ওরা কে, কার মদদপুষ্ট
কামরুল ইসলাম
কথার সংস্কৃতিটা বেড়েই চলেছে, কোথাও কিছু অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলো, সাথে সাথেই কতিপয় কথিত বুদ্ধিজীবী লেখক কবি জিকির তোলেন..দেশ রসাতলে গেল, দেশ রাষ্ট্র সব শেষ ... শেষতক বলেই ফেলেন.. সরকারের পদত্যাগ চাই, শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাই | সম্প্রতি দীপন হত্যাকান্ড ও জঙ্গী হামলায় সকলকে মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ করে, সচেতন বুদ্ধিজীবী লেখক কবি শিল্পী লিটলম্যাগ কমর্ীরা এর সাহসী প্রতিবাদ করে এবং দেশব্যাপি ধর্মান্ধতা, জঙ্গী হামলা বিরোধী সচেতনতার আহবান জানায় | ২ তারিখ জাতীয় কবির সমাধি চত্বরে নৃশংস জঙ্গী হামলা বিরুদ্ধে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে, তারপর কর্মসূচি ঘোষিত হবে | এই সমাবেশে কতিপয় লেখক আবেগের বশবর্তী হয়ে সরকারকে যা ইচ্ছে বলার প্রয়াস নেয় এবং প্রথিতযশা লেখক বুদ্ধিজীবীদের কটাক্ষ করে | তারপরেও ঘোষিত কমর্সূচি চলবে, দোষীদের গ্রেফতার ও ফাঁসীর দাবীতে সকলে মিলিত হবো এবং দেশব্যাপি জঙ্গী হামলার বিরুদ্ধে ' শান্তির দেশ চাই, শান্তির পৃথিবী চাই' বলে ঐক্যবদ্ধ হবো | আশ্চযর্ হলাম সেদিনের সঞ্চালক, মাঝরাতে ফেবুতে (আলাপ আলোচনা ছাড়াই) স্টাটাস দিয়ে কর্মসূচি আজীজ মার্কেটে নিলেন | আমাদের দৃষ্টিগোচর হলো পরে, আমি স্টাটাসে কর্মসূচি জাতীয় কবির সমাধি চত্বরে স্থগিত করলাম | অন্যত্র যদি পজিটিভ কিছু হয় তবে ভাল , কিন্তু তা নয় | পরে দেশের খ্যাতিমান কবি জানালেন, সেদিনের সঞ্চালক তাঁর একুশে পদক প্রত্যাহারের জন্য পীড়াপীড়ি করে বিব্রত করছেন | তখন বিষয়টি না ভেবে পারা গেল না, জাতীয় কবির চত্বরের কর্মসূচি যখন দৌড় দিয়ে অন্যত্র গেল, সেখানে ঢুকে গেল বর্জ্য পদার্থ, সরকারের পদত্যাগ চাই ..পুরানো গীত বেজে উঠলো | তারা কিন্তু বলেনি, জামাত শিবির রাজাকারদের যারা লালন করে , তাদের বর্জন করুন, জামাত রাজাকারদের বহু নামের সন্ত্রাসী সংগঠন আছে, তাদের গ্রেফতার করুন | যুদ্ধাপরাধীদের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বর্জন করুন | ধর্মের নামে যারা এসব করছে, তাদের 'শুভ বুদ্ধির উদয়ে আসুন একত্রিত হই|' সচেতন করি মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে , অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রগঠনে সহায়তা করি | সেসবের দিকে তারা নাই, তারা সরকারকে বিব্রত করার জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের পদকপ্রাপ্তদের ফোন করে পদক বর্জনের চমকপ্রদ স্টান্ডবাজিতে নেমেছে | কিন্তু তারা জামাত বিএনপি ঘরানার কাউকে বলেনি পদক বর্জনের | মহাকালের বড় ট্রাজেডি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, জাতির জনক ও তাঁর পরিবারের উপর নৃশংস হত্যাকান্ড, তারপরে জেলের ভেতর জাতীয় চারনেতার হত্যা...তারপর থেকে নষ্ট সময় পার করছে জাতি | মহান মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথায় উজ্জীবিত জাতি দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার অনমনীয় মনোভাবের কারণে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন হয়েছে | এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, সন্ত্রাসী অমুক বাহিনীর দিন শেষ হয়ে গেছে, নারকীয় জঙ্গী হামলাকারীরা গ্রেফতার হচ্ছে , সরকারী দলের উচ্ছৃংখলাকারীরা শাস্তি পাচ্ছে, বিরোধী দলের সন্ত্রাসের হোতারা আইনের আওতায়..অর্থাৎ সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও কার্যকর উন্নত শক্তিশালী রাষ্ট্রগঠনে বর্তমান সরকারের পদক্ষেপ দেশ বিদেশে প্রশংসনীয় | এই সরকার ঘোষণা দেয়, জঙ্গীদের ঠাঁই নেই বাংলাদেশে | সেই সরকারকে বিব্রত করে যারা পদত্যাগের কথা বলেন, তাদের উদ্দেশ্য কি ? তারা নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার প্রক্রিয়াকে কেন ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চায়? শুভ বুদ্ধির উদয়ের কর্মসূচির পরিবর্তে কেন তারা, খ্যাতিমানদের কটাক্ষ ভর্ৎসনা করেন ? এসব কার মদদে, কোন অশুভ শক্তির ছত্রছায়ায় করছে , তা ভেবে দেখার সময় এসেছে? শুনেছি যারা এসব কর্মে লিপ্ত , তাদের অনেকেই রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল সুবিধা ভোগ করেন , কেউ কেউ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী | ফলে অশুভ শক্তির দাপটকে পরাস্ত করতে হলে সচেতন লেখক কবি শিল্পী বুদ্ধিজীবী সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে | ..... চলবে....
FB LIke Bottom
Friday, November 6, 2015
ওরা কে, কার মদদপুষ্ট কামরুল ইসলাম কথার সংস্কৃতিটা বেড়েই চলেছে, কোথাও কিছু অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলো, সাথে সাথেই কতিপয় কথিত বুদ্ধিজীবী লেখক কবি জিকির তোলেন..দেশ রসাতলে গেল, দেশ রাষ্ট্র সব শেষ .
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment