FB LIke Bottom

Sunday, June 26, 2016

প্রশাসনের ব্যর্থতা।।

প্রশাসনের ব্যর্থতা।।
বরগুনা আমতলীর সেই দুধর্ষ পতিতা রাণী লাকিকে এলাকা ছাড়া করলেন পৌর মেয়র
বিশেষ প্রতিনিধি।। বরগুনার আমতলীর সেই আলোচিত দুধর্ষ পতিতা রাণী লাকিকে এলাকা ছাড়া করলেন পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান। গত বৃহস্পতিবার পৌর মেয়র মুসল্লীদের নিয়ে দুধর্ষ এই পতিতা রাণী লাকিকে এলাকা ছাড়া করেন। পতিতা এই সম্রাজ্ঞী বরগুনাসহ আশপাশ এলাকায় দাপটের সাথে প্রশাসনের যোগসাজসে অবাধে মাদক, অপহরণ ও দেহব্যবসা চালিয়ে আসছিল। আর লাকির অর্থপুষ্টে ভোগ করে আসছিল আমতলী থানার ওসি পুলক চন্দ্র রায়। যার কারণে পতিতা সম্রাজ্ঞী লাকি অবাধে এলাকায় নারী অপহরণ, মাদক, দেহব্যবসাসহ যাবতীয় অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। গত ২৭ মে দেশের বিভিন্ন অনলাইনে “পতিতা রাণী লাকির হাতে জিম্মি ১৪ বছরের কিশোরী” শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। ওই খবরের ভিত্তি করে র‌্যাবের এক টিম ঘটনাস্থলে পতিতা রাণী লাকিকে হাতে নাতে আটক করে আমতলী থানায় পুলিশের সোপর্দ্য করলেও আমতলীর থানার ওসি অপরাধীদের নামে মামলা না দিয়ে উল্টো নিউজ রিপোর্টার মৃধা বেলালকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করেন। থানায় ডেকে নিয়ে তাকে আটকের নামে অমানবিক নির্যাতন চালান। পতিতা রাণীর লাকির কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচের মাধ্যমে মফস্বল এই সাংবাদিককে হাজারো মামলার ভয় দেখিয়ে তাকে চরম অস্বস্তিতে রাখা হয়। দীর্ঘ এক মাসের বেশি তাকে নানাভাবে মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। চরম আত্মসম্মানহানি ঘটানো হয়।
উল্লেখ্য, মার্চ/১৬ দিকে পতিতা সম্রাজ্ঞী লাকির কাছে জিম্মি হয়ে থাকা ১৪ বছরের কিশোরীর তানিয়ার খবর পান মফস্বল সাংবাদিক মৃধা বেলাল। ঘটনাটি জানার জন্য তিনি সাংবাদিক সহকর্মীদের নিয়ে লাকির বাসায় খরিদদার পরিচয়ে যান। আটক থাকা কিশোরী তানিয়ার সাক্ষাত নিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হন। পরে বিষয়টির ব্যাপারে আমতলী থানার ওসি পুলক চন্দ্রকে জানান এবং খবরটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। গণমাধ্যমে খবরটি প্রকাশের পর র‌্যাবের অভিযানে পতিতা সম্রাজ্ঞী লাকিকে আটক করে থানায় সোপর্দ করার পরই ঘটে এই ঘটনা। লাকির ভাইয়ের কাছ থেকে মোটা অংক উৎকোচ পাওয়ায় সাংবাদিক মৃধা বেলালকে উল্টো মামলায় আসামী করার চেষ্টা করা হয় মর্মে জানান মৃধা বেলাল। এর সাথে পতিতা সম্রাজ্ঞী লাকি থানা পুলিশ হাতে রেখে নানা হুমকী দিয়ে চরম অস্বস্তিতে রাখা হয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান দেশের গণমাধ্যমকর্মীরা।
আমতলীর এলাকায় পতিতা রাণীর লাকির এসব নোংড়া অবৈধ কাজের অতিষ্ঠ হয়ে পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান এলাকার মুসল্লীদের নিয়ে লাকিকে এলাকা ছাড়া করেন। পৌর মেয়রের এই পদক্ষেপে এলাকার সর্বস্তরের মানুষ স্বস্তি নিঃশ্বাস ফেলছেন আর মেয়র মতিয়ার রহমানকে অভিনন্দন জানান। দেশের গণমাধ্যমের কর্মীরাও পৌর মেয়রের এই কাজকে স্বাগত জানাচ্ছেন। তবে নির্যাতিত মফস্বল সাংবাদিক মৃধা বেলাল তার ওপর প্রশাসনের অমানবিক নির্যাতনের বিচার কামনা করছেন।

No comments:

Post a Comment