FB LIke Bottom

Sunday, July 24, 2016

মালেশিয়া নতুনরূপে রাজনৈতিক দল গঠন করছেন মাহাথির মোহাম্মদ ।

মালেশিয়া নতুনরূপে রাজনৈতিক দল গঠন করছেন মাহাথির মোহাম্মদ ।

মালেশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ নতুন দল গঠনের পরিকল্পনা করছেন।পরবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে এখনকার বিরোধী শিবিরের সঙ্গে জোট গঠন করতে এ দল গড়ার চিন্তা করছেন তিনি। বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ৯১ বছর বয়সী মাহাথির মোহাম্মদ। খুব শীঘ্রই ড. মাহাথির মোহাম্মদ তাঁর নেতৃত্বে নতুন এ রাজনৈতিক দল ও জোটের নাম ঘোষনা করা হবে বলে তিনি জানান।

মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, আমরা যারা নাজিবের কার্যক্রমের বিরোধিতা করি, তারা একসঙ্গে কাজ না করা পর্যন্ত বিজয় লাভ করতে পারবো না। তবে ১৯৮১ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত টানা ২২ বছর মালেশিয়াকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়া মাহাথির জানিয়ে দেন, তিনি দল গঠন করলেও নির্বাচনে লড়বেন না, দাঁড়াবেন না প্রধানমন্ত্রী পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ও। মাহাথির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের দল ক্ষমতাসীন দল ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনেরই (উমনো) রাজনীতিক ছিলেন। এই দল থেকেই নির্বাচন করে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘ সময়।

তিনি বলেন, আমরা একটি নতুন সরকার চাই দেশের জন্য। নতুন এ জোট এখন থেকে আগামী ১৪তম সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাবে। সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষমতাসীন দলের সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট শফি আফদাল সহ ডিএপি,পিকেআর ও পাটি আমানা’র শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।প্রতিদিন মালেশিয়ার সব ধরনের খবর জানতে আমাদের পেজে লাইক কমেন্ট শেয়ার করে সক্রিয় থাকুন ।

Friday, July 22, 2016

আপনি একা নন, শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদী জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াইয়ে ভারত সব সময় বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবে বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন।

আপনি একা নন, শেখ হাসিনাকে নরেন্দ্র মোদী
জঙ্গিবাদবিরোধী লড়াইয়ে ভারত সব সময় বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবে বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন।
জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ভূমিকার জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেছেন, “সন্ত্রাস- জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আপনি একা নন, এর বিরুদ্ধে আপনি যে লড়াই করছেন তাতে ভারত সব সময় আপনাকে পূর্ণ সমর্থন দেবে।”
বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সে বেনাপোল ও পেট্রাপোল সমন্বিত চেকপোস্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
সম্প্রতি ঢাকার গুলশানের একটি ক্যাফেতে এবং কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈগদাহ ময়দানের কাছে জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশিসহ ২৫ জন নিহত হন। গুলশানে নিহতদের মধ্যে ভারতের এক নাগরিকও ছিলেন।
জঙ্গি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে নিহতদের জন্য শোক প্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদী।
তিনি বলেন, “আমার ও আমাদের দেশের মানুষের জন্য এটা খুবই কষ্টের যে, পবিত্র রমজান মাসে ঢাকা ও কিশোরগঞ্জে দুটি সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন মন্দির ও এর পুরোহিত এবং সাধারণ মানুষের ওপর হামলার ঘটনাও দুঃখজনক।”
চেকপোস্ট উদ্বোধনের এই অনুষ্ঠানে প্রথমে বাংলায় বক্তব্য শুরু করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ থেকে আমাদের দুই দেশের মধ্যে আদান-প্রদান আরও সহজ হবে। আমরা আরও কাছাকাছি এলাম। এ শুভ অনুষ্ঠানে সকলকে জানাই অভিনন্দন।”
এরপর মোদী হিন্দিতে কথা শুরু করে শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমন্বিত চেকপোস্টের উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “আজ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় দিন। পারস্পরিক আদান-প্রদানের নিরিখেও আজকের দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।”
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় এরকম আরও আটটি সমন্বিত চেকপোস্ট স্থাপনের পরিকল্পনার কথা জানান মোদী।
বেনাপোল-পেট্রাপোল দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় স্থল বন্দর। সমন্বিত চেকপোস্টের মাধ্যমে এখান দিয়ে দুই দেশের মানুষ ও পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ভিডিও কনফারেন্সের এই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতাও বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, “আজ ঐতিহাসিক দিন। ইন্ডিয়া এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক চিরকালের, চিরদিনের, চিরগভীর।”
মমতা তার বক্তৃতায় ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশ ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের যোগাযোগের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “এর মধ্য দিয়ে সম্পর্ক যেমন বাড়বে, তেমনি বাণিজ্যও বৃদ্ধি পাবে।”
শেখ হাসিনা বলেন, “আন্তঃদেশীয় বাণিজ্য দেশীয় অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যের গুরুত্ব অপরিসীম।”
দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক টেকসই ও জোরদার করার লক্ষ্যে উভয় সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “কাজেই সেগুলি আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানো, মানুষে মানুষে যোগাযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখছে।”
সড়ক, রেল, নৌপথে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ শুরু করা এবং মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথাও তার বক্তৃতায় তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, “প্রতিবেশী দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক সব সময় সুন্দর থাকবে, সৌহার্দ্যপূর্ণ থাকবে এবং যে কোনো সমস্যা আমরা দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করতে পারব; যা অতীতেও আমরা করেছি।
“দুই বন্ধুপ্রতীম দেশ; দুদেশের জনগণের কল্যাণে, স্বার্থেই আমাদের এই যোগাযোগটা একান্তভাবে প্রয়োজন ছিল।”
শেখ হাসিনা এসময় ভারত-বাংলাদেশের পাশাপাশি আঞ্চলিক যোগাযোগের বিষয়টিও তুলে ধরেন।
“আঞ্চলিক যে যোগাযোগ আমরা স্থাপন করেছি; যেমন নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া। অপরদিকে মিয়ানমার, ইন্ডিয়া, বাংলাদেশ, চায়না। এই যোগাযোগের ফলে এই অঞ্চলের মানুষ সব থেকে বেশি লাভবান হবে এবং আমাদের দুদেশের অর্থনীতি আরও মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে- সেটাই আমি বিশ্বাস করি।”
মোদী ও মমতার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সমন্বিত চেকপোস্ট উদ্বোধনের পর বেনাপোলের প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করতে হলে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সদ্ভাব থাকা প্রয়োজন।
বেনাপোল বন্দর সুষ্ঠুভাবে যাতে পরিচালিত হতে পারে, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ‘স্ব-স্ব’ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
“এমন কিছু করবেন না যাতে আমাদের দেশের বদনাম হয়।”
সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের সকলকে উদ্যোগ নিতে হবে, স্ব-স্ব এলাকায়, প্রতিটি পাড়া-মহল্লায়। কারা বা কাদের ছেলে-মেয়েরা এই সন্ত্রাসের সাথে জড়িত বা সন্ত্রাসীদের দোসর, তাদের খুঁজে বের করা দায়িত্ব এবং বিশেষ করে এই পথে যে কোমলমতি ছেলেরা যাচ্ছে তাদের বিরত করা।”
এই বিষয়গুলির দিকে বিশেষভাব

Sunday, July 17, 2016

সন্ধ্যার আকাশে যদি দেখো- তীব্র মেঘের ডাকাডাকি চমক বিদ্যুতে- তুমি ভয় পেওনা আমি থাকবো সেথায়- দেখো তুমি আকাশ পানে চেয়ে,

সন্ধ্যার আকাশে যদি দেখো-
তীব্র মেঘের ডাকাডাকি চমক বিদ্যুতে-
তুমি ভয় পেওনা আমি থাকবো সেথায়-
দেখো তুমি আকাশ পানে চেয়ে,
জানালা গুলো ভুল করেও দিওনা বন্ধ করে।
যদি রিমঝিম ছন্দ তোলা শব্দ শোনো রাতে-
আমার কথা মনে করে-
বিষণ্ণতায় হৃদয় ভেঙে কষ্ট নেমে আসে,
তুমি বাতায়ন খুলে দাড়িয়ে থেকো তবে-
আমি হিমেল হাওয়ার শীতলায়-
দেবো তোমায় ছুঁয়ে,
হাত বাড়িয়ে একটু খানি বৃষ্টি দেখো ছুঁয়ে-
কেমন করে আমায় ছোঁয়ার-
অনুভবে তোমার হৃদয় শীতল হবে,
আবার বাইরে এসে বন্ধ চোখে -
যদি বৃষ্টির পানি নাও শরীরে মেখে,
দেখবে সকল ক্লান্তি টুকু নেই -
হওয়ায় মিলিয়ে যাবে।
আমি থাকবো ওই আকাশে আর-
দৃষ্টি তোমার দিকে,
বৃষ্টির প্রতি কণায় কণায় তোমার জন্য -
থাকবো আমি মিশে,
তুমিই পাবে আমায় সারা জীবন-
শুধু বৃষ্টির ছোঁয়ার মাঝে,
ওই আকাশের মেঘের ভাঁজে-
থাকবো লুকিয়ে তোমার পথ চেয়ে।
বর্ষার জ্বলের বিন্দু কণায় পড়বো ঝরে ঝরে-
শুধু তোমার একটু ছোঁয়ার লোভে,
থাকবো আমি অপেক্ষাতে-
বছর ঘুরে কখন আবার বর্ষার দিন আসে,
আমি থাকবো মিশে বর্ষায় সাথে-
অনন্ত কাল ধরে।

Saturday, July 16, 2016

বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ হারমোনি অব দ্য সিস

বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ হারমোনি অব দ্য সিস
------------------------------------
বিস্ময়কর এ জাহাজ টাইটানিকের চেয়েও বড় ৩০৬ ফুট। দৈত্যাকার জাহাজটি সমুদ্রের বুকে যেন এক ভাসমান শহর। ১১৮৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২১৫.৫ ফুট প্রস্থের জাহাজটি দশতলা উঁচু ভবনের সমান। জাহাজটিতে আছে ১৮টি ডেক ও চারটি ফুটবল খেলার মাঠ। ২ লাখ ২৭ হাজার টন ওজনের এ জাহাজে যাত্রী ধরবে ৬৭৮০ জন। আর এটি নির্মাণে লেগেছে ৮০০ মিলিয়িন পাউন্ড। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর মূল্যমান ৯ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। হারমোনি অব দ্য সিস ফ্রান্সের সেন্ট-নাজাইরি থেকে ৭ জুলাই সকাল ৬টায় লন্ডনের ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে সাউদাম্পটনে পৌঁছেছে। উৎসুক জনতা জাহাজটি দেখতে ভিড় জমিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রয়েল ক্যারিবিয়ান ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি জাহাজটি তৈরি করেছে। এতে আছে ২০টি ক্যান্টিন, ২৩টি সুইমিংপুল ও ৫২টি গাছ, ক্যাসিনো, ২৭৪৭টি কেবিন ও নানান সুযোগ-সু্বিধা। জাহাজের নাবিক আছে ২১০০ জন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ হারমোনি অব দ্য সিস। জাহাজটি এখন সাউদাম্পটনের ঘাটে বাঁধা আছে। সেখান থেকে জাহাজটি প্রথম যাত্রা করবে। জাহাজটি তৈরি করতে সময় লেগেছে ২ বছর ৮ মাস। রোদ্রজ্জ্বল ছবিতে হারমোনি অব দ্য সিস। জাহাজটির ওজন ২ লাখ ২৭ হাজার টন।প্রথম যাত্রায় সমুদ্র উপকূলের নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেছে। প্রথম ভ্রমণটি অবশ্য বিনা টিকিটেই করতে পারবেন যাত্রীরা। এরপর পর থেকে যাত্রীদের টিকিট কিনতে হবে। গেল শনিবার লন্ডনের সাউদাম্পটন থেকে নেদারল্যান্ডের রটারডাম পর্যন্ত চারদিনের একটি ভ্রমণের আয়োজন করেছে জাহাজ কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৯ মে জাহাজটি বার্সেলোনা ভ্রমণের মাধ্যমে প্রথম বাণিজ্যিক ভ্রমণ শুরু করবে। এ যাত্রায় ৩৪ দিনে বার্সেলোনা পৌঁছাবে জাহাজটি। শরৎকালে জাহাজটির রুট হবে যুক্তরাষ্টের ফ্লোরিডা হয়ে ভূমধ্যসাগরের কাছাকাছি দেশগুলো। আর শীতকালে ক্যারিবিয়ান দেশগুলো। জাহাজটি ৭৭টি দেশ থেকে যাত্রী তুলতে পারবে।এমন একটি জাহাজ যা শুধু যাত্রীই বহন করে না, সমুদ্রের সৌন্দর্যও বাড়ায়। টাইটানিক এর কাছে একটি মাছের পোনার মতো। জাহাজটির নিরাপত্তায় রয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। বিশাল ১০ তলা রাক্ষুসে জাহাজ। ছবিটি জাহাজের পেছন দিক থেকে তোলা।এত বড় জাহাজ দেখে আমি অভিভূত। চারিদিকে স্বচ্ছ কাঁচের দেয়াল, মাঝে মাঝে পরিস্কার স্টিল চোখ জুড়িয়ে দেয়।

Thursday, July 14, 2016

ক্ষমা করে দাও,মাফ করে দাও- Bangla Islamic song (H…: http://youtu.be/eq567HOuXCg

সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক – যশোরে আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কাজের অভিযোগে ১৪ নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ।

সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক – যশোরে আবাসিক হোটেলে অনৈতিক কাজের অভিযোগে ১৪ নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকেলে শহরের উকিলবার এলাকার বহুল আলোচিত ‘ হোটেল সুপারস্টার’ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন-খাজুরা বাজার তৈলিধান্য পুড়া আওয়ামলীগে নেতা মোঃ- জিয়াউর রহমান (জয়) এর ছোট বোন সাদিয়া পারভীন (শস্পা)- ২২
গৌরনগর,বাঘারপাড়া যশোর। মাগুরা সদর উপজেলার সীমাখালি গ্রামের শহিদ উদ্দিনের মেয়ে তিশা (১৯), মাগুরার শালিখা থানার কৃষ্ণপুর গ্রামের শামছুর রহমানের মেয়ে রত্মা (২০), যশোর শহরের রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে তিথিলা আহম্মেদ (১৯), ঝিকরগাছা উপজেলার মাগুরা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে তায়েবা (১৮), অভয়নগরের মাগুরা গ্রামের মাসুদ রানার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (২০), শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া গ্রামের আজগর আলীর স্ত্রী জাহানারা (২২) ও নড়াইল সদর উপজেলার শরপোড়া গ্রামের মান্নান গাজীর মেয়ে রাবেয়া (১৮)।
এছাড়া সাত জন পুরুষকে আটক করা হয়েছে। তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন জানান, বিকেলে সুপারস্টার হোটেলে অভিযান চালিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪ নারী-পুরুষকে আটক করা হয়।

Sunday, July 10, 2016

দালাল এবং সাঙ্গপাঙ্গঃ সামাজিক এক জন দালাল কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে দালাল চক্র।

দালাল এবং সাঙ্গপাঙ্গঃ
সামাজিক এক জন দালাল কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে দালাল চক্র।সামাজিক ব্যবস্থায় নিন্ম স্তরের এসব কাপুরুষরা মূল দালালের এজেন্ট হিসেবে সংগ্রহ করে ধান্দার ইস্যু।মূল দালালের উপস্থিতিতে যা লাভ হয় তা হতে কমিশন বানিজ্য করে এজেন্টরা।ফলে সামাজিক বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পরেছে।সামাজিক ভারসাম্য রক্ষায় এই বিচার ব্যবস্থা একটা সময় প্রচন্ড ভাবেই কার্যকর ছিল কিন্তু এখন এই বিচার ব্যবস্থা একটি পেশায় রুপান্তরিত হইছে।বিচারের আগেই নির্ধারন হয়ে যায় কে জিতবে/হারবে।তাইতো সমাজের নিম্ন স্তরের মানুষের যৌক্তিক দাবীও আজ টিকছেনা কারন তারা অর্থনৈতিক ভাবে অসচ্ছল।আমরা যারা প্রবাসী,সমাজের সাথে আমাদের বড় একটা গ্যাপ।নতুন প্রজন্ম আমাদের খারাপ দিকটা জানবেনা সেটাই স্বাভাবিক।২/৩ বছর পর পর দেশে যাবো,সবার সাথে হাসি মুখে মিশবো,সবাই চিন্তা করবে আমি আসলে কত ভালমানুষ কিন্তু যখন দেশে যাবো,সামাজিক বিচার ব্যবস্থার সাথে মিশবো তখনই কেবল সবাই বুজতে পারবে আসলে আমি কত ভাল/খারাপ।
আমি আমার ব্যক্তি জীবনে কিছু মানুষকে অত্যন্ত শ্রোদ্ধা এবং ভালবাসতাম।যাদেরকে অনুসরন করার চেষ্টাটাও ছিল মন থেকেই কিন্তু তাদের বিষয়ে এখন যদি কারো কাছে জিজ্ঞেস করি তাহলে বলে সেও এখন দালালী করে,ফিটিং খায়।এমন সংবাদে আশাহত হই।চিন্তা করি এমন মানুষ গুলা যদি দালালী করে তাহলে সমাজের প্রান্তিক মানুষ গুলা ন্যায় বিচার পাবে কোথায়?আমরা নিজ হাতেই ভাঙছি সামাজিক বিচার ব্যবস্থা।
তাই নিরেট চোখ নিয়ে তাকিয়ে থাকি যুব সমাজের দিকে।যুব সমাজের উচিত,সামাজিক বিচার ব্যবস্থায় নিজেদের অংশ গ্রহন বাড়ানো এবং দুর্বলের জন্য ন্যায্যতা আদায়ে কাজ করা,প্রয়োজনে প্রতিবাদ করা কারন দালাল শ্রেনীর শোষনে প্রান্তিক শ্রেনী অনেকটাই অসহায়।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার বিকাল ৫টার কিছু পর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে আসেন। প্রধানমন্ত্রী প্রায় দেড় ঘণ্টা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেন।
সাক্ষাতকালে আবদুল হামিদ এবং শেখ হাসিনা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
এসময় প্রধানমন্ত্রী দেশের সার্বিক পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী তার বুলগেরিয়া, জাপান এবং সৌদি আরব সফর সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেছেন।
এছাড়া রাষ্ট্রপতির ভুটান সফর নিয়েও তাদের মধ্যে কথা হয়েছে বৈঠকে।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে এসে পৌঁছুলে রাষ্ট্রপতি তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী রাশিদা খানমও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

গণতন্ত্র মানে যদি হয় যুদ্ধাপরাধীদের সাথে বৈঠক ,প্রয়োজন নেই সেই গণতন্ত্রের। গণতন্ত্র মানে যদি হয় সন্ত্রাসী ও বোমাবাজদের সাথে আপোষ, প্রয়োজন নেই আমাদের সেই গণতন্ত্রের।

গণতন্ত্র মানে যদি হয় যুদ্ধাপরাধীদের সাথে বৈঠক ,প্রয়োজন নেই সেই গণতন্ত্রের।
গণতন্ত্র মানে যদি হয় সন্ত্রাসী ও বোমাবাজদের সাথে আপোষ, প্রয়োজন নেই আমাদের সেই গণতন্ত্রের।
গণতন্ত্রের চাইতে বেশি মুল্যবান আমার মায়ের সন্মান।আর আমার মায়ের প্রতিরুপ হচ্ছে আমার দেশ ,আমার সোনার বাংলাদেশ।যে গণতন্ত্র আমার মায়ের অবমাননা করে, প্রয়োজন নেই সেই গণতন্ত্রের।
ইস্পাত দৃঢ় মনোবল নিয়ে এগিয়ে যান।প্রকৃত যোদ্ধাদের পাশেই পাবেন আজিবন।
জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশে প্রত্যাবর্তন করলেন, তখন লক্ষ লক্ষ মানুষ একটি শ্লোগান দিয়েছিল, ‘শেখ হাসিনা ভয় নাই, আমরা আছি লাখ ভাই’। শ্লোগানটিকে তখন আমরা শুধুই একটি শ্লোগান মনে করেছিলাম৷ কিন্তু তখন আমরা বুঝতে পারিনি, একটি নাম যখন একটি চেতনায় পরিনত হয় - তখন সেই নামটিকে বাচিয়ে রাখতে মানুষ হাসতে হাসতে জীবন দিতে পারে ৷ যার প্রমান ২১শে আগস্ট৷
২১শে আগস্ট যখন গ্রেনেড হামলা করা হয়, তখন স্টেইজে তাকে ঘিরে কয়েক স্তর মানব দেয়াল তৈরী করা হয়। দেয়াল তৈরী করতে যে ইটগুলা ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই ইটগুলিই সেইদিনের শ্লোগান দেওয়া ‘আমরা আছি লক্ষ ভাইয়ের দল’৷ গ্রেনেড মারা যখন বন্ধ হলো, তারপরই শুরু হলো অবিরাম গুলি বর্ষণ৷ মানব দেয়াল ভাঙ্গতে শুরু করলো, ইট খসে পড়ার মতো লুটিয়ে পড়তে লাগলো মানব বন্ধনের একেকজন। সাথে সাথেই আরেকজন সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে দাঁড়িয়ে গেল ৷ এভাবেই বিমান বন্দরে দেয়া কথা -"শেখ হাসিনা ভয় নাই, আমরা আছি লাখ ভাই" নিজের জীবনের বিনিময়ে রাখতে চেষ্টা করলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার জিবন।

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

Saturday, July 9, 2016

এই পুলিশকে সালাম করে বুকে জড়িয়ে ধরতে মন চায়, বুঝতে চায় উনি আসলেই বাংলাদেশের পুলিশ না অন্য জগতের ! ক্রসফায়ারের যুগে এ কেমন পুলিশ !

এই পুলিশকে সালাম করে বুকে জড়িয়ে ধরতে মন চায়, বুঝতে চায় উনি আসলেই বাংলাদেশের পুলিশ না অন্য জগতের ! ক্রসফায়ারের যুগে এ কেমন পুলিশ !
নির্ধারিত দিনে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান গেলেন সাভার থানায়। সভাকক্ষটি জনাকীর্ণ। কর্মকর্তারা জানালেন, সাভারের বেদেপাড়ায় ১৭ জন সরদার আছেন, তাঁরা সবাই এসেছেন।
পুলিশ সুপার (এসপি) সবাইকে বসতে বললেন। তাঁরা বসছেন না। কয়েকজন বলে উঠলেন, ‘বাবু, আমরা কি কোনো দোষ করছি?’ এসপি তাঁদের অভয় দিয়ে বসালেন। তিন বছর আগের সেই কথোপকথন এভাবে স্মরণ করলেন এসপি হাবিবুর রহমান।
এসপি: আপনারা কী কাজ করেন?
সরদার: জাত ব্যবসা, স্যার। সাপের খেলা দেখাই। শিঙা লাগাই।
দাঁতের পোক খোয়াই। তাবিজ-কবচ বেচি।
এসপি: দাঁতে কি আসলে পোকা পড়ে? শিঙায় কি বিষ-ব্যথা ভালো হয়?
(সবাই নিশ্চুপ) একজন বলে উঠলেন, ‘সব ধোঁকা, স্যার।’
এসপি: তাহলে করেন কেন?
সরদার: বাপ-দাদার পেশা।
এসপি: এই দিয়ে কি সংসার চলে? পাড়ার যুবকেরা কি কাজ করে?
(পিনপতন নীরবতা) মাদক বেচাকেনা হয়?
সরদার: হয়।
এসপি: মাদক আসে কোথা থেকে?
সরদার: উখিয়া (কক্সবাজার) থেকে।
এসপি: কীভাবে?
সরদার: সাপের বাক্সে করে। কাঠের বাক্সভর্তি সাপ থাকে। আর বাক্সের চারপাশে ঘুপচি বানিয়ে ইয়াবা বড়ি ঢুকিয়ে আনা হয়।
এসপি: ইয়াবায় আপনাদের বাচ্চাকাচ্চারা তো সব শেষ হয়ে যাবে।
সরদার: জি স্যার। কোনো কাজ দেন, স্যার।
এরপর এসপি হাবিবুর রহমান যেন এক আশ্চর্য প্রদীপ জ্বাললেন। তাতে সাভার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের এই আপাত-অন্ধকার অংশটি আলোকিত হয়ে উঠল। ঢাকার সাভার উপজেলার বংশী নদীর তীরে পোড়াবাড়ি, অমরপুর, কাঞ্চনপুর ও বাড্ডা গ্রামের একাংশ নিয়ে অন্তত ১৫০ বছর আগে গড়ে ওঠা বেদেপাড়ায় এখন পাকা ঈদগাহ আছে। পাড়ায় ১১টি পাকা রাস্তা হয়েছে। হয়েছে স্যানিটেশনের ব্যবস্থা। বুটিক কারখানায় কাজ করছেন বেদে নারীরা। স্থানীয় স্কুল-কলেজে বিনা বেতনে পড়ছে ৩১৭ বেদে শিক্ষার্থী। তাদের বিনা পয়সায় পড়ানোর জন্য খোলা হয়েছে কোচিং সেন্টার। ১০৩ জনের জন্য বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৪২ জন নারীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পোশাক কারখানায়। ৩৬ জন বেদে যুবককে দেওয়া হয়েছে গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ। পুলিশে চাকরি করছেন তিনজন। বেদেপাড়ার ভেতরে স্কুল হচ্ছে। ভাসমান বেদেদের আবাসনের জন্য পৌনে তিন একর জমি বরাদ্দ হয়েছে। বাল্যবিবাহ কমেছে। এখন বেদেপাড়ার লোকজন জানেন, ১৮ বছর বয়সের পর বিয়ে করলে সব খরচ দেবেন এসপি হাবিবুর রহমান।
মাত্র তিন বছরে এই বিপুল পরিবর্তন বেদেপাড়াকে ‘মাদকের হাট’-এর কুখ্যাতি থেকে মুক্তি দিয়েছে। কীভাবে শুরু হলো এই কর্মযজ্ঞ—প্রশ্ন করতেই শুরু করলেন এসপি হাবিবুর রহমান, ‘তাদের কী কাজ দেওয়া যায়, তা বোঝার জন্য বেদেপাড়ায় গেলাম। পোড়াবাড়িতে একটা খোলা মাঠের পাশে সবাই জড়ো হয়েছে। সরদাররা জানালেন, এটা ঈদগাহ মাঠ। এখানে বেদে সম্প্রদায়ের (৯৮ শতাংশ মুসলিম) লোকেরা ঈদের নামাজ আদায় করেন। বললাম, আসছে ঈদে আপনারা পাকা ঈদগাহে নামাজ পড়বেন। সরদাররা মুখ চাওয়াচাওয়ি করলেন। সাভার পৌরসভার তখনকার মেয়র রেফাত উল্লাহকে খবর পাঠালাম। মেয়র এলেন একজন কাউন্সিলরকে নিয়ে। সবার সামনে তাঁর কাছে সহায়তা চাইলাম। তিনি বললেন, উন্নয়ন প্রকল্পের ৫০ লাখ টাকা তাঁর হাতে আছে। মেয়র পুরো টাকাই ১ নম্বর ওয়ার্ডে বরাদ্দের ঘোষণা দিলেন। সঙ্গী কাউন্সিলর বললেন, এই টাকা নয়টা ওয়ার্ডের জন্য এসেছে। অন্য কাউন্সিলররা মানবেন না। মেয়র বললেন, “আমরা তাঁদের বোঝাব।”’
অবশ্য এর আগে ২০০৮ সালে মাদক থেকে পাড়াকে রক্ষা করতে পোড়াবাড়ি সমাজকল্যাণ সংঘ গঠন করেন ১০৫ বেদে তরুণ। এখন এর সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক রমজান মাহমুদ। অধরচন্দ্র উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করা রমজানই এই সংঘের উদ্যোক্তা। নিজেদের মতো করে আলোচনা, মানববন্ধন, ব্যক্তি পর্যায়ে বোঝানো, উঠান বৈঠক ইত্যাদি করে তাঁরা মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করছিলেন।
তারপর কর্মপ্রক্রিয়া নিয়ে রমজানদের সঙ্গে বসলেন এসপি হাবিব। জানলেন বেদেসমাজে নারীরাই মূলত কাজ করেন। তাই নারীদের কাজের ব্যবস্থা আগে করতে হবে।
যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করলেন হাবিবুর রহমান। তিন ব্যাচে ১০৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হলো। হাবিবুর রহমান বললেন, ‘হাত পাতলাম পরিচিতজনের কাছে। ৫০টা সেলাই মেশিন কেনা হলো। পোশাক কারখানার মালিক নাজনীন আক্তার পূর্বপরিচিত ছিলেন। তাঁকে পরিকল্পনাটা জানালাম, তিনি এগিয়ে এলেন। ২৬০০ বর্গফুট জায়গা ভাড়া নিয়ে বেদেপাড়ায় দাঁড়িয়ে গেল এক তলা বুটিক কারখানা। কাজ শুরুর পর দেখা গেল, সেলাই বাঁকাতেড়া হচ্ছে। নাজনীন বললেন, “ভাই, কাপড় তো সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।” বললাম, হোক। দরকার হলে আপনাকে এর ক্ষতিপূরণ দেব। আপনি তাদের কাজে আটকে রাখেন। মাদক বেচায় যেন ব্যবহৃত না হয় ওরা। চালু হয়ে গেল “উত্তরণ ফ্যাশন”।’
এই কারখানায় এখন যেসব নারী কাজ করেন, তাঁদের প্রতি সপ্তাহে মজুরি দেওয়া হয়। জনপ্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা পান একেকজন নারী। তাঁদ