FB LIke Bottom

Monday, November 2, 2015

৩রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবস।। জাতির জীবনে একটি কলঙ্কময় দিন।

৩রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবস।। জাতির জীবনে একটি কলঙ্কময় দিন।
৩রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবস জাতির জীবনে এক কলঙ্কময় দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর মাত্র আড়াই মাসের মাথায় ৩রা নভেম্বর '৭৫ এ ঘটানো হয় ইতিহাসের বর্বরোচিত আরেকটি হত্যাকান্ড।
কারাভ্যন্তরে নিরাপদে থাকা জাতির পিতার আজীবন রাজনৈতিক সহচর জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, ক্যাপ্টেন (অব.) মুনসুর আলী ও এ. এইচ এম কামারুজ্জামানকে এই দিনে জেলখানার অভ্যন্তরে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে।
জাতির পিতাকে হত্যা করার পর খুনি মোশতাক ও জিয়াচক্র এদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এবং এদেশ যাতে কোনদিন স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেই কারণে পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ স্থান জেলখানার অভ্যন্তরে জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করা হয়। মানবতাবোধের চরম নির্মমতা ও নিষ্ঠুর সাক্ষী হচ্ছে ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস।
দেশের আপামর জনতা যাদের নেতৃত্বে ও নির্দেশে এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে মাত্র ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এদেশেকে স্বাধীন করেছিল। যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিব নগর সরকারের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে এদেশের জনগণকে একত্রিত করে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করে বিজয়ের পতাকা উঠিয়ে ধরেছে, আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা সেই চার নেতাকে নির্মমভাবে ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বরে হত্যা করা হয়।
বাংলার জনগণ মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) মুনসুর আলী, খাদ্য ও ত্রাণ মন্ত্রী এ এইচ. এম কামারুজ্জামানকে আজীবন স্মরণ করবে। সেই থেকে ৩ নভেম্বর দিনটি বাঙালি জাতির জীবনে একটি কলংকময় দিন।
৩রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবসে জাতীয় চার নেতার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

No comments:

Post a Comment