বাঙালি ও মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক নৌকা....
কামরুল ইসলাম
নৌকা' প্রতীকের সাথে আমাদের পূর্ব ইতিহাস, ঐতিহ্য, শৌর্য-বীর্য, মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্র এবংসর্বোপরি বাঙালি সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী সম্পর্ক বিদ্যমান | অসাম্প্রদায়িক মুক্তবুদ্ধির ও সাম্যের সমাজ গঠনের জন্য গণতান্ত্রিক বিধি রীতির চলমান প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক সংগঠন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সংগঠনের রাজনৈতিক কর্মপ্রক্রিয়ার সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেন | যার ফলে বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ, নৌকা প্রতীক একই সমান্তরালে কালে কালে বাহিত হচ্ছে , বাংলার জনগণ এই রূপকল্পে তার স্বাধীন সত্তার ক্রমান্বয়ে বিকাশ ঘটাতে সমর্থ হয়েছে |
কালের আবর্তে জাতির জনক কন্যা, অকুতোভয় রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অধিকারী, Daughter of Peace & Democracy, উন্নয়নের প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে দেশ বিদেশে প্রশংসিত এবং বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে সমাদৃত | বাঙালি সত্তার মহিমান্বিত বিকশিত রূপকে নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলাম যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, সমাজ সংস্কারক রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগর যে মুক্তচিন্তার সমাজের কথা ভেবেছিলেন; মীর মশাররফ হোসেন, বেগম রোকেয়া, আবুল হুসেন ,আব্দুল ওদুদ, বেগম সুফিয়া কামাল, শামসুর রাহমান যে বাঙালি ভাবনার কথা তুলে ধরেছেন.. তারই পথ পরিক্রমার অভূতপূর্ব সমন্বয়ক শেখ হাসিনা | সক্রেটিস,প্লেটো এরিস্টটলের রাষ্ট্র ভাবনায় যে মানবিক সৎ সমাজের কথা বিধৃত, যা কালে কালে মাকর্স সহ সফল রাষ্ট্রবিদদের ভাবনায় বিকশিত... সেইসব মহান রাষ্ট্রনায়ক আব্রাহাম লিংকন, লেনিন, কামাল আতাতুর্ক, মহাত্মা গান্ধীর মহৎ ভাবনায়.... বঙ্গবন্ধুর মহান আদর্শের ঐক্যের প্রতীক শেখ হাসিনা | যাঁর ভাবনায় সকল ধর্মের মৌল বাণী... জীবে প্রেম করে যে জন, সে জন সেবিছে ঈশ্বর, মহানবীর মদিনা সনদ ' সকল সম্প্রদায় স্বাধীনভাবে ধম্মর্কম্মর্ পালন করিতে পারিবে, কেহ তাহাতে হস্তক্ষেপ করিতে পারিবে না | নরহত্যা হারাম বলিয়া গণ্য হইবে | ' .... ইত্যাদি প্রতিনিয়ত রাষ্ট্র পরিচালনায় অসাম্প্রদায়িক মনোভাবকে বিকশিত করেছে | সুশাসন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সৃষ্টকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার অব্যাহত আছে, জঙ্গীদের গ্রেফতার, আইনী প্রক্রিয়ায় বিচারিক ব্যবস্থা স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে |
দেশ ও জাতির অব্যাহত উন্নয়ন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, অবকাঠামো বিনির্মাণ এবং অসাম্প্রদায়িক মর্যাদাশীল রাষ্ট্র বিকশিত করতে হলে 'নৌকা' প্রতীকের বিকল্প কিছুই সৃষ্টি হতে পারে নি |
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে জামাতের দোসর বিএনপি নেত্রী ও তার চ্যালাচামুন্ডরা উপহাসের সাথে বিদ্রুপ করছে | তাদের রূখতে হবে, বিদ্রুপকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সমুচিত জবাব দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এই সাহস না পায় |
চেতনার মহামন্ত্রে বিকশিত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে বিকশিত করতে সুযোগ দিন |
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক
কামরুল ইসলাম
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক
বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ |
২৮/১২/২০১৫
FB LIke Bottom
Monday, December 28, 2015
বাঙালি ও মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক নৌকা....
