মহাকালের স্রোতে বিশ্বব্যাপী কতশত আয়োজন, সেই আয়োজনের পান্থশালায় রোদ আর আলোর অপূর্ব নৃত্য । জারুল পুস্পের সাথে অজানা বুনোফুল, পাখির সুর, তাপদহের ভেতর মৃদুমন্দ বাতাসের পবিত্র গতি, তা যেন সর্ব্বব্যাপী আনন্দধারায় হৃদয়-উন্মীলন করে। জাগতিক রাগ-অনুরাগ, মান-অভিমান আলোকিত আনন্দধারা কত সহজে মলিন হয়ে 'অপরিমেয় জ্যোতি:সম্পদ' অগোচরে বিলুপ্ত হয় । সৌন্দর্য শান্তির অনুধ্যানে আলোই আনন্দ, সেই আলো মানব ও প্রকৃতির মহাকালের মিলন বন্ধন। প্রতিক্ষণে যে প্রেম, যে ভালোবাসা হৃদয়ে জন্ম নেয়, প্রতিমুহূর্তে তার সাথে পূর্বের সংযোগ ঘটে। পূর্ণিমার চন্দ্রালোকের মতো অন্তরের উপলব্ধি কতকাল পরে দিগদিগন্ত পূর্ণ করে এলে, সেই পূর্ণ রূপ আনন্দরূপমমৃতং । মানব জীবনের অন্তর উপলব্ধি প্রেমে, সৃজনশীলে,জ্ঞানে, কর্মে; আমার ভাব লীলায় অভিব্যক্তির যে সুর, তা যে পবিত্র চিত্তের নির্মল প্রকাশ। অন্তরাত্মায় বিকশিত, আন্দোলিত যে প্রেম, তা কী জাগতিক উৎসব-প্রাঙ্গনে প্রবৃত্তির ধুলায় ধ্বংস হয়ে যায়?
অসীম বৈচিত্র্যের জগতে সর্ব্বমুহূর্তে পরম প্রেমই চিরারাধ্যতম, ইন্দ্রিয় শক্তির প্রাচুর্য আনন্দে, প্রেমে । রাগ-বিরাগে, অহেতুক অবহেলায় মনের সম্পদকে বিসর্জন দিও না; কারণ প্রেমের সত্যই সর্বত্র জ্যোতি, সেই অমৃত, তাহাই চিরন্তন, তাহাই মহাকালের সুর ...সেই অমৃতসুরে অন্তরদেবতা বিকশিত প্রকাশিত হোক। বিনম্র চিত্তে বলি, অভিমানী সৌন্দর্য, ফিরে এসো..প্রাচুর্যে, ঐশ্বর্যে, অমৃতরূপে।
FB LIke Bottom
Saturday, April 30, 2016
মহাকালের স্রোতে বিশ্বব্যাপী কতশত আয়োজন, সেই আয়োজনের পান্থশালায় রোদ আর আলোর অপূর্ব নৃত্য
Saturday, April 23, 2016
১টি ছেলে বিয়ে করার জন্য মেয়ে দেখতে গেল।মেয়েটা তার ভাল লাগলো। তারপর সবাই সবার সবকিছু খোজ খবর নিলো।
১টি ছেলে বিয়ে করার জন্য মেয়ে দেখতে গেল।মেয়েটা তার ভাল লাগলো। তারপর সবাই সবার সবকিছু খোজ খবর নিলো।
তার ১৫ দিন পর ছেলেটার পক্ষ থেকে মানুষ জন গিয়ে মেয়েটার হাতে আংটি পড়িয়ে দেয় আর বিয়ের কথা পাকা করে আসে।তারপরে তাদের মাঝে ফোনালাপ চলতে থাকে।
তার ৩ দিন পর ফোনের আলাপ আলোচন :-
#ছেলে:- আচ্ছা তুমি কি আরও পড়তে চাও ???
#মেয়ে :- হ্যা... কারণ আমার আশা ছিল ডাঃ হবো।
#ছেলে:- ডাঃ হলে তুমি খুশি হবে ???
#মেয়ে :- হ্যা.. এটাই আমার সবচেয়ে বড় চাওয়া খোদার কাছে। আর চাইলে কি সব পারবো !!!
#ছেলে:- কেনো ???
#মেয়ে :- কারণ.. ১। আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে.. ২। আমার বাবার এত টাকা নাই।
#ছেলে:- আমার তো আছে। তোমাকে আর কিছু দিতে পারি আর না পারি।তবে তোমার আশাটা আমি পুরন করব !!! তুমি কি পড়তে রাজি ???
মেয়ে :- হ্যা. কিন্তু বিয়ের আর মাএ ৯ দিন বাকী..সেটার কি হবে ???
#ছেলে:- এটা আমার উপর ছেড়ে দাও !!!
#মেয়ে :- OK.
ছেলে তার ফেমিলির সবাইকে বুঝিয়ে বলে, আর সবাই রাজি হল। মেয়ের লেখা পড়ার জন্য সব খরচ ছেলেটা দিচ্ছে এবং দেখা শুনা ঠিকমত ছিল কিন্তু কিছু দিন পর ।
#মেয়ে :- আমার ১টা কথা রাখবে ???
#ছেলে:- হ্যা. বল আমি কি করতে পারি ???
#মেয়ে :- কিছু মনে করনা। আমার সাথে আর দেখা করিওনা !!!
#ছেলে:- কিন্তু কেনো ???
মেয়ে :- তোমাকে দেখলে নিজেকে ধরে রাখতে পারিনা। ওদিকে আমার পরীক্ষার ২ বছর বাকী। যদি,,ফেল করি সমাজে মুখ দেখাতে পারবো না। আর তোমার টাকা ও কষ্ট বিথা যাবে।
#ছেলে:- OK. কিন্তু ফোনে কথা বলবা না ???
#মেয়ে :- হ্যা.
#ছেলে:- ok.
২ বছর পর মেয়েটা পরীক্ষা দিল এবং পাশ করল।সেই খুশিতে মেয়ের বাড়ীতে মেহমান বরপুর।কিন্তু ছেলেটাকে বলল না ।কারণ এখন ঐ ছেলেকে স্বামী হিসেবে সবার সামনে পরিচয় করাতে পারবে না বলে ।তার ১৫ দিন পর মেয়েটা একটি চেম্বার নিয়ে বসে।তখন জানতে পেরে ছেলেটা তাকে ফোন করলে,মেয়েটা ফোন কেটে দেয় এবং বন্ধ করে দেয়।
ছেলেটা তার বাড়ীতে যায় । আর মেয়ে তাকে বলল...
#মেয়ে :- আমাকে ক্ষমা করে দাও এবং মনে কষ্ট নিওনা। আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবো না !!!
#ছেলে:- কেন:???
#মেয়ে :- কারণ তুমি আমার যোগ্য না এবং লেখা পড়াও জানো না ।
#ছেলে:- আমাদের ফেমিলি থেকে যে সব ঠিক করা ???
#মেয়ে :- ওটা আগে ছিল। আমি এখন তা মানতে পারবোনা ।
#ছেলে:- দু চোখ ভরা কান্না নিয়ে বলল । OK. আমিতোমার জন্য দোয়া করি ভাল থেকো। বলে চলে আসলো।
কিছু দিন পরে ছেলেটা অসুস্থ হয়ে পড়ে । আর ঐ দিকে মেয়েটা এক হাসপাতালের বড় ডাঃ হয়।ছেলেটার অবস্থা খারাপ দেখে ঐ হাসপাতালে নিয়েযায়।
ঐ খানে এক ডাঃ তাকে দেখে চিনে ফেলে।আর ওর ফেমিলির সবাইকে বকা জকা করল। কারণ অনেক লেট করে ফেলেছে। তখন মেয়েটা ঐ ডাঃ কে বলল আপনি ওদের বকছেন কেন ??? তখন ডাঃ বলল এই মানুষটা আজ থেকে প্রায় ৫ বছর আগে ওর বউয়ের ডাক্তারী পড়তে টাকা লাগবে বলে ১টি #কিডনী বিক্রি করল। আমি নিষেধ করলে সে বলল আমার বউ ডাঃ হলে আমাকে সে ভালো করে দিবে... তা শুনে,,মেয়েটার চোখ থেকে জল নেমে এল !!!
কি লাভ এখন কান্না করে,,আসলে সব/কিছু মেয়েরাই #স্বার্থপর,,, তাদের স্বার্থের জন্য তারা সব করতে পারে,,,
Friday, April 22, 2016
অগ্নিকণ্যা মতিয়া চৌধুরী মোটা ভাত কাপড়ের জীবন বাংলার অগ্নীকণ্যার।
অগ্নিকণ্যা মতিয়া চৌধুরী
মোটা ভাত কাপড়ের জীবন বাংলার অগ্নীকণ্যার।
এখনো বদলাননি একটুও। মোটা কাপড় পরেন। চলাফেরা সাদামাটা। নেই সাজগোজ। সরকারি গাড়ি কিংবা অফিসে এসি থাকলেও ব্যবহার করেন না। সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী হলেও চলার পথে পুলিশ প্রটেকশনের গাড়ি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না। আলোচিত এ ব্যক্তিত্ব হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী।
রাষ্ট্রীয় কাজের ব্যস্ততার মাঝেও নিজেই বাজার-সদাই করেন। কারওয়ানবাজার থেকে সংসারের জন্য চাল, ডাল, শাকসবজি, মাছ ও মাংস কেনেন দরদাম করে। খাদ্য তালিকায় কোনো আভিজাত্যের ছোঁয়া লাগেনি। বরাবরের মতো মোটা চালের ভাত, শাকসবজি, ভর্তা আর তরি-তরকারিই আছে এখনো। ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীরা একদিন ভালোবেসে তাকে ভাবতো অগি্নকন্যা বলে। সেই নেত্রী ক্ষমতাধর হওয়ার পরও সাধারণ জীবনযাপন করছেন। কোনো লোভ-লালসা তাকে তার আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। সেই রাজপথের নেত্রী ক্ষমতাসীন হয়েও সদাসতর্ক। সম্প্রতি তিনি গণমাধ্যমের কাছ থেকে নিজেকে আড়াল করে রেখেছেন। সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন না। অনেকের কৌতূহল, নীরব কেন বেগম মতিয়া চৌধুরী?
সরকারের গুরু দায়িত্ব তার কাঁধে। সাপ্তাহিক ছুটি কিংবা সরকারি বন্ধের দিন ছাড়া ঘুম থেকে ওঠেন ভোরে। সকাল ৮টার মধ্যে নাশতা পর্ব শেষ করেন। সোয়া ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকার লোকজন ও দলীয় নেতা-কর্মীদের সাক্ষাৎ দেন। এরপর সাড়ে ৯টার মধ্যে রাষ্ট্রীয় কিংবা দলীয় কর্মসূচি না থাকলে সচিবালয়ের নিজ দফতরে পেঁৗছান। বিকাল ৫টা পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টা অফিস করলেও সরকারি অর্থে কোনো খাবার গ্রহণ করেন না।
ঘটনাবহুল রাজনৈতিক জীবন তার। রয়েছে নানা দুর্বিষহ স্মৃতি। একবার-দুইবার নয়, ১৫ বার জেলে গেছেন। বছরের পর বছর আত্মগোপনে কাটিয়েছেন। কিন্তু মাথানত করেননি। আর্থিক সমৃদ্ধির প্রলোভন দেখানো হয়েছে। তবুও নিজের অবস্থান থেকে একচুলও নড়েননি। দুঃখ-কষ্টের দিন শেষ করে আজ তিনি ক্ষমতায়। সরকারের মুখ্য ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম। সেখানেও তার আদর্শ ও অবস্থান অবিচল। বেগম মতিয়া চৌধুরীর নামটি তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরাও সম্মানের সঙ্গে উচ্চারণ করেন। তার জন্ম ১৯৪২ সালের ৩০ জুন। পিরোজপুরের নজিপুর উপজেলার মাহমুদকান্দায় তার পৈতৃক নিবাস। পিতা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন মাদারীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। মা নুরজাহান বেগম গৃহিণী। লেখাপড়ায় হাতেখড়ি মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের এক গৃহশিক্ষকের কাছে। পিতার চাকরির সুবাদে মতিয়া চৌধুরীর শৈশব কেটেছে মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও জামালপুর শহরে। ১৯৫৮ সালে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী কামরুন্নেসা গার্লস কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে ম্যাট্রিক পাস করেন। কলেজে ভর্তি হয়ে ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতিতে যোগ দেন। ১৯৬০ সালে তৎকালীন ইডেন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট ও ১৯৬২ সালে বিএসসি পাস করেন। ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৩ সালে ন্যাপের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে ন্যাপ ছেড়ে যোগ দেন আওয়ামী লীগে। ১৯৮৬ সালে দলের কৃষি সম্পাদকের পদ পান। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন হলে তিনি কৃষি, খাদ্য ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। ২০০২ সালে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন পারিবারিকভাবেই খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের হাতে হাত রেখে নতুন জীবন শুরু করেন। ২০০৮ সালে স্বামীর মৃত্যু তাদের জীবনে বিচ্ছেদ ঘটায় ।
বাসররাতে নববধূর আকুতি. আমাকে নষ্ট করবেন না বাসর রাতেই বরের কাছে নববধূর আকুতি, আমাকে নষ্ট করবেন না। আমি আমার প্রেমিকের।
বাসররাতে নববধূর আকুতি. আমাকে নষ্ট করবেন না
বাসর রাতেই বরের কাছে নববধূর আকুতি, আমাকে নষ্ট করবেন না। আমি আমার প্রেমিকের। তাকে আমার সবকিছু সঁপে দিয়েছি। কিন্তু পিতার চাপে আপনাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি। স্ত্রীর এমন আকুতি শুনে মাথায় বাজ পড়ে আলম হোসেনের। সংসারে শান্তির জন্য অনেক খোঁজাখুঁজি করে বিয়ে করেছিলেন মসজিদের ইমামের মেয়েকে। দিশেহারা হয়ে পরদিন খবর দেয়া হয় কনের পিতাকে। সমাজকে ডেকে তুলে দেয় পিতার কাছে। কিন্তু ৫ দিন পর আলমের বিরুদ্ধে ওই কনে করেন নারী নির্যাতন মামলা। হতবাক হয়ে যান সবাই।
কনে আফরোজা বেগম জেসমিন। বয়স ১৯ বছর। পিতা মাওলানা নজরুল ইসলাম। বাড়ি সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী রূপচেং গ্রামে। আর বর আলম হোসেন। বয়স ৩০। পিতা নাজিমউদ্দিন ইরান। বাড়ি সিলেট শহরতলির মোগলাবাজারের তিরাশিগাঁওয়ে। আলম হোসেন পেশায় একজন সিএনজিচালক। তিনি বছরের বেশির ভাগ সময় কাটান তাবলিগের ‘চিল্লায়’। এ কারণে আলমের ইচ্ছা বিয়ে করবেন ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক। ধর্মপ্রাণ মেয়ে বিয়ে করবেন তিনি। পাশের গ্রামের তাবলিক জামাতের সাথী নজরুল ইসলাম কনে দেখেন। কনের পিতা নজরুল ইসলাম মসজিদের ইমাম। মোগলাবাজারের একটি মসজিদে ইমামতি করেন। তাবলিগ জামাতের কর্মী নজরুল ইসলাম বর আলমের কাছে জেসমিনের বিয়ের প্রস্তাব দেন। আর এই প্রস্তাবের সূত্র ধরে কনে দেখা হয়, বিয়ের কথাবার্তা হয়। এরপর ৬৫ হাজার টাকার কাবিনে বিয়েও ঠিক হয়। উভয় পরিবারের সম্মতিতে ৭ই মার্চ বিয়ে হয়। বিয়ের দিনই ইসলামী বিধান মতে আলম হোসেন নগদ কাবিন দিয়ে বিয়ে করেন। এরপর নববধূ জেসমিনকে জৈন্তাপুর থেকে নিয়ে আসেন নিজ বাড়ি মোগলাবাজারের তিরাশিগাঁও গ্রামে। বাসর রাতে ঘটে বিপত্তি। আলম যখন স্ত্রীর কাছে যান তখনই বাদ সাধলেন জেসমিন। জেসমিন বলে বলেন, ‘আমি অন্যের। ওর সঙ্গে মেলামেশা করেছি।’ এসব কথা নিজের মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে রাখেন আলম। ওই রাতে আলমকে জেসমিন জানায়, তার চাচাতো ভাই ছয়ফুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্কের কারণে তাদের মধ্যে মেলামেশা হয়েছে। এখন পিতা নজরুল ইসলামের চাপাচাপিতে বিয়ে করেছে। তার ইজ্জত নষ্ট না করার জন্য বর আলমকে অনুরোধ জানায় জেসমিন। এ কথা শুনে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যান আলম। খবর দেন শ্বশুর নজরুল ইসলামকে। ডেকে আনা হয় বিয়ের উকিল নজরুল ইসলাম ও বিয়ের মাওলানা সাঈদ আহমদকে। ১০ই মার্চ এ নিয়ে বৈঠক হয় বর আলমের বাড়িতে। ওই বৈঠকে আলম সবকিছু খুলে বলেন এবং পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান। এ অবস্থায় স্থানীয় মেম্বার আবদুল মতিনসহ সালিশ-ব্যক্তিরা বিষয়টি সমাধান করে দেয়ার জন্য ২৫শে মার্চ তারিখ নির্ধারণ করেন। ওই সময় পিতা মাওলানা নজরুল ইসলামের সঙ্গে মেয়েকে জৈন্তাপুরের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। বরের বাড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার ৫ দিন পর ১৫ই মার্চ জেসমিনকে ভর্তি করা হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে। এক দিন ভর্তি থাকার পর ১৬ই মার্চ জেসমিন বাদী হয়ে আলমের বিরুদ্ধে মোগলাবাজার থানায় এজাহার দাখিল করে। ওই এজাহারে জেসমিন জানায়, বিয়ের রাতেই সিএনজি ক্রয় বাবদ ৪ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। আর এ টাকার জন্য সে তাকে নির্যাতন করে। ৯ই মার্চ রাতে তাকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এদিকে, এজাহার দাখিলের পর সিলেটের মোগলাবাজার থানা পুলিশ ১৯শে মার্চ মামলা রেকর্ড করে। আর এ মামলা রেকর্ড নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। স্থানীয়রা জানান, পিতার বাড়িতে যাওয়ার দিনই হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে ৫ দিন পর হাসপাতালে নির্যাতিত হয়ে ভর্তি হওয়া রহস্যজনক। আর স্বামীর বাড়িতে কেউ জেসমিনকে নির্যাতন করেনি। এদিকে, এ মামলায় ক্ষেপেছেন স্থানীয়রা। তারা ১৭ই এপ্রিল সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। স্মারকলিপিতে স্থানীয় মেম্বার আবদুল মতিনসহ অর্ধশতাধিক গ্রামবাসী স্বাক্ষর করেন। তারা পুলিশ কমিশনারকে জানান, স্থানীয় মেম্বার আবদুল মতিন, প্রবীণ মুরব্বি শামসুল ইসলাম কাসেম, মো. কুনু মিয়া, ফরহাদ হোসেন ও শায়েস্তা মিয়া এলাকার মুরব্বিদের মধ্যস্ততায় মেয়েকে দেয়া হয়েছিল। ওই সময় সবাই দেখেছেন মেয়েকে কোনো নির্যাতন করা হয়নি। কিন্তু এখন যৌতুক ও নির্যাতন মামলা করে হেনস্তা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা পুলিশ কমিশনারের কাছে এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
উৎসঃ মানব জমিন
Wednesday, April 20, 2016
জয়কে হত্যাচেষ্টায় ফেঁসে যাচ্ছেন বিএনপির এক ডজন নেতা
জয়কে হত্যাচেষ্টায় ফেঁসে যাচ্ছেন বিএনপির এক ডজন নেতা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় শফিক রেহমানের পাশাপাশি ফেঁসে যেতে পারেন বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ীসহ দলটির অন্তত এক ডজন নেতা।
এর মধ্যে চট্টগ্রামের বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিল্টন ভূঁইয়া ও বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাসাসের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহম্মেদ সিজার ওই ষড়যন্ত্র ‘বাস্তবায়নের দায়িত্বে’ ছিলেন।
২০১১ ও ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় ওই দু’জনের সঙ্গে সাংবাদিক শফিক রেহমানের একাধিক বৈঠক হয়। গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে এসব কথা স্বীকার করেছেন ৫ দিনের রিমান্ডে থাকা শফিক রেহমান। তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে হত্যা পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত একজনকে যুক্তরাষ্ট্রে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এছাড়া ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা কয়েকজন নেতা ও ব্যবসায়ীকে দেশে ফিরিয়ে আনতে খুব শিগগিরই ইন্টারপোলের সহায়তা চাওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস থেকে পাওয়া তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতেই সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, অপহরণ ও হত্যা ষড়যন্ত্রের ঘটনায় কারাদ-প্রাপ্ত সিজারের স্বীকারোক্তিতে সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ বিএনপিপন্থী কয়েকজন ব্যবসায়ী ও নেতার নাম বেরিয়ে আসে। এদের বেশিরভাগই দীর্ঘদিন প্রবাসে রয়েছেন।
এদিকে জয়কে অপহরণ ও হত্যার ষড়যন্ত্র মামলায় আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেছে পুলিশ। সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবীর আদালতে মামলার তদন্তকারী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সিনিয়র সহকারী কমিশনার হাসান আরাফাত এ আবেদন জানিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত মাহমুদুর রহমানকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখানো ও রিমান্ডের শুনানির জন্য ২৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা ষড়যন্ত্রের প্রথম বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী চট্টগ্রামের বাসিন্দা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মিল্টন ভূঁইয়া ও বিএনপির সাংস্কৃতিকবিষয়ক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহম্মেদ সিজারকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়। বিশেষ করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবি আই) কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় সিজারকেই মূল দায়িত্ব দেয়া হয়। এজন্য ৪০ লাখ ডলারের অলিখিত একটি চুক্তিও হয়। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের পর আমেরিকার নিউইয়র্ক, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ষড়যন্ত্রকারীরা একাধিক বৈঠক করে অর্থ সংগ্রহ করেন। ওই বছরের শেষদিকে সিজারকে চুক্তির ১০ লাখ ডলারও দেয়া হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মাসরুকুর রহমান খালেদ বলেছেন, দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যাচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যার টার্গেট করেছিল চক্রটি। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর মনোবল ভেঙে দিয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় করে দিতে চেয়েছিল। ওই কর্মকর্তা বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় স্ত্রী-সন্তান নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় বসবাস করেন। জয় সম্পর্কে গোপন তথ্য পেতে ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য জাসাস নেতা মামুনের ছেলে রিজভী আহম্মেদ সিজার তার পুরনো বন্ধু এফবি আইয়ের সাবেক স্পেশাল এজেন্ট লাস্টিক ও থ্যালারের শরণাপন্ন হন। সিজার এফবি আইয়ের ওই দুই কর্মকর্তাকে এজন্য মোটা অংকের অর্থও দেন। কিন্তু বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে একটি মামলা হয়। মামলায় এফবি আই এজেন্ট জোহান থ্যালারকে ৩০ মাস ও সিজারকে ৪২ মাস কারাদ- দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা ষড়যন্ত্রের ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় একটি মামলা করেন গোয়েন্দা পুলিশের রমনা জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর ফজলুর রহমান। রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে দায়ের করা ওই মামলার কাগজপত্রের সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি অনুমতিপত্রও জমা দেন।
পরে থানা পুলিশ সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে। ওই মামলায় জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ দেশের বাইরে অবস্থানরত/বসবাসরত বিএনপি ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্যান্য দলের কতিপয় ব্যক্তি ও উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের আসামি করা হয়। এর কয়েকদিন আগে রমনা থানায় একই ঘটনায় একটি জিডি করে পুলিশ। ওই মামলাতেই শনিবার সকালে ইস্কাটনে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় সিনিয়র সাংবাদিক শফিক রেহমানকে। পুলিশ ওই দিনই তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদ
Sunday, April 17, 2016
বেতন পরিশোধ করতে না পারায় স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা !!
