FB LIke Bottom

Sunday, December 13, 2015

ঢাকা জেলা পরিষদের প্রশাসক হাসিনা দৌলার দুর্নীতি অনুসন্ধানে কর্মকর্তা পরিবর্তন

ঢাকা জেলা পরিষদের প্রশাসক হাসিনা দৌলার দুর্নীতি অনুসন্ধানে কর্মকর্তা পরিবর্তন
নিউজ ডেস্টঃ ওবাইদুল খান
ঢাকা জেলা পরিষদের প্রশাসক ও সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসিনা দৌলার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্পের নামে ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে কর্মকর্তা পরিবর্তন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সম্প্রতি কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদকের উপপরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভূঞাকে নতুন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে দুদকের উপ-পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম এ অভিযোগ অনুসন্ধান
করেছেন। দুদক সূত্র এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছে। দুদক সূত্র জানায়, জেলা পরিষদের সব কাজের বিলের চূড়ান্ত অনুমোদন দেন প্রশাসক। ২০১১-১২, ২০১২-১৩ ও ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্পের মাধ্যমে কয়েকশ’ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করেন তিনি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক তদন্ত প্রতিবেদনেও বিভিন্ন ভুয়া প্রকল্পের নামে অর্থ ছাড়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে এ অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। অভিযোগে বলা হয়, জেলা প্রশাসক হাসিনা দৌলার স্থানীয়ভাবে কথিত পিএস বোয়াইল ধামরাইয়ের মাহবুবুর রহমান (মনি) বিভিন্ন পিআইসির সভাপতির নামে এবং তার নিজ নামে স্বাক্ষর করে ১ হাজার ৫০টি চেকের মাধ্যমে মোট ৯ কোটি ৭৬ লাখ ৩৮ হাজার ২৫০ টাকা গ্রহণ করেন। ২০১৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এক বছরে তিনি এ চেকগুলো তুলেছেন। অন্যান্য বছরেও অনুরূপ চেক গ্রহণ করেছেন তিনি। চেক রেজিস্টার নথি পরীক্ষা করে এ চিত্র দেখা গেছে। কোনো অথরিটি ছাড়াই তিনি ওই অর্থ তুলেছেন। পিআইসির মাধ্যমে বাস্তবায়িত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রকল্পগুলোয় ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ২৩ লাখ টাকা প্রাক্কলিত মূল্যের ঢাকার নবাবগঞ্জের ‘যন্ত্রাইল কবরস্থান উন্নয়ন’ প্রকল্পের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কোনো কাজ না করেই প্রায় দেড় বছর আগেই প্রথম চলতি বিলে কাজের ৭৯ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ লাখ ২১ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। ১০ লাখ টাকা প্রাক্কলিত মূল্যের ঢাকার নবাবগঞ্জ ‘অফিসার্স ক্লাব সংস্কার’ প্রকল্পে কোনো সংস্কারকাজ না করেই জেলা পরিষদ থেকে চূড়ান্ত বিল প্রদান করা হয়। ২৬ লাখ টাকা প্রাক্কলিত মূল্যের নবাবগঞ্জ আধুনিক মার্কেট মেরামত প্রকল্পে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি করে বিরাট অংকের অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এভাবে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে ১০০ কোটি টাকা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয় মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণিত হয়। যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন) সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী ওই তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক, উপসচিব (উপজেলা অধিশাখা) ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব ও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরফুল আনাম খান তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন।

No comments:

Post a Comment