Thursday, December 24, 2015
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের রাজনীতির তৃণমূল থেকে উঠে আসা নেতৃত্ব শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জ্ঞান ব্রিটেনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও কার্যকর- বলছেন তারই বোনের মেয়ে টিউলিপ।
খালার পরামর্শের সুফল পাই
বুদ্ধি হওয়ার পর থেকে আমার খালাকেই রোল মডেল মেনেছি। তাকে সামনে রেখেই এগোচ্ছি। প্রতিটি বিষয়ে তার সঙ্গে পরামর্শ হয় আমার। আর অদ্ভুত ব্যাপার হলো, খালার পরামর্শের সুফল ব্রিটেনের রাজনীতিতেও পাই আমি একথা বলছিলেন ব্রিটিশ সংসদের সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক।
বলাই বাহুল্য, তার ‘খালা’ আর কেউ নন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের রাজনীতির তৃণমূল থেকে উঠে আসা নেতৃত্ব শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জ্ঞান ব্রিটেনের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও কার্যকর- বলছেন তারই বোনের মেয়ে টিউলিপ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে ঘাতকের বুলেটের আঘাতে সপরিবারে শহীদ হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ভয়াল রাতে দুই মেয়ে ছাড়া নিহত হন পরিবারের সবাই। শেখ পরিবারের কাছের মানুষরা জানেন, বেঁচে থাকা বংশধরদের আগলে রেখেছেন বঙ্গবন্ধুর বড় মেয়ে শেখ হাসিনা।
নিজের দুই সন্তান- সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকেই শুধু নয়, সন্তান স্নেহ দিয়েছেন ছোট বোন শেখ রেহানাকে। সমান মমতা দিয়েছেন শেখ রেহানার তিন সন্তান, ছেলে রেদওয়ান সিদ্দিক ববি ও দুই কন্যা- টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিককেও।
টিউলিপের কথায় যেন সেই সত্যই আবার প্রকাশ পায়।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিউলিপ। যতবারই কথা বলছিলেন, অকপটে স্বীকার করছিলেন তার জীবনে শেখ হাসিনার অবদানের কথা।
খালাকে রোল মডেল ধরে, নানার জীবনীতে উৎসাহিত হয়েই আজকের এই টিউলিপ হয়ে ওঠা। মা-খালার কাছে দেশের গল্প শুনে, মানুষের কল্যাণে তাদের আগ্রহ দেখে রাজনীতিকে ভালোবাসতে শিখেছেন বলেও জানান তিনি।
কথায় কিছুটা ইংরেজি টান থাকলেও পরিচ্ছন্ন সুন্দর বাংলায় কথা বলেন পুরো অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠান শেষে ছোট্ট আলাপে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ বলেন, ছোটবেলায় আমি একেকবার একেক কিছু হতে চাইতাম। খালা বলতেন, তোমার যা হতে মন চায়, তাই হও। মূল কথা, মানুষের কল্যাণ করতে হবে। সেটা যেকোনো ভূমিকায় থেকে করা যায়।
টিউলিপ সিদ্দিক যখন এসব বলছিলেন, পেছনে দাঁড়ানো তার ভাই ববি। দু’হাতে বোনকে ধরে রেখেছেন। আলাপের বিষয়বস্তু বুঝতে পেরে সম্মতিসূচক মাথা নাড়েন তিনিও। ১৬ ডিসেম্বর প্যারেড গ্রাউন্ডের আয়োজনে শেখ হাসিনার ঠিক পাশের আসনটিতেই তাকে দেখা গিয়েছিল।
কাছেই দাঁড়িয়ে ছিলেন টিউলিপের স্বামী ক্রিস পার্সি। অভিব্যক্তি বলছে- তিনিও আলাপের বিষয়বস্তু ধরতে পেরেছেন, খালাশ্বাশুড়ির প্রশংসা চলছে বুঝতে পারছেন তিনি!
কথার এক পর্যায়ে আন্তরিক ভঙ্গিতে দু’হাত মেলান টিউলিপ। বলেন, খালার কাছে আমি খুব কৃতজ্ঞ। তিনি সব সময় আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন, বাহবা দিয়েছেন। সঠিক পথ দেখতে সহযোগিতা করেছেন।
‘বাংলাদেশের কল্যাণে তিনি (শেখ হাসিনা) খুব উদগ্রিব। সেসবও আমাদের খালা-ভাগনির আলোচনায় আসে। খুব ভালো লাগে তার আধুনিক চিন্তা দেখে। আমি খালাকে নিয়ে গর্ববোধ করি’- বিগলিত আবেগে বলেন টিউলিপ।
নারী-পুরুষ বিবেচনা না করে প্রধানমন্ত্রী পদে দেশপ্রেমী কেউ থাকা জরুরি বলেও মনে করেন বঙ্গবন্ধুর এই নাতনি।
এক প্রশ্নের জবাবে টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেই হোক- পুরুষ বা নারী; দেশকে যে ভালোবাসে, গরিবদের যে ভালোবাসে সেটাই জরুরি। দেশকে ভালোবাসে কি না তা দেখতে হবে।
ব্রিটিশ সংসদে ৬৫০ এমপির মধ্যে ১৬০ জন নারী সংসদ সদস্য রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি সেখানে বলেছি, সংসদে নারীর সংখ্যা বাড়াতে হবে। বাংলাদেশে বরং ভালো, প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। এটা নিয়ে আমি গর্বিত।
বাংলাদেশের নারীরা বিভিন্ন শীর্ষস্থানে পৌঁছেছেন দেখে অনুপ্রাণিত হন বলেও জানান টিউলিপ। খালা শেখ হাসিনা এবং মা শেখ রেহানা ছাড়াও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং এভারেস্ট জয়ী ওয়াসফিয়া নাজরীনও তাকে অনুপ্রাণিত করেন বলেও জানান তিনি।
বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ সিলেট মহানগরের সাধারণ সম্পাদক জনাব জাবেদ হোসেন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিবাদ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিবাদ
বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ সিলেট মহানগরের সাধারণ সম্পাদক জনাব জাবেদ হোসেন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে একটি প্রতিবাদ পত্র দিয়েছে। প্রতিবাদ পত্রটি হুবহুব আপনাদের জন্য নিচে দেওয়া হলঃ
প্রতিবাদ পত্র
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিবাদ
হাজার বছরের শ্রেষ্ট সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে মন্তব্য করেছে তার বিরুদ্ধে আমি তীব্র ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বেগম খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি এক জন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হয়ে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে যে মিথ্যাচার করেছেন, তা পুরো জাতিকে হতবাক ও বিস্মিত করেছে। বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন,“তিনি (জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি।” বেগম জিয়ার এই উক্তি দৃষ্টতা এবং অপরাধের শামিল। এক জন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি এই রুপ মন্তব্য এবং ইতিহাস বিকৃত করতে পারেন না। হাজার বছরের শ্রেষ্ট সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৭ ই মার্চের ভাষণে সরাসরি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা করেছেন। সেই দিন তিনি বলেছেন, “এ বারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এ বারের সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।” এই ঘোষণা পর পরই পাকিস্তান তাদের অস্ত্র ও সৈন্য আমাদের দেশে নিয়ে আসা শুরু করে এবং ২৬ ই মার্চ আমাদের ঘুমন্ত মানুষের উপর অপারেশন সার্চ লাইট নাম দিয়ে হত্যাকাণ্ড চালায়। ৭ ই মার্চ এর ভাষণকে স্বাধীনতার ঘোষণা মেনেই ইয়াহিয়া ও জুলফিকার আলী ভুট্টো বিপুল সংখ্যক অস্ত্র ও সৈন্য আমাদের দেশে নিয়ে আসে এবং হায়েনার ন্যায় আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়তে নির্দেশ দেয়। বেগম জিয়া ইতিহাস বিকৃত করছেন এবং তরুণ প্রজন্মকে অসত্য বক্তব্য দিয়ে পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা করছেন, তার এই চেষ্টা স্বাধীনতা বিরুধী ও পাকিস্তানীদের অনুপ্রাণিত করবে। যদিও তিনি এবং উনার স্বামী জাতির জনক দ্বারা সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন কিন্তু তিনি জাতির জনক এর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন না করে বিরুপ মনোভাব দেখাচ্ছেন। পৃথিবীর কোন দেশেই জাতির জনককে নিয়ে এই রুপ অযোক্তিক, কাণ্ডজ্ঞানহীন ও অবিবেচনাপ্রস্রুত মন্তব্য করার নজির নেই। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোধী নিজেকে মহাত্মা গান্ধীর দেশের নাগরিক হিসাবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন। তাহলে বেগম খালেদা জিয়া নিজেকে বঙ্গবন্ধুর দেশের নাগরিক হিসাবে পরিচয় দিতে লজ্জা পান কেন? তিনি কি নিজেকে পাকিস্তানের নাগরিক মনে করেন? আমি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ সিলেট মহানগরের পক্ষ থেকে তার এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং তিনি তার বক্তব্যের জন্য দেশের জনগণ ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানাই। যদি তিনি ক্ষমা না চান, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
জাবেদ হোসেন
২৩/১২/২০১৫
সাধারণ সম্পাদক
বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ, সিলেট মহানগর
বি.এস.এস, এম.এস.এস (শাবিপ্রবি)
Monday, December 21, 2015
বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের নেতা কর্মীদের অগ্রজরা ভাই, বড় বোন: অনুজরা ছোট ভাই বোন তুল্য এবং তারা অতি আপনজন |
বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের নেতা কর্মীদের অগ্রজরা ভাই, বড় বোন: অনুজরা ছোট ভাই বোন তুল্য এবং তারা অতি আপনজন | রাজপথের বহু আন্দোলন সংগ্রামে, বিশেষ করে জঙ্গীবাদ বিরোধী কর্মকান্ডে তাঁদের পদক্ষেপ প্রশংসনীয় | জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক , আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্র গঠনে আমাদের নেতাকমর্ীরা জীবনপণ বাজি রেখে কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন |
আমরা অনুভব করি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বের ইতিহাসে আত্মত্যাগের মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন | বাঙালি জাতির স্বাধীন ও স্বতন্ত্র পরিচয়ের ক্ষেত্র - মহান মুক্তিযুদ্ধই আমাদের মাইলফলক | ইতিহাসের পরিক্রমায় অনিবার্যভাবে বাঙালিরা তথা বাংলাদেশের মানুষ জনতার নেত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রপরিচালনার কৌশলকে সমর্থন দিয়েছে, যা বিশ্বে সমাদৃত | কতিপয় ঘটনার প্রাসঙ্গিকতায় আমরা পিছিয়ে থাকতে রাজি নই, আজ গর্বভরে বলতে পারি - বাঙালিদের সফল ভাষা আন্দোলনের কারণে এবং শেখ হাসিনা সরকারের পররাষ্ট্রনীতির দক্ষতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস -২১ ফেব্রুয়ারি | বিশ্বের সকল ভাষার সংরক্ষণ , প্রয়োগে এটি যুগান্তকারী ইতিহাস | বঙ্গবন্ধুর বাবা যেভাবে বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রাণিত করতেন, তা আজ ভাবনার দ্বার মুক্ত করে আমাদের | বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে এ প্রসঙ্গ উল্লেখ আছে, ১৯৪২ সালের ঘটনা- জ্বরে আক্রান্ত বঙ্গবন্ধু, রিলিপের কাজে সময় চলে যায়, পড়াশোনায় তাল মিলাতে পারছেন না | এ সময় বঙ্গবন্ধুর বাবা যে কথা বলেন, তা আজো প্রেরণা দেয় আমাদের-- ' বাবা রাজনীতি কর আপত্তি করব না, পাকিস্তানের জন্য সংগ্রাম করছ এ তো সুখের কথা, তবে লেখাপড়া করতে ভুলিও না | লেখাপড়া না শিখলে মানুষ হতে পারবে না | আর একটা কথা মনে রেখ, ' sincerity of purpose and honesty of purpose ' থাকলে জীবনে পরাজিত হবে না |' রাজনীতিবিদরাই যুগে যুগে আলোকিত মানুষ, যদি তাঁর কর্মকান্ড সিংহভাগ জনগণের কল্যাণে পরিচালিত হয় | ইতিহাসতো তাই বলে | একটি সুস্থ জনগণ উপযোগি সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে কালে কালে প্রচলিত পথ ও মতকে রাজনীতিবিদরা ভেঙ্গে ফেলে | এই কাজটি যিনি করেন, জীবন তাঁর যতই প্রতিকূল থাকুক না কেন, ইতিহাসে তারাই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয় ও বরণীয় |
আমার দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এসব বলার যৌক্তিকতা আজ সমধিক, মুক্তচিন্তার মানুষ ও জনগণের সেবক হতে হলে পঠন পাঠনের সমন্বয়ে কর্মকান্ডকে বিকশিত করতে হবে | বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নিরলস ভাবে এ কাজটি করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ | ১৭/১২/২০১৫
Thursday, December 17, 2015
জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক , আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্র গঠনে আমাদের নেতাকমর্ীরা জীবনপণ বাজি রেখে কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন
বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের নেতা কর্মীদের অগ্রজরা ভাই, বড় বোন: অনুজরা ছোট ভাই বোন তুল্য এবং তারা অতি আপনজন | রাজপথের বহু আন্দোলন সংগ্রামে, বিশেষ করে জঙ্গীবাদ বিরোধী কর্মকান্ডে তাঁদের পদক্ষেপ প্রশংসনীয় | জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক , আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্র গঠনে আমাদের নেতাকমর্ীরা জীবনপণ বাজি রেখে কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন |
আমরা অনুভব করি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্বের ইতিহাসে আত্মত্যাগের মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন | বাঙালি জাতির স্বাধীন ও স্বতন্ত্র পরিচয়ের ক্ষেত্র - মহান মুক্তিযুদ্ধই আমাদের মাইলফলক | ইতিহাসের পরিক্রমায় অনিবার্যভাবে বাঙালিরা তথা বাংলাদেশের মানুষ জনতার নেত্রী শেখ হাসিনার রাষ্ট্রপরিচালনার কৌশলকে সমর্থন দিয়েছে, যা বিশ্বে সমাদৃত | কতিপয় ঘটনার প্রাসঙ্গিকতায় আমরা পিছিয়ে থাকতে রাজি নই, আজ গর্বভরে বলতে পারি - বাঙালিদের সফল ভাষা আন্দোলনের কারণে এবং শেখ হাসিনা সরকারের পররাষ্ট্রনীতির দক্ষতায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস -২১ ফেব্রুয়ারি | বিশ্বের সকল ভাষার সংরক্ষণ , প্রয়োগে এটি