বেতন পরিশোধ করতে না পারায় স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা !!
জাহিন, সাভারঃ সাভারে স্কুলের বেতন পরিশোধ করতে না পারায় আত্মহত্যা করেছে এক শিক্ষার্থী। আত্মাহুতি দেওয়া ওই শিক্ষার্থীর নাম সোনালী আক্তার সনিয়া (১৫)।
শনিবার দুপুরে সাভার পৌর এলাকার আড়াপাড়া মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। সাভারের বনপুকুর এলাকার চাইল্ড হেভেন স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সনিয়া।
সে ঠাকুরগাঁও জেলার সদর থানার হরিপুরে দুতরাবাড়ি এলাকার আকর আলীর মেয়ে। তার মা সাভারের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার পর থেকেই তালাবদ্ধ পাওয়া যায় চাইল্ড হেভেন স্কুল । পলাতক রয়েছেন স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল কাবুল মিয়া।
মডেল বানানোর প্রলোভনে উঠতি বয়সী নারীদের নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বিলাসিতা করে আসছে মোশারফ।
মোশারফ নারী জগতে আতংকের নাম
মডেল বানানোর প্রলোভনে উঠতি বয়সী নারীদের নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতে বিলাসিতা করে আসছে মোশারফ। আশুলিয়ার নারী আসমা স্বপ্ন দেখেছিলেন মডেল হওয়ার আর তার সেই স্বপ্ন মোশারফের বিকৃত রুচির বিলাসিতার ফাঁেদ অঙ্কুরে বিনষ্ট হয়। আসমার মতো সুফিয়ার অবস্থা আরো করুণ। আর শিল্পীর অবস্থা সকলের জানা। নারী কেলেংকারী ছাড়াও ক্ষমতার বলে কয়েক বছর ধরে যুবলীগ নেতা মোশারফ খান এর নেতৃত্বে একটি চক্র রাতের আধারে আশুলিয়ার দোসাইদ ও সাভারের আশপাশের এলাকায় তিতাস গ্যাসের সঞ্চালন পাইপ থেকে অবৈধভাবে বাড়ি বাড়ি গ্যাসের সংযোগ দিয়ে আসছে। প্রতিটি বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে সংযোগ প্রতি ৬০-৭০ হাজার টাকা নিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় তারা। সাভারের আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় রাতের আধারে তিতাস গ্যাস লাইনের সঞ্চালন পাইপ থেকে অবৈধভাবে বিভিন্ন বাসা বাড়িতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার অভিযোগে এক যুবলীগ নেতা মোশারফ সহ ২০২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কর্তৃপক্ষ। সাভারের বর্তমান সাংসদের লাইসেন্স নিয়ে মোশারফ নানা অপতৎপরতা শুরু করেন। মোশারফ নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িত। বুধবার(১৩এপ্রিল) দুপুরে তিতাস গ্যাস ট্রন্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর সাভার আঞ্চলিক শাখার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সত্যজিৎ ঘোষ বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তাতে থেকেও ক্ষমতার জোরে রেহাই পায়। এদিকে মামলার বাদী তিতাস গ্যাস ট্রন্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর সাভার আঞ্চলিক শাখার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সত্যজিৎ ঘোষ জানান, স্থানীয় যুবলীগ নেতা মোশারফ হোসেন ক্ষমতার জোরে রাতের আঁধারে অসংখ্য অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিয়েছেন। এর বিনিময়ে তিনি এসব অবৈধ গ্যাস সংযোগের গ্রহীতাদের নিকট থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। নানা সময়ে স্থানীয় সাংসদ এনামুর রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন লোকজনকে ভয়ভীতি দেখানোরও অভিযোগ রয়েছে। অসংখ্য অবৈধ গ্যাস সংযোগের প্রদান করে রাতা-রাতি টাকার পাহাড় গড়েছেন কথিত নেতা মোশারফ।