FB LIke Bottom

Thursday, April 7, 2016

এমন কোনো দেশ নেই যেখানে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, খুন, ধর্ষণ নেই।

এমন কোনো দেশ নেই যেখানে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, খুন, ধর্ষণ নেই। দেখার বিষয় হলো সরকার সেগুলো আমলে নিচ্ছে কিনা। টাঙ্গাইল-৩ আসনের সরকার দলীয় সাংসদ ‘রানার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায়’। এই ঘটনাই প্রমাণ করে সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। এটি খালেদার সরকার নয় যারা শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড ছুড়ে বলবে এই গ্রেনেড শেখ হাসিনার ভ্যানিটিতে ছিল। এটা চার দলীয় জোট সরকার নয় যে ‘মা একটি সরকার চালাবে, পুত্র হাওয়া ভবনের মাধ্যমে প্যারালাল সরকার চালাবে’।
-
যেনতেন প্রকারে ক্ষমতা দখল করা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক চরিত্র নয়। যদি তাই হতো তাহলে এদেশে মুক্তিযুদ্ধ হতো না, ৩০ লক্ষ মানুষকে বুকের তাজা রক্ত দিতে হতোনা, দু’লক্ষ মা-বোনকে তাদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ সম্ভ্রম বিসর্জন দিতে হতোনা। বঙ্গবন্ধু মহা আনন্দে পাকিস্তানি বর্বরদের সাথে ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নিশ্চিত জীবন-যাপন করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি চেয়েছিলেন এ দেশের মানুষের অধিকার, গরীব-দুঃখী মানুষের নির্বিঘ্নে জীবন চলার নিশ্চয়তা। এটিই হলো আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক চরিত্র। শেখের বেটি তো এর ব্যত্যয় ঘটাতে পারেন না।
-
একটি সময় সরকারের সামনে challenge ছিল বিদ্যুত খাত। একেবারে ভেঙ্গে পড়া এই খাতটিকে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী অসীম সাহসিকতায় টেনে তুলেছেন এবং আজকে একটি শক্ত ভিত্তি দিয়েছেন। এখন Load shedding আমরা প্রায় ভুলেই গেছি। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, “যেভাবেই হোক বিদ্যুৎ উৎপাদন কর, প্রয়োজনে ভাড়ায় হলেও। মামলা-মোকদ্দমা হলে আমার নামে হবে। তোমরা নিশ্চিন্তে কাজ শুরু করে দাও।” এই হলেন শেখের বেটি, মানুষের জন্য হৃদয় যার কানায় কানায় পূ্র্ণ, স্বপ্ন ও সাহস যার সীমাহীন। পদ্মাসেতু নিয়ে বিএনপি-জামাত জোট কম খেলা খেলেনি। কত নাটকই তো আমরা দেখলাম। অবশেষে পদ্মাসেতুর কাজ এখন দুরন্ত গতিতে এগিয়ে চলছে।
-
ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে অর্জিত সোনার বাংলা গুটি কয়েক নষ্ট মানুষের ষড়যন্ত্রের কাছে মাথানত করতে পারেনা। যিনি নৌকার হালের বৈঠা ধরে আছেন তিনি যে সে কেউ নন, তিনি বাংলার সিংহ পুরুষ বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যা, সমসাময়িক উপমহাদেশের রাজনীতির পুরোধা ব্যাক্তিত্ব ও লৌহমানবী, দেশরত্ন শেখ হাসিনা। প্রতিটি পদক্ষেপ ফেলেন ভেবেচিন্তে ও দৃঢ়চিত্তে। তাঁর অর্জনগুলোর ভীত এতটাই মজবুত যে জামাত-বিএনপির সাধ্য নেই সামান্য কিছু অপকর্মের মাধ্যমে শেখের বেটির বদনমা বা অগ্রগতি ব্যহত করে।
-
সত্যকে ঢেকে রাখা যায়না, যেমন ঢেকে রাখা যায়না আকাশের চাঁদকে। নিন্দুকের কথায় চাঁদের আলো ম্লান তো হয়ই না, কম-বেশিও হয়না। বিরোধিরা জনমনে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে তনু হত্যাকান্ডের বিষয়ে। অত্যন্ত সূক্ষ্ম কায়দায় বিএনপি-জামায়াত জোটসহ দেশের এন্টি-আওয়ামী লীগ শক্তিটি এই ঘটনাকে ভিন্ন একটি মাত্রা দিতে অতি তৎপর। যেহেতু সেনানিবাস এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে তাই এরা কায়দা করে জনগণ ও সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি দাড় করানোর একটি অপকৌশল রচনায় ব্যস্ত। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারিরা কি কোনো কালে, কোনো দেশে সফল হয়েছে, হয়নি। বরং এসব করতে গিয়ে বিএনপি ও এর শরীকদের মুখ লুকানোর জায়গা ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে।
-
কোনো অর্জনই ম্লান হয়নি। লাল-সবুজের সোনার বাংলা থেকে আজ পর্যন্ত যা কিছু অর্জন সবই করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দেশটি টিকে আছে বহাল তবিয়তে এবং উত্তোরত্তর শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে। এ দেশটি পৃথিবীর মানচিত্রে টিকে থাকতে পারবে না বলে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক সময় সন্দিহান ছিল সেই মার্কিনীদের মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। মার্কিনীরা এখন ঈর্ষায় জ্বলেপুড়ে ছাই। বাংলাদেশের অর্থনীতির বিকাশ তাদের মাথা ব্যাথার কারন। ক্রমবর্ধমান সমৃদ্ধিকে ঠেকিয়ে দিতে বহু অন্যায় চেষ্টা করে চলেছে আমেরিকা।
জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ।।

No comments:

Post a Comment