যুগান্তকারী ইতিহাস | বঙ্গবন্ধুর বাবা যেভাবে বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রাণিত করতেন, তা আজ ভাবনার দ্বার মুক্ত করে আমাদের | বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে এ প্রসঙ্গ উল্লেখ আছে, ১৯৪২ সালের ঘটনা- জ্বরে আক্রান্ত বঙ্গবন্ধু, রিলিপের কাজে সময় চলে যায়, পড়াশোনায় তাল মিলাতে পারছেন না | এ সময় বঙ্গবন্ধুর বাবা যে কথা বলেন, তা আজো প্রেরণা দেয় আমাদের-- ' বাবা রাজনীতি কর আপত্তি করব না, পাকিস্তানের জন্য সংগ্রাম করছ এ তো সুখের কথা, তবে লেখাপড়া করতে ভুলিও না | লেখাপড়া না শিখলে মানুষ হতে পারবে না | আর একটা কথা মনে রেখ, ' sincerity of purpose and honesty of purpose ' থাকলে জীবনে পরাজিত হবে না |' রাজনীতিবিদরাই যুগে যুগে আলোকিত মানুষ, যদি তাঁর কর্মকান্ড সিংহভাগ জনগণের কল্যাণে পরিচালিত হয় | ইতিহাসতো তাই বলে | একটি সুস্থ জনগণ উপযোগি সমাজ গঠনের ক্ষেত্রে কালে কালে প্রচলিত পথ ও মতকে রাজনীতিবিদরা ভেঙ্গে ফেলে | এই কাজটি যিনি করেন, জীবন তাঁর যতই প্রতিকূল থাকুক না কেন, ইতিহাসে তারাই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয় ও বরণীয় |
আমার দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এসব বলার যৌক্তিকতা আজ সমধিক, মুক্তচিন্তার মানুষ ও জনগণের সেবক হতে হলে পঠন পাঠনের সমন্বয়ে কর্মকান্ডকে বিকশিত করতে হবে | বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নিরলস ভাবে এ কাজটি করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ |
১৭/১২/২০১৫
বাংলাদেশ কবে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে নব ভাবনার উন্মেষ ঘটাবে ? মানব সমাজের কাল অধ্যায়ে জটিল ভারতবর্ষ নিয়ে যৌক্তিক বক্তব্য কার্ল মার্কস সে সময়ে করেন,
বিজয়ের মাসে নানা উপলব্ধির মধ্যে সদা প্রাণান্ত অভিলাষ, বাংলাদেশ কবে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে নব ভাবনার উন্মেষ ঘটাবে ? মানব সমাজের কাল অধ্যায়ে জটিল ভারতবর্ষ নিয়ে যৌক্তিক বক্তব্য কার্ল মার্কস সে সময়ে করেন, ' ভারতের উৎপাদনী শক্তি পঙ্গু হয়ে আছে তার বিভিন্ন উৎপাদন দ্রব্যের পরিবহন ও বিনিময় ব্যবস্থার একান্ত অভাবে | ' বিনিময় ব্যবস্থা ও বাজার জাত করার কোন পরিবহন সুবিধা ১৫০ বছর পূর্বে তেমন না থাকায়,অপূর্ব প্রাকৃতিক সম্পদের দেশ সমৃদ্ধ হতে পারেনি | ইংরেজরা লুটতরাজ করে ভারতের সম্পদকে, সেই ভারতবর্ষের পূর্ববঙ্গ, আজ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ | জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দক্ষ নেতৃত্বে সফল মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জিত হয় | কতক বছর পার না হতেই কালো অন্ধকার অধ্যায় শুরু হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে, নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে দেশ | কুচক্রের জাল বিস্তৃত হতে থাকে, যুদ্ধাপরাধীরা শাসন ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীরা ইনডেমনিটির আওতায় নির্বিঘ্নে বিচার মুক্ত হয়ে রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করে ভিনদেশে | এ কাজটি সুচারুভাবে করে সামরিক জিয়া সরকার, কালচক্রে এরশাদ, বেগম জিয়া একই পথের অনুসারি | বহুকাল পরে ক্ষমতায় আসেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, বহু