স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভ
সাগর, পাহাড় ও ঝর্ণাকে সঙ্গী করে পথ চলার অভূতপূৰ্ব স্বপ্ন আর দূরে নয়। বছর দেড়েকের মধ্যে মেরিন ড্রাইভ (সমুদ্র তীরবর্তী সড়ক) সড়কের কাজ শেষ হলেই এ সুযোগ খুলবে দেশি বিদেশি পর্যটকদের সামনে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে হিমছড়ি ও ইনানী হয়ে টেকনাফ পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার সমুদ্র তীরে গাড়ি চালিয়ে নীল জলরাশি ও ঢেউয়ের খেলা উপভোগ করবেন পর্যটক।
প্রকল্পের মেয়াদ অনুযায়ী, কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের কাজ শেষ হবে ২০১৭ সালে। সে লক্ষে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে সেনাবাহিনী।
তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা দেয়ায় আরও গুরুত্ব পাচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের এই মেরিন ড্রাইভ প্রকল্প।
কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ প্রকল্প পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আব্দুল ওহাব জানান, ‘আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সড়কটির ৪৮ কিলোমিটারের কাজ শেষ হবে।’
তিনি বলেন, সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের উপর দিয়ে রাস্তা বের করা ছিলো সত্যিই একটি দু:সাহসিক চ্যালেঞ্জ। ১৯৯৫ সালে যখন কলাতলী থেকে কাজ শুরু হয় তখন শুরুতেই দুই কিলোমিটার রাস্তা সমুদ্রের ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে যায়।
তারপর থেকে ঢেউ সরিয়ে তার উপর রাস্তা তৈরির কৌশল খোঁজা হতে থাকে। তখন ওয়াহাবসহ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের কয়েকজন কর্মকর্তা বিভিন্ন দেশে সমুদ্র তীর রক্ষা এবং মেরিন ড্রাইভ পরিদর্শন করে এসে নিজস্ব একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন।
সেই ‘টেট্রাপড’ নামের পদ্ধতি দিয়ে এখন সমুদ্রের উপর সড়ক নির্মাণ চ্যালেঞ্জ-এ সফল হয়েছেন তারা। ভারতের তাজ হোটেলের সামনে একই আদলের পদ্ধতি অনুসরণ করে সমুদ্রের ঢেউ থেকে তীর রক্ষা করা হচেছ বলে উল্লেখ করেন এই উর্ধতন সেনা কর্মকর্তা।
সম্প্রতি মেরিন ড্রাইভ প্রকল্প ঘুরে আসেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। এ সময় তিনি ইনানী বড় ও ছোট খাল নামে দুটি সেতু উদ্বোধন করেন।
মন্ত্রী এ ব্যাপারে বলেন, সেতু দুটি আকারে ছোট হলেও মেরিন ড্রাইভ প্রকল্পের জন্য ছিলো ‘মিসিং লিংক’। সেতু চালু হওয়ায় এখনই কক্সবাজার থেকে ইনানী পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের সুযোগ থাকছে।’
মন্ত্রী ইনানী বিচকে পযটকদের একটি ‘ড্রিম পয়েন্ট’ উল্লেখ করে বলেন, ‘ইনানী বিচে আসতে আগে পর্যটকদের কিছুটা ঘুরে আসতে হতো। এখন মেরিন ড্রাইভ রোড ধরেই ইনানী আসতে কোন সমস্যা হবে না।
ওবায়দুল কাদের জানান, ১৯৮৮ সালে সেনাবাহিনী মেরিন ড্রাইভের কাজ শুরু করে। অর্থাভাবে এতোদিন ধরে থেমেছিলো স্বপ্নের প্রকল্পটি। বর্তমান সরকার ২৩২ কোটি টাকা দিয়ে জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন করে ২৭ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে।
২০১৭ সালের জুনের মধ্যে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের কাজ শেষ হবে বলে জানান মন্ত্রী।
পাশাপাশি চট্টগ্রামের মিরেরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত আরও একটি মেরিনড্রাইভ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়ার কথা জানান তিনি।
এদিকে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের নির্মাণ শেষ হলেই বিশ্ব পর্যটনের অন্যতম দুয়ার হতে পারে মেরিন ড্রাইভ সড়কটি। পূর্বে পাহাড়, পশ্চিমে সমুদ্র রেখে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ ভ্রমণে পর্যটকদের অপেক্ষা করতে হবে আরও ২০ মাস।
FB LIke Bottom
Thursday, November 12, 2015
স্বপ্নের মেরিন ড্রাইভ সাগর, পাহাড় ও ঝর্ণাকে সঙ্গী করে পথ চলার অভূতপূৰ্ব স্বপ্ন আর দূরে নয়
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment