FB LIke Bottom

Monday, November 30, 2015

: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, আসন্ন পৌর নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অংশ নিতে পারবে না। তবে তারা দলীয় প্রতীক নিয়ে না পারলেও সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলে আইনী কোনো বাধা নেই। সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না জামায়াত
30/11/2015.........
: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, আসন্ন পৌর নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অংশ নিতে পারবে না। তবে তারা দলীয় প্রতীক নিয়ে না পারলেও সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলে আইনী কোনো বাধা নেই।
সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, আপনারা অবগত আছেন গত ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্ট। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করে। বর্তমানে এ আপিল সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন আছে। তাই এই আপিলের ফয়সালা না হলে দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা মার্কায় নিয়ে জামায়াত নির্বাচন করতে পারবে না।
এমপিদের প্রাচারের সুযোগ চেয়ে আবেদন করেছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে নির্বাচনের সময় ১৫দিন বাড়ানো দাবি জানিয়েছে বিএনপি। এবিষয়ে কাজী রকিবউদ্দীন বলেন, দুই দলের দাবি অনুযায়ী শিডিউল পেছানো বা আচরণ বিধি পরিবর্তন করবে না ইসি। কারণ আমরা দেখলাম একদিনও নির্বাচন পেছানো সম্ভব নয়। তাছাড়া আওয়ামী লীগের দাবির বিষয়ে আমরা গভীরভাবে আলোচনা করেছি। যা বিধি করেছি তা পরিবর্তন করা ঠিক হবে না।
প্রসঙ্গত, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৩০ ডিসেম্বর মেয়াদোত্তীর্ণ ২৩৬টি পৌরসভায় ভোট হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩ ডিসেম্বর। যাচাই-বাছাই ৫ ও ৬ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৩ ডিসেম্বর

জীবনের স্বার্থকতা কোথায়.........? সুখ দু:খ হাসি কান্না মিলিয়ে এর নামই তো জীবন,

জীবনের স্বার্থকতা কোথায়.........?
সুখ দু:খ হাসি কান্না মিলিয়ে
এর নামই তো জীবন,
তবুও জীবন কে আর একটু
ভালো করে চিনতে চাই বুঝতে চাই,
জীবন তুমি কি ?
কি তোমার পরিচয়..........?
তুমি কি নীল খামে জড়ানো একটি চিঠি
যেখানে লেখা আছে বেদনার
প্রতিটি মুহুর্ত,
নাকি সাঁঝের বেলায় রঙধনুর রঙে
আঁকা ভালোবাসার সাত রঙ,
তুমি কি সেই বিশাল সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো
হিংস্র বার বার আঘাতে রক্তাক্ত করো
আমার হৃদয়টাকে,
নাকি তুমি সেই কাঁটা ভরা অমসৃন
পথে হেঁটে যাওয়া কোন পথিক,
তবুও জীবন কে আর একটু
ভালো করে চিনতে চাই বুঝতে চাই,
জীবন তুমি কি ?
কি তোমার পরিচয়..........?
তুমি কি সেই সেতারায় বাজানো
কোন অচেনা সুর যা শুনতেই
মনে পড়ে পুরোনো স্মৃতি,
নাকি এক টুকরো রুপালী চাঁদ
যার জোছনায় ভরিয়ে দিতে আমার অঙ্গ,
স্মৃতি গুলো শুধুই পুড়ে চলেছে
রাতের পর রাত,
বাহিরে অন্তরে ঝড় বয়ে
যাচ্ছে এলোমেলো,
কবিতার শব্দ গুলো বর্নহীন ছন্দহীন সাদাকালো
এর নাম কি জীবন ?
তবুও জীবন কে আর একটু
ভালো করে চিনতে চাই বুঝতে চাই,
জীবন তুমি কি ?
কি তোমার পরিচয় ?
এভাবে আর কতোটা পথ পাড়ি
দিলে জীবনে আসবে স্বার্থকতা......

Sunday, November 29, 2015

প্রধানমন্ত্রীসহ ছয়জনকে হত্যার ষড়যন্ত্র শিবিরের সাবেক দুই সভাপতির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হচ্ছে

প্রধানমন্ত্রীসহ ছয়জনকে হত্যার ষড়যন্ত্র
শিবিরের সাবেক দুই সভাপতির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হচ্ছে

-ফাইল ছবি
সাহাদাত হোসেন পরশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ছয় বিশিষ্ট নাগরিককে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে জামায়াত-শিবির। সংগঠনটির 'হিট লিস্টে' রয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল ও ডা. ইমরান এইচ সরকার। দেশে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি ও যুদ্ধাপরাধের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে এমন ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে।

সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় শিবিরের সাবেক সভাপতি মো. জাহিদুর রহমান ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রিমান্ডে নেয়। তাদের মোবাইল ও ল্যাপটপ বিশ্লেষণ করে জামায়াত-শিবিরের নাশকতার নকশা ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। শিবির নেতা জাহিদুর ও আসাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার অনুমতি চেয়ে ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেছে পুলিশ।

এ ছাড়া জামায়াত-শিবিরের অন্য একটি গ্রুপ তুরস্কের 'গুলেন মুভমেন্টের' আদলে প্রকাশ্য নেটওয়ার্ক বিস্টৃস্নত করার পরিকল্পনা করছে। এই গ্রুপের অধিকাংশ দলে 'সংস্কারপন্থি' হিসেবে পরিচিত। এর নেতৃত্বে রয়েছেন ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। এই গ্রুপের অধিকাংশ সদস্য 'সহিংসতাবিরোধী'। ব্যারিস্টার রাজ্জাক এখন বিদেশে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, বিশিষ্টজনকে হত্যার ষড়যন্ত্র, অগি্নসংযোগ ও নাশকতার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। জামায়াতের একটি অংশ তুরস্কের 'গুলেন মুভমেন্টের' আদলে নেটওয়ার্ক করার চেষ্টা করছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিবির ডিসি (পশ্চিম) সাজ্জাদুর রহমান সমকালকে বলেন, গত মাসে মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে শিবিরের দুই নেতা আসাদ ও জাহিদুরকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, দুই শিবির নেতার ল্যাপটপ ও মোবাইল থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, জামায়াত-শিবিরের সাংগঠনিক কাঠামোর মধ্যে দুটি ধারা বা গ্রুপ তৈরি করা হবে। প্রথমটি গোপনে সংগঠিত হবে এবং গোপনেই কার্যক্রম চালাবে। দ্বিতীয়টি প্রকাশ্যে কার্যক্রম চালাবে এবং নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করবে। প্রধানমন্ত্রীসহ ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিককে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার মধ্য দিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা করে তারা। এ লক্ষ্যে তারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিশ্বস্ত কর্মী সংগ্রহ করে কোচিংয়ের নামে ঢাকায় নিয়ে আসে। এর পর পাঁচ-সাতজন সদস্য নিয়ে ছোট ছোট দলে ভাগ করে 'স্মল সেল টেররিজম' গ্রুপ তৈরি করে। ঢাকা ও গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গায় এক থেকে তিন মাসের জন্য বাসা ভাড়া নিয়ে কথিত আকিদা, নিরাপত্তা কৌশল, অস্ত্র পরিচালনা ও বিস্ফোরক ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

পরে প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সংগ্রহের পর তা ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে রাজধানী ও গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় পাঁচ-সাতজনের ৭-১০টি দল অস্ত্র প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তৎপর রয়েছে। অত্যন্ত গোপনে জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে 'আইএস, একিউআইএস', আনসারুল্লাহ বাংলা টিমসহ অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের নামে 'দায়' স্বীকার করে ঘটনা ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সরকারকে 'ব্যর্থ' প্রমাণ করতে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত এ ধরনের নাশকতা অব্যাহত রাখার কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি ঘিরে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নাশকতা করে সরকারকে আরও চাপে রাখতে চায় জামায়াত-শিবির।

তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, জামায়াত-শিবিরের আরেকটি গ্রুপ তুরস্কের 'গুলেন মুভমেন্টের' আদলে নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করার পরিকল্পনা করছে। এ লক্ষ্যে গত ২১ অক্টোবর তুরস্কে একটি সেমিনারের আয়োজন করে জামায়াত। 'ক্রস কান্ট্রি ফিউশন' নামে সেমিনারের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে। জামায়াতের যে অংশটি তুরস্কের 'একে' পার্টির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে তাদের কারও কারও অতীত কর্মকাণ্ড স্বচ্ছ। আবার কেউ কেউ সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গোয়েন্দারা বলছেন, জামায়াত-শিবিরের এই গ্রুপকে পরামর্শ দিচ্ছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা বর্তমানে বিদেশে অবস্থানরত ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকসহ ১৩ জন।

অন্যরা হলেন জামায়াত নেতা রাজ্জাকের সহকারী ব্যারিস্টার ফুয়াদ, ব্যারিস্টার জুবায়ের, ছাত্রশিবিরের সাব

Saturday, November 28, 2015

পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি'র অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।

আওয়ামী
লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং স্বাস্থ্য ও
পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন,
পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি'র অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত প্রমাণ
করে বর্তমান সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন
সম্ভব।
আজ শুক্রবার শহীদ ডা. মিলনের ২৫তম
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মেডিকেল
কলেজে মিলনের সমাধিস্থলে বাংলাদেশ
মেডিক্যাল এ্যসসিয়েসান (বিএমএ) আয়োজিত
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা
বলেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের
তৎকালীন যুগ্মমহাসচিব ও ঢাকা মেডিক্যাল
কলেজের শিক্ষক ডা. শামসুল আলম খান মিলন ১৯৯০
সালের ২৭ নভেম্বর ঘাতকদের হাতে শহীদ হন।
বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসানের
সভাপতিত্বে সভায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু,
শহীদ মিলনের মা সেলিনা আক্তার, আওয়ামী
লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা.
বদিউজ্জমান ভূঁইয়া ডাবলু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব
মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা.
কামরুল হাসান খান, গণতন্ত্রী পার্টির নেতা ডা. শাহাদাৎ
হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, সামনের পৌর নির্বাচনে
বিএনপির পক্ষে জনগণ কি অবস্থান নেয়, তা
দেখতে চাই। জনগণ স্বাধীনতা বিরোধী
শক্তিকে ভোট দেবে না। এ নির্বাচনেও জনগণ
আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোট দেবে।
নির্বাচনে বিএনপি'র অংশ নেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন,
জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি থেকে বিএনপি যে
ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, সেই ধারা থেকে বিএনপি
ফিরে আসুক সেটাই আমরা চাই।
মিলনের স্মৃতি চারণ করে তিনি বলেন, মিলনের
মৃত্যুর মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ
নিয়েছিল। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে
নিয়ে মিলনের আত্মহুতি, তা বাস্তবায়ন করতে হলে
সকল বিভেদ ভুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, মিলনের
রক্তে গণতন্ত্র উদ্ধার করেছি, গণতন্ত্র কিনেছি।
সামরিক শাসকদের সঙ্গে মিটমাট করে গণতন্ত্র
উদ্ধার হয় না। সামরিক শাসকদের মত জঙ্গিবাদকে
উচ্ছেদ করলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।
বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন,
জঙ্গিবাদ ও খালেদা জিয়াকে আলাদা করে দেখার
কিছু নেই। বেগম জিয়া ও তার দোসরদের
মোকাবেলা করা বর্তমানে আমাদের চ্যালেঞ্জ।
শহীদ মিলনের মা সেলিনা আকতার বলেন, ২৫ বছর
পার হয়ে গেলেও মিলনের খুনি স্বৈরাচার এরশাদের
বিচার হয়নি। বরং সরকারে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের
রাজনীতিকে কলুষিত করছে। তিনি অবিলম্বে মিলন
হত্যার বিচার দাবি করেন।

Thursday, November 26, 2015

দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফেসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধের প্রতিক্রিয়া লিখেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এমপি।

দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফেসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধের প্রতিক্রিয়া লিখেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এমপি। গণমাধ্যমের উদ্দেশ্য তার স্বাক্ষরিত ওই লেখায় তিনি শুধুমাত্র মন্ত্রী হিসেবে না, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে ওই ব্যবস্থা গ্রহণের প্রেক্ষাপট ও যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন।

তিন পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম লিখেছেন, ‘প্রতিমন্ত্রীর জায়গা থেকে লিখছি না”, লিখছি এ দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে- যে দেশকে ও দেশের মানুষকে ভালোবাসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেই কিন্তু- চাঁদে কারো মুখ দেখার গুজবে প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ, আবার একটি পোস্টের কারণে (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে) বৌদ্ধ বিহারে চলেছে হামলা- আমরা সব ভুলে গেছি।'

ফান্সে সন্ত্রাসী হামলার পরে ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, 'বহু দেশ আজকের দিন পর্যন্ত সে দেশগুলোর মানুষের নিরাপত্তার জন্য “ইন্টারনেট” পর্যন্তও সাময়িক বন্ধ রেখেছে। সেদেশের নাগরিকেরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তা মেনে নিয়েছে, “টু” শব্দটি করেনি। হয়তো তারা ভাবছেন- “সামাজিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো দূর্ঘটনা ঘটার আগে “সাময়িক বন্ধ” রাখলে এই মানুষগুলোর জীবন (FRANCE এর) বাঁচানো যেত কি?'

প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমের আরেকটি আলোচিত ঘটনা উল্লেখ করে নৈতিক অবস্থানের উদাহরণ দিয়ে লিখেছেন, 'আরেকটি ঘটনা বলি, পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়া এক চিত্রগ্রাহক একটি ছবি তুললেন ক্ষুধার্ত এক শিশু এবং তার মুখোমুখি একটি শকুনের। ছবি হিসাবে অসাধারণ। তার সামনে ২টি বিকল্প ছিল- হয় তিনি ছবিটি তুলবেন, নয়তো শিশুটিকে দ্রুত তুলে নিয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালে যাবেন। তার কাছে প্রথম বিকল্পটি আকর্ষণীয় মনে হলো। তিনি তুললেন অসাধারণ ছবিটি। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শিশুটি মারা গেল। চিত্রগ্রাহক পেলেন “পুলিৎজার পুরস্কার”। কর্মের এক বিরল স্বীকৃতি। কিন্তু বিবেক তাকে তাড়া করলো সর্বক্ষণ- “যদি তখন ছবি না তুলে শিশুটিকে তিনি নিয়ে যেতেন নিকটবর্তী অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্রে, অন্তত বাঁচাবার চেষ্টা তো করতে পারতেন”! অনুশোচনায় আত্মহত্যা করলেন তিনি। আমরা বড় বেশি কঠিন, কঠোর হয়ে গেছি- তাই মানুষের জীবন বাঁচানোর চেষ্টাকারীকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। ধন্যবাদ সকলকে যারা মানুষের জীবন বাঁচানোর প্রচেষ্টাকে ব্যঙ্গ করেন, তিরস্কার করেন। এ জন্যই হয়ত মানুষের জায়গায় আসছে রোবট। রোবট হবার পথ থেকে খুব দূরে কি আমরা?'

প্রতিমন্ত্রী তারানা গণমাধ্যমকে তার বক্তব্যের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বুঝে লেখার পরামর্শ দিয়ে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন। তার বক্তব্য যেনো খন্ডাংশ আকারে গণমাধ্যমে প্রকাশ না পায় তাও অনুরোধ করেন তিনি।  ফেসবুকসহ কিছু সামাজিক যোগাযোগ সাইট বন্ধ করা হয়েছে তার যৌক্তিকতা চারটি পয়েন্টে তিনি যা লিখেছেন, তা নিম্নরুপ-

প্রথমতঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অস্থায়ীভাবে, সাময়িক সময়ের জন্য জননিরাপত্তার স্বার্থে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে, সরকারের জনজীবনের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বের অংশ হিসাবে (আবারো উল্লেখ করছি) সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
দ্বিতীয়তঃ লক্ষ্য করবেন এবার শীর্ষ দুই যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায়ের আগে বা পরে দেশে বড় ধরণের কোন নাশকতা ঘটেনি। ধর্মযাজকের উপর হামলাকারী গ্রেফতার হয়েছে। বিশিষ্টজনদের প্রাণনাশের হুমকিদাতাও গ্রেফতার হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে জানতে পারবেন নাশকতার জন্য কতজন পরিকল্পনাকারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য এবার গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
তৃতীয়তঃ না, “মাথা ব্যথার জন্য আমরা মাথা কেটে ফেলিনি”- কারণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সবুজ সঙ্কেত ও সরকারের নির্দেশনা পেলে এসব মাধ্যম খুলে দেয়া হবে। সরকারের দায়িত্ব জনগণের নিরাপত্তা বিধান করা। যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেবার জন্য একটি প্রাণহাণিও ঘটে তখন কিন্তু জনগণ সরকারকেই দোষারোপ করেন, করবেন। তাহলে জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকার সাময়িক সহযোগিতা চাইলে তা দিতে আমরা কুণ্ঠিত হব কেন?
চতুর্থতঃ বিকল্প ব্যবস্থা কি নেয়া যেত না? আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রায় সাড়ে চার মাস। এর মধ্যে সিম/রিম নিবন্ধন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কার্যক্রম জোরদার করা, ব্যান্ডউইথের দাম কমানো, টেলিটককে সক্ষম করা, বায়োমেট্রিক্স চালু করা, ডাক বিভাগের জন্য E-Cash transfer সম্প্রসারণ ও ১১৮টি যানবাহন ক্রয় প্রক্রিয়া, এমএনপি চালুর জন্য প্রক্রিয়া শুরুসহ দায়িত্ব পাবার ৩ দিনের মাথায় “প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তিকে মোকাবিলা” করার জন্যও কাজ শুরু করেছি।

প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে তিনি খুব অল্পসময় পেয়েছেন উল্লেখ করে তারানা হালিম লিখেছেন,  প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তিকে মোকাবিলার জন্য আমি প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেবার পর ইন্টারনেট সেফটি সলিউশন আমদানি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছ

Friday, November 20, 2015

আমাদের আওয়ামীলী কর্মিরা বাংলার প্রতিস্টাতা, বাংঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কে স্ব পরিবারে হারিয়েছি।আমরা হারিয়ে হারিয়ে ক্লান্ত হয়েগেছি।

প্রধানমন্ত্রী দেশ রত্ন,
শেখ হাসিনা কতোটা নিরাপদে আছেন?
আমার এটাই প্রশ্ন আমার প্রিয় fb বন্ধুরা ও দেশবাসীর প্রতি।
এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়
ঢাকা
আমাদের আওয়ামীলী কর্মিরা বাংলার প্রতিস্টাতা, বাংঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কে স্ব পরিবারে হারিয়েছি।আমরা হারিয়ে হারিয়ে ক্লান্ত হয়েগেছি।
আমরা চাইনা কারো অবহেলার কারনে আমাদের সান্তির ও উন্নয়নের দ্রুত বঙ্গকন্যা দেশরত্ন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হারাতে? দয়া করে সবাই আমার লিখাটা পড়বেন সম্পুর্ন
সরি বন্ধুরা লিখাটা একটু লম্বা হয়ে গেলো।
সম্প্রতি নেদারল্যান্ড সফরে এসে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে মিলিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশে ফিরে সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “বিএনপি-জামাত থেকে যারা আমার দলে আসতে চায়, তাদের আমরা নেব না। আওয়ামী লীগের এমন দুর্দিন আসে নাই জামায়াত বিএনপি থেকে লোক এনে দল চালাতে হবে’’
তবে তাঁর নেদারল্যান্ড সফরকালীন সময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হওয়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসার পর ব্রিটেনে আলোচনার জন্ম দেয়। শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় যুবদলের এক নেতাকে। বাংলাদেশে থাকা কালীন সময়ে বিএনপির গুম হয়ে যাওয়া নেতা এম ইলিয়াস আলী সিলেট আসলে ঐ নেতার গাড়িতেই চড়তেন বলে জানা যায়। ওই নেতা যুক্তরাজ্যে আসার পরও বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তবে সম্প্রতি তারা দুই ভাই একসাথে আওয়ামী লীগে সরব হয়েছেন।
এই মানুষটি কবে, কিভাবে আওয়ামী লীগে বা যুবলীগে যোগ দিলেন তা কেউ জানে না । কার হাত ধরে শেখ হাসিনার এতো কাছে যাওয়ার সুযোগ পেলেন এই নিয়ে ও প্রশ্ন তুলছেন অনেক নিবেদিত আওয়ামীলীগকর্মী। দীর্ঘদিন ধরে যারা বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত , নানা রকম হামলা মামলার শিকার হয়েছেন, তাঁদের অনেকেরই সৌভাগ্য হয়নি আজ পর্যন্ত শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ লাভ। যুবদলের এই নেতা বছর দুয়েক আগেও ব্রিটেনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগের শাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে মিছিল মিটিং করেছিল।
সেই একই ব্যাক্তি রাতারাতি আওয়ামী লীগার হয়ে একদম শেখ হাসিনার পিছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে গেলেন কি ভাবে?
সরকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার সময় নানা ভাবে তাঁদের অতীত রাজনৈতিক ইতিহাস যাচাই করা হয়। কিন্তু শেখ হাসিনার কাছাকাছি যারা যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন তাঁদের ব্যাক্তিগত ও পারিবারিক ইতিহাস যাচাইয়ের কি কোন ব্যবস্থা আছে? অশুভ চক্র ১৯৭৫ পরবর্তী দীর্ঘ সময়ে স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে তাঁদের মানুষ কে নিয়োগ করেছে। ছোবল দেয়ার সময় এরা খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসে।
১৯৭৫ সালে স্বপরিবারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে হত্যার সময় সৌভাগ্য ক্রমে বিদেশে থাকায় সেদিন বেচে গিয়েছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বোন শেখ রেহানা। খুনীরা হয়তো ধরে নিয়েছিল এই দুই কন্যা আর বাংলাদেশে কোনদিন ফিরে যাবে না। খুনীদের সেই ধারণা কে মিথ্যা করে দিয়ে দেশে ফিরেছিলেন শেখ হাসিনা। এর পর একে একে ছোট বড় মিলিয়ে ১৯ বার হত্যার উদ্দ্যেশ্যে তাঁর উপর হামলা হয়েছে। বারবার তিনি নেতা কর্মীর বুকের রক্তে কখনো ভাগ্যক্রমে বেঁচে গিয়েছেন। এই খুনি চক্র আজ ও হাত পা গুটিয়ে বসে নেই।
চলতি বছরের মে মাসে শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের ‘নিরাপত্তা হুমকি’ থাকায় ওই পরিবারের সাত সদস্যের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় ১৩টি বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি ছয় ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের বাসভবনের চারপাশে সুউচ্চ ভবনের বাসিন্দাদের ওপর সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারি করা হবে। এমনকি আবাসস্থলের আশপাশে কোনো ভবন, স্থাপনা বা অবস্থান থেকে কোনো প্রকার হুমকি সৃষ্টি করার মতো অবস্থা থাকলে ওই স্থাপনা অপসারণ কিংবা পরিবর্তনের মাধ্যমে আবাসস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
২৫ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রজ্ঞাপন সরকারি মুদ্রণালয়ে (বিজি প্রেস) পাঠানো হয় জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন-২০০৯’-এর ৪ (৩) ধারা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। ওই ধারায় পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত আবাসনের ব্যবস্থা ও এই বিবেচনায় প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী সরকার তাদের সার্বক্ষণিক নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দেবে। নিরাপত্তার জন্য তাদের বাসভবন, ভবনের আশপাশের ভবনে নজরদারি করবে। আবাসস্থলে কোনো ব্যক্তি বা বস্তু ঢোকানোর আগে পরীক্ষা করা হবে। আবাসস্থল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বের হওয়ার জন্য এক বা একাধিক বিশেষ নির্গমন পথের ব্যবস্থা করা হবে। আবাসস্থলে সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয়সংখ্যক নিরাপত্তাকর