চক্রান্ত আছে, তারপরেও নির্ভীক চিত্তে সুশাসনপ্রতিষ্ঠা করার জন্য তাঁর সরকার আমলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচারকার্য সম্পন্ন হয় | যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে, কতিপয় শাস্তি পেয়েছে |দেশের সাবর্িক প্রবৃদ্ধি প্রশংসনীয়, জঙ্গী তৎপরতা মোকাবেলায় শেখ হাসিনার কৌশল তাবৎ বিশ্বে মডেল | তথ্য প্রযুক্তির নব সম্ভাবনা, যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন বাংলাদেশকে মর্যাদাশীল দেশে পরিণত হবার পথকে ত্বরান্বিত করছে | শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে যুগোপযুগি করা প্রয়োজন, এক্ষেত্রে কওমী সহ মাদ্রাসা শিক্ষায় যে পশ্চাৎপদতা, সেটাকে আধুনিকায়ন করা | এসবের সাথে প্রয়োজন যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা, জঙ্গী কর্মকান্ডে অর্থ যোগানদাতা ও তাদের প্রতিষ্ঠানকে সরকারের নিয়ন্ত্রণে এনে সমাজের অভ্যন্তরের ষড়যন্ত্রকারীদের কূটকৌশল ধ্বংস করে দেয়া খুবই জরুরী | প্রয়োজনে শক্তিশালী কমিশন গঠন করে এই প্রক্রিয়ার সফল বাস্তবায়ন করা সম্ভব | বর্তমান সরকারই এই সফলতার পথে নির্মোহ দৃষ্টিতে অগ্রসর হলে বাংলাদেশ আধুনিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের মডেল হতে পারে |
মহান বিজয় দিবসে - এই আকাঙ্খা নিয়ে জাতির জনকের প্রতিকৃতি ও সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের নেতা কর্মীদের নিয়ে, তার কিছু ছবি... ১৬/১২/২০১৫
Wednesday, December 16, 2015
নীল ভোর শুয়ে আছে নদীর ঘাটে, জলতরঙ্গের কালো বাতাস নীরবে ছোঁয় / আনন্দধারা থমকে যায় প্রজাপতির ঘাসে, তরুবরের নীলরঙ বাদুড়ের মতো ঝুলে /
বিজয়ের নীলরঙ
কামরুল ইসলাম
নীল ভোর শুয়ে আছে নদীর ঘাটে, জলতরঙ্গের কালো বাতাস নীরবে ছোঁয় /
আনন্দধারা থমকে যায় প্রজাপতির ঘাসে, তরুবরের নীলরঙ বাদুড়ের মতো ঝুলে /
অনন্ত সবুজ , শত শত ফড়িং-এর ফসিলে - ধূসরে হয়ে শুয়ে থাকে মাঠে মাঠে /
পৃথিবীর পথে পথে অপরাহ্ণ, সাঁঝের নীল আঁচল স্নান করে রক্তজলে - /
ফসিল আর ভস্ম পাতার উপর বেজির পায়ের উলুধ্বনি, লক্মীপেঁচা নীরবে শোনে /
ফোঁটা ফোঁটা জোছনায় ধোঁয়াটে স্বপ্ন , ঝিঁ ঝিঁ পোকার মতো নেভে আর জ্বলে | /
একরাশ প্রেম নিয়ে সবিতা, বুনেছিল নীলস্বপ্ন, অশ্বত্থ বটের গায়ে- যেন প্রেম পুরাতত্ত্ব /
হাজার সবিতার রাঙা রাঙা রঙ, কালচে ধূসরে ক্ষত, বিদীর্ণ দেহ- পড়ে থাকে সন্ধ্যায় /
আদর আদর ঠোঁটখানির কাঁপা কাঁপা স্বর, নিঃসঙ্গ বাতাসে ভাসে- /
হায়েনার ছোবলে নগ্ন হাত খামচে ধরে মাটি, শ্মশানে জ্বলে বাড়ন্ত যৌবন ; /
ওগো প্রিয় তমসার একাত্তর, সবিতার মতো সহস্র সবিতার রূপখানি ঝরে গেছে রক্তে /
ধুন্দুল লতার সমীরে ধূসর সন্ধ্যার প্রদীপ জ্বলে না আর, থেমে গেছে নূপুরের নিক্কনধ্বনি | /
আঁধারে আধারে বাতাসে বাতাসে স্নিগ্ধ আলোয় প্রেমরূপে আজো খুঁজি তারে- প্রিয় সুন্দর, /
কোনোদিন পাবো না তারে, আর কোন উৎসবে, বিমর্ষ রোদ পাহারা দেয় সেই মাঠখানি /
যেথায় আমার সবিতারা দ্রোহে জ্বেলেছিলো সোনালি রোদ, মর্ত্যভূমির টসটসে ভোর - /
প্রিয়ার মেঠেলা রোদ, বিশ্বাসে ভেসে থাকে দিগন্তে, কাতর নয়নে নয়নে সত্য সুন্দরে , /
আঁধার ভেদ করে প্রবল কুয়াশা, প্রিয়কণ্ঠের নিঃসৃত অমর বাণী 'জয় বাংলা '-য়, /
বিজয়ের একমুঠো রোদ তর্জনীর উপর, অসংখ্য সূর্যতাপে জ্বলে কালপুরুষ, মহাকালে | /