক্ষ টাকা,,
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টাকার ব্যবস্থা করেন
নয়তো আপনার মা'কে বাচানো যাবেনা।।
ছেলে আর দেরী না করে বাড়ী গিয়ে তার বড় মামাকে সাথে নিয়ে জায়গা জমি বাড়ি বিটা
যা ছিলো সব বিক্রি করে দশ লাক্ষ টাকা নিয়ে Hospital এ পৌছালো,,
টাকা গুলা ডক্টর সাহেবকে দিয়ে, icu Bad এ শুয়ে থাকা মায়ের পাশে গিয়ে দাড়াতেই মা বলল,
বাবা তোর চাকরী হয়েছে,,
মায়ের মুখে হাসি দেখার জন্য মিথ্যা সান্তনা
দিয়ে বলল,, হা মা আমার চাকরী হয়েছে
তুমি আমার জন্য কোন চিন্তা করোনা,,এই কথা বলেই ছেলে চলে গেল,।
মা ঠিকই বুঝতে পাড়লো ছেলের চাকরী হয়নি।
মা, তার বড় ভাইকে ডেকে সব শুনলো,,
এসময় মায়ের অপারেশন করার জন্য সবধরনের
প্রস্তুতি করে ডক্টর এসে মা'কে বলল,
এখনি আপনার অপারেশন করা হবে কারো সাথে কিছু বলার থাকলে বলতে পাড়েন।
মা চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে ডক্টরকে বলল,
বাবা আমার অপারেশন করতে হবেনা।
ডক্টর অবাক হয়ে বলল,, মানে? কি বলছেন আপনি?
মা,, হ্যা,, বাবা,, আমার অপারেশন করতে হবেনা
আর আমার ছেলে আমার অপারেশনের জন্য যে টাকা দিয়েছে তা আমাকে ফিরিয়ে দেন।।
ডাঃ:-আপনি জানেন আপনি কি বলছেন?
তাছাড়া এই অপারেশন না করলে আপনি বাচবেন না।
মা:- দেখো বাবা আমিও জানি আমি বাচবনা
কিন্তু, আমার সপ্বনো, আমার ছেলেকে Armyr পোশাকে দেখবো,, আর এই দশ লাক্ষ টাকা হলেই আমার ছেলে আর্মির চাকরীটা পাবে।
তাছাড়া, আমার অপারেশন হলেই আর কতদিন বাচবো? কিন্তু আমার ছেলে যদি চাকরীটা পায় তাহলে ওর ভবিস্যত উজ্জল হবে,, ওর জীবনের বাকিদিন গুলা সুখে কাটবে,,।। আমি মা' ছেলের সুখ মানেই আমার সুখ,, হয়তো সামনে থেকে সেই সুখ উপভোগ করতে পারবো না,, তারপরও আমি ভাল থাকবো,,
ডক্টর মায়ের কথা শনে কেদে ফেলল, বলল মা আপনারা এত দয়াময়ী কেনো?
#জাবাবে মায়ের চোখের পানি জরলো!
ডক্টর টাকা উঠিয়ে ছেলের মামা কে দিয়ে সব বুঝিয়ে বলল,,, মামা টাকা নিয়ে সই Army officer কে দিয়ে বলল এই নেন টাকা,, আমার ভাগীনার চাকরীর জন্য।
ছেলে: মাকে মিথ্যা বলছিলাম,, কিন্তু আজ সত্যি চাকরী হয়েেছ,, দৌড়ে এল Hospital এ মা'কে সত্য বলবে বলে,,
কিন্তু, তখন মা আর নেই,,, icu থেকে বেড়িয়ে আসছে মায়ের লাশ,,,
মামা,, তাকে সব খুলে বলল।।তাকে সান্তনা দিতে এল সবাই, কিন্তু কিছুতেই ছেলের মন মানছে না।
মায়ের লাশ জরিয়ে ধরে হাও মাও করে কেদে উঠলো এবং বলল,,
#মা তুমি কেনো এমন করলা?
তুমিই তো আমার সব ছিলা,,
পৃথিবীর সমস্ত সুখ তো তোমার কাছেই পেতাম।
মা তুমি ,, আমার সুখের জন্য নিজের জীবনটাই দিয়ে দিলা,,,,???
Wednesday, October 28, 2015
একজন নারীর বেষ্ট ফ্রেন্ড কে? পুত্র না তার বাবা ! সাইকোলজির টিচার ক্লাশে ঢুকেই বললেন – আজ পড়াবো না। সবাই খুশি।
একজন নারীর বেষ্ট ফ্রেন্ড কে? সন্তান না তার স্বামী!
একজন নারীর বেষ্ট ফ্রেন্ড কে? পুত্র না তার বাবা ! সাইকোলজির টিচার ক্লাশে ঢুকেই বললেন – আজ পড়াবো না। সবাই খুশি।
টিচার ক্লাশের মাঝে গিয়ে একটা বেঞ্চে বসলেন। বাইরে বৃষ্টি, বেশ গল্পগুজব করার মত একটা পরিবেশ। ষ্টুডেন্ডদের মনেও পড়াশুনার কোন প্রেশার নেই।
টিচার খুব আন্তরিকতার সাথেই পাশের মেয়েটাকে বললেন– জননী তোমার কি বিয়ে হয়েছে? মেয়েটা একটু লজ্জা পেয়ে বলল- জ্বী স্যার। আমার একটা দুই বছরের ছেলে আছে।
টিচার চট করে দাঁড়ালেন। খুব হাসি হাসি মুখ নিয়ে বললেন- আমরা আজ আমাদেরই একজনের প্রিয় মানুষদের নাম জানবো। এই কথা বলেই মেয়েটার দিকে তাকিয়ে বললেন – মা আজকে তুমিই টিচার। এই নাও চক, ডাষ্টার।
যাও তোমার প্রিয় দশ জন মানুষের নাম লেখো। মেয়েটা বোর্ডে গিয়ে দশ জন মানুষের নাম লেখলো। টিচার বললেন,
এরা কারা? তাদের পরিচয় ডান পাশে লেখো। মেয়েটা এদের পরিচয় লেখলো।
সংসারের সবার নামের পাশে দুই একজন বন্ধু, প্রতিবেশীর নামও আছে। টিচার এবার বললেন – লিষ্ট থেকে পাঁচ জনকে মুছে দাও। মেয়েটা তার প্রতিবেশী, আর ক্লাশমেটদের নাম মুছে দিলো।
টিচার একটু মুচকি হাসি দিয়ে বললেন, আরো তিন জনের নাম মুছো। মেয়েটা এবার একটু ভাবনায় পড়লো। ক্লাশের অন্য ষ্টুডেন্টরা এবার সিরিয়াসলি নিলো বিষয়টাকে। খুব মনযোগ দিয়ে দেখছে মেয়েটার সাইকোলজি কিভাবে কাজ করছে। মেয়েটার হাত কাঁপছে।
সে ধীরে ধীরে তার বেষ্ট ফ্রেন্ডের নাম মুছলো। এবং বাবা আর মায়ের নামও মুছে দিলো। এখন মেয়েটা রিতিমত কাঁদছে।
যে মজা দিয়ে ক্লাশটা শুরু হয়েছিলো, সেই মজা আর নেই। ক্লাশের অন্যদের মাঝেও টানটান উত্তেজন। লিষ্টে আর বাকী আছে দুইজন। মেয়েটার হাজবেন্ড আর সন্তান। টিচার এবার বললেন, আরো একজনের নাম মুছো। কিন্তু মেয়েটা ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো। কারো নাম মুছতে সে আর পারছেনা। টিচার বললেন – মা গো, এইটা একটা খেলা। সাইকোলজিক্যাল খেলা। জাষ্ট প্রিয় মানুষদের নাম মুছে দিতে বলেছি, মেরে ফেলতে তো বলিনি!!!
মেয়েটা কাঁপা কাঁপা হাত নিয়ে ছেলের নামটা মুছে দিলো। টিচার এবার মেয়েটার কাছে গেলেন, পকেট থেকে একটা গিফ্ট বের করে বললেন– তোমার মনের উপর দিয়ে যে ঝড়টা গেলো তার জন্য আমি দুঃখিত।
আর এই গিফ্ট বক্সে দশটা গিফ্ট আছে। তোমার সব প্রিয়জনদের জন্য।
এবার বলো, কেন তুমি অন্য নামগুলো মুছলে। মেয়েটা বলল- প্রথমে বন্ধু আর প্রতিবেশীদের নাম মুছে দিলাম।
কারন তবু আমার কাছে বেষ্ট ফ্রেন্ড আর পরিবারের সবাই রইলো। পরে যখন আরো তিন জনের নাম মুছতে বললেন, তখন বেষ্ট ফ্রেন্ড আর বাবা মায়ের নাম মুছে দিলাম। ভাবলাম, বাবা মা তো আর চিরদিন থাকবে না। আর বেষ্ট ফ্রেন্ড না থাকলে কি হয়েছে?
আমার কাছে আমার পুত্র আর তার বাবাই বেষ্ট ফ্রেন্ড। কিন্তু সবার শেষে যখন এই দুইজন থেকে একজনকে মুছতে বললেন তখন আর সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না।
পরে ভেবে দেখলাম, ছেলেতো বড় হয়ে একদিন আমাকে ছেড়ে চলে গেলেও যেতে পারে। কিন্তু ছেলের বাবাতো কোন দিনও আমাকে ছেড়ে যাবে না।
ধামরাইয়ে সালিশ-বৈঠকে সংঘর্ষে আহত ১২
ধামরাইয়ে সালিশ-বৈঠকে সংঘর্ষে আহত ১২
ধামরাইয়ে গতকাল মঙ্গলবার শরীফবাগ এলাকায় জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে এক সালিশ-বৈঠকে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কয়েকজনকে ঢাকার পঙ্গু ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এলাকাবাসি জানায়, উপজেলার ধামরাই সদর ইউনিয়নের শরীফবাগ গ্রামের উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মৃত হাজী মানসুর রহমান খানের ছেলেদের সঙ্গে আপন চাচাত ভাইদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধ নিস্পত্তির জন্য গতকাল সকালে একই গ্রামের মাতাব্বর হাজী আমজাদ হোসেনের মধ্যস্থতায় এক সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠক চলাকালিন সময়ে চাচাত ভাই চেংগীস খান নালিশী জমিতে একটি গাছ কাটতে গেলে এতে বাঁধা প্রদান করে মৃত হাজী মানসুর রহমান খানের ছেলে সাইফুল্লাহ খান। এ নিয়ে প্রথমে কথাকাটাকাটি। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন পরস্পরের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে। এতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয় মিল্লাত খান (৫০), কুবলাই খান (৪০), দৌলত খান (৪২), আসাদুজ্জান খান (৫৫), তোফায়েল খান (৪৬), সাইফল্লাহ খান (৪৫) মাহবুব খান (৩৪) ও মফিজুল খান (৪০)। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তাদের অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার পঙ্গু ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
সাভারে পোশাক কারখানা ও শো রুমে ডাকাতি, আহত ৮
সাভারে পোশাক কারখানা ও শো রুমে ডাকাতি, আহত ৮
দুদিনের ব্যবধানে আবারও সাভারে একটি পোশাক কারখানা ও শো রুমে দুর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতের হামলায় পোশাক কারখানার ৮ নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে সাভারে রাজফুলবাড়িয়া এলাকার ডেলিগেট গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানা ও একটি ইলেকট্রনিক্সের শো-রুমে এ ডাকাতি হয়। এদিকে, ওই এলাকায় একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ওই এলাকার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও পোশাক কারখানার মালিকরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ডাকাতির ঘটনায় আহতরা হলেন, পোশাক কারখানার নিরাপত্তাকর্মী জাহাঙ্গীর, মিজানুর রহমান, আলমগীর হোসেন, খায়রুল হোসেন, মুকলেছুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, মিজান ও আমিনুল ইসলাম। আহত নিরাপত্তাকর্মীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার ভোর রাতে ২৫-৩০ জনের মুখোশ পরিহিত একদল ডাকাত অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওই পোশাক কারখানার দেয়াল টপকিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় তারা বাধা দিলে ডাকাত দলের সদস্যরা তাদেরকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেন। পরে তারা ওই কারখানার সব নিরাপত্তকর্মীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কারখানার মেডিকেল সেন্টারে থাকা নগদ ১০ লাখ টাকা ও প্রায় দশ লাখ টাকা মূল্যের সুতা ও কাপড় দুটি ট্রাকে তুলে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর পরই ডাকাতদলের সদস্যরা পার্শ্ববর্তী আবির ইলেকট্রনিক্স নামের একটি শো-রুমে হামলা চালায়। এসময় ডাকাতদলের সদস্যরা ওই শো-রুমের তালা ভেঙে প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী লুটে নেয়। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
উলে¬খ্য, গত রবিবার ভোরে একই এলাকার কসমেটিক্স ব্যবসায়ী সিরাজের দোকানে হামলা চালায় ডাকাত দলের সদস্যরা। এসময় দোকানের ভেতরে থাকা কর্মচারী আরিফ হোসেন (২৪) বাধা দিলে ডাকতরা তাকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর নগদ টাকা ও মালামাল লুটে নেয়। এ ঘটনার দুদিন পরেই আবারও পোশাক কারখানায় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতির ঘটনায় ওই এলাকায় ডাকাত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাজফুলবাড়িয়া এলাকার ব্যবসায়ী রুবেল মিয়া ও সেলিম আহম্মেদসহ একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের কাছে জানালে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে চুরি বলে উড়িয়ে দিচ্ছে। এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রাসেল শেখ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। প্রতিষ্ঠান দুটিতে ডাকাতি না চুরি হয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Tuesday, October 27, 2015
ইসলাম ধর্মে স্বামী স্ত্রী বহির্ভুত যেকোন শারিরীক সম্পর্ক যেমন পাপ তেমনি স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক মিলন বা সহবাস অত্যান্ত পুণ্যের কাজ।
ইসলাম ধর্মে স্বামী স্ত্রী বহির্ভুত যেকোন শারিরীক সম্পর্ক যেমন পাপ তেমনি স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক মিলন বা সহবাস অত্যান্ত পুণ্যের কাজ।
এক গুরুত্বপূর্ণ দিক সহবাস বা শারীরিক মিলন। আবার এটি শারীরিক প্রয়োজনীয়তার এক প্রকার বহিঃপ্রকাশও বটে। কিন্তু আমাদের সমাজে যৌন শিক্ষার সম্যক জ্ঞানের অভাবে অনেক কিছুই অনেকের জানা নেই।
রাতদিন শুধু ক্যারিয়ার আর ক্যারিয়ার। এভাবে সঙ্গীকে দীর্ঘ অবহেলার কারণে বিষয়টি সংসারে নানা অশান্তি এমনকি বিচ্ছেদও ডেকে আনতে পারে। আসক্তি জন্মাতে পারে মাদকে, অপকর্মে কিংবা অন্য কোনো অপরাধে। এ তো গেলো সহবাস বা শারীরিক মিলন নিয়মিত না করার সামান্য কুফল, এর চেয়ে ভয়াবহ পরিণতিও আসতে পারে। আসুন জেনে নেয়া যাক, শারীরিক চাহিদা বা ভালোবাসা প্রকাশের দিক ছাড়াও স্বামী স্ত্রী সহবাসের আর কি কি গুণ আছে সেসব সম্পর্কে।
ভালো ব্যায়াম –
স্বামী-স্ত্রীর সহবাস অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেভাবে সঞ্চালিত হয় তার মাধ্যমে ব্যয়াম কার্য খুব ভালোভাবে সম্পাদিত হয়। এর দ্বারা প্রচুর ক্যালোরি খরচ হয়, ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম হয়, রক্তপ্রবাহ ভালো হয়, সহবাস বা শারীরিক মিলন কার্যে আপনি ৩০ মিনিট ব্যয় করলে আপনার ৮৫ ক্যালোরি খরচ হয়। আপনি এক সপ্তাহ নিয়মিত হাঁটা-চলা করলে যে পরিমান ক্যালোরি খরচ হয়, সপ্তাহে তিন দিন নিয়মিতভাবে সহবাস বা শারীরিক মিলন লিপ্ত হলে আপনার সেই পরিমান ক্যালোরি খরচ হবে। সারা বছর নিয়মিত রূপে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হতে পারলে ৭৫ মাইল জগিং করার সমান ক্যালোরি আপনার শরীর থেকে নির্গত হবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাঁড়ায় –
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রে বা আমাদের ইমিয়্যুন সিস্টেম ঠিক রাখতে সাহায্য করে স্বামী স্ত্রীর শারীরিক মিলন প্রক্রিয়া। রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এটি থেরাপির মত কাজ করে, এর মাধ্যমে পাচন কার্য ঠিক হওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও সুদৃঢ় হয়।
জীবনকাল বাড়ে –
স্বামী স্ত্রীর নিয়মিত সেক্স্যুয়াল অ্যাক্টিভিটি আপনার আয়ু বাঁড়ায়। এর মাধ্যমে শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং সব তন্ত্র খুব ভালো ভাবে কাজ করে। কারণ শারীরিক কার্যকলাপ শরীরের বিভিন্ন কোষের মধ্যে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে বিভিন্ন অঙ্গগুলিকে সচল রাখতে সাহায্য করে। একদিকে যেখানে সেক্স্যুয়াল অ্যক্টিভিটির দ্বারা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক থাকে তেমনি কোলেস্টেরলের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে৷ সপ্তাহের তিনবার বা তার থেকে বেশী বার সহবাস বা শারীরিক মিলন হার্টঅ্যাটাকের সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়।
ব্যাথা থেকে মুক্তি –
বিভিন্ন অধ্যয়নের দ্বারা জানা গেছে, স্বামী স্ত্রীর এর ফলে মাথা এবং হাড়ের জয়েণ্টের ব্যাথার ক্ষেত্রে আরাম পাওয়া যায়। ওর্গাজমের আগে অক্সিটোসিন হর্মোনের স্তর সামান্য থেকে পাঁচ গুন বেঁড়ে যাওয়ায় এণ্ড্রোফিন হর্মোন নিঃসৃত হতে থাকার ফলে মাথা ব্যাথা, মাইগ্রেন আর আর্থারাইটিসএর ব্যাথা থেকে আরাম পাওয়া যায়৷ তাই ব্যাথা কমানোর ওষুধ না খেয়ে সহবাস বা শারীরিক মিলনের আনন্দ উপভোগ করুন আর ব্যাথা থেকে নিষ্কৃতি পান।
মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি –
স্বামী স্ত্রীর মানসিক প্রশান্তি আনার দিক থেকে নিয়মিত শারীরিক মিলনের অভ্যাস সব থেকে ভালো। কারণ শারীরিক মিলনের ফলে মন উত্ফুল্ল থাকে ফলে মানসিক অশান্তি কম হয়।
ভালোবাসা বাড়ে সহবাস বা শারীরিক মিলনের আকর্ষনের ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে খুশী সঞ্চারিত হয়। মনের উদাসিনতা দূর করতে এই কার্যকারিতা ভীষণ জরুরি৷ মানসিক দিক থেকে বিরক্তির নানা কারণ শারীরিক মিলনের ফলে দূর হয়ে যায়। এই সান্নিধ্যের ফলে সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয় এবং দুজনের মধ্যে ভালোবাসা বাড়ে৷ যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক উন্নতমানের তারা তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন সমস্যায় পড়লে তার সমাধান একসঙ্গে করতে পারেন।
কর্ম ক্ষমতা বাড়ে –
স্বামী স্ত্রীর সহবাস বা শারীরিক মিলনের সময় হরমোন নিঃসরণ হয় তাই মন শান্ত থাকে আর নিরন্তর কাজের ক্ষমতা বাড়তে থাকে। নিয়মিতভাবে শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তির যৌবন অনেক দিন পর্যন্ত বর্তমান থাকে। এর মাধ্যমে ফিটনেস লেবেল বাড়ে৷ শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তি সারাদিন স্ফুর্তি অনুভব করে। সারাদিনের কাজে এই স্ফুর্তির প্রভাব দেখা যায়। এর দ্বারা সারাদিনের ক্লান্তি থেকে এবং নানা রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ভালো ঘুম হয় –
শারীরিক মিলনের ফলে অক্সিটোসিন হরমোন রিলিজ হয়, ফলে মিলনের পরে ঘুমও খুব ভালো হয়৷ তাই যাদের ঘুমের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা আছে তারা অতি অবশ্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে উপকার পাবেন।
আত্মবিশ্বাস বাড়ে –
স্বামী স্ত্রীর সহবাস বা শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তির মনে চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ে। তার ভেতরকার সন্তুষ্টি তার মানসিক প্রশান্তি, তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের পরিমান বাড়িয়ে তোলে।
ওজন কমে –
স্বামী স্ত্রীর সহবাস বা শারীরিক মিলনের ফলে প্